🔷 গার্মেন্টস শিল্পে বাংলাদেশের অবস্থান ২য় এটা সকলেরই জানা। বাংলাদেশ গার্মেন্টস সেক্টরে বায়িং হাউস একটি বিশেষ ধরনের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ।বাংলাদেশ অ্যাপারেল বাজারে যে সাম্রাজ্য তৈরি করেছে সেখানে বায়িং হাউসের গুরুত্ব তুলনাহীন। বিবেচনা করা হয়, কমপক্ষে ৫% ক্রয়সেবা বিনিয়োগ করা হয় এবং ১.৪ বিলিয়ন ডলার শেয়ার করা হয় গার্মেন্টস উৎপাদন এবং বায়িং হাউসে।
আমরা কি জানি,বায়িং হাউস এর প্রয়োজনীয়তা কি? জানলেও কতটুকুই বা জানি? আসুন তাহলে আমাদের জানার সাথে একটু মিলিয়ে নেই -গার্মেন্টস উৎপাদনমুখী শিল্পে বায়িং হাউস অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশ RMG সেক্টর ১০০% নির্ভরশীল বিদেশী বায়ারদের প্রতি এবং বিদেশী বায়ার গার্মেন্টস বায়িং হাউসের প্রতি।
🔷 দুই ধরনের বায়িং হাউস আমরা দেখতে পাই – বায়িং এজেন্সি এবং বায়িং অফিস। আসুন দেখা যাক এদের পার্থক্য –
১.বায়িং এজেন্সি একটি আঞ্চলিক অফিস যেখানে সকল প্রয়োজনীয় অনুমোদন দেওয়া হয়।এটি নিজস্ব নিয়ম ব্যতিত কোনোরকম আয়-ব্যয় প্রদর্শন করেনা। যেমন-Decathlon(ফ্রান্স),TEMA(তুর্কি) & H & M(সুইডেন)
২.অন্যদিকে বায়িং অফিস যেখানে বিভিন্ন গ্রাহক এবং ব্রান্ড নিয়ে কাজ হয় এবং প্রয়োজনীয় সকল অনুমোদন আসে গ্রাহক কর্তৃক।যারা শুধুমাত্র অনুমোদন দিতে পারে কিন্তুু মুখ্য সিদ্ধান্ত নিতে ব্যর্থ।যেমন -টি & এম সোর্সিং লিমিটেড, অ্যাপটেক সোর্সিং & এ আর পি।
বাংলাদেশ RMG যাত্রা শুরু হয় ১৯৭০ এ অ-প্রথাগত ভাবে।কিন্তু নব্বই এর দশকে এটি পরিপূর্ণতা পায়।গত তিন দশকের মধ্যে এই খাত সর্বোচ্চ রাজস্ব আয় করে দেখিয়েছে যা ৮২%(USD ২৮.০৯৪ বিলিয়ন)এক জরিপে জানা যায়,BGMEA এবং BKMEA এর অধীনে ১০০০ এর বেশি বায়িং হাউস আছে।এছাড়াও ১৫০০ রপ্তানি সংশ্লিষ্ট টেক্সটাইল শিল্প প্রতিষ্ঠান এবং ৬০০০ (৪০০০ BGMEA ও ২০০০ BKMEA) RMG শিল্প প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করে বাংলাদেশকে।
🔷 অনেক সময় বায়ার একটি দেশ সম্পর্কে পর্যাপ্ত তথ্য দিতে না পারায় সেক্ষেত্রে বায়িং হাউস অগ্রণী ভুমিকা পালন করে।উৎপাদন খরচ কমানো বায়িং হাউসের একটি অনন্য কাজ। Carin Kjellgren বলেন, যেখানে হাফ বিলিয়ন USD প্রতি বছর ৩০ জন কর্মীকে দিতে হয় সেখানে একজন বায়ার খুব সহজেই সেই তথ্য বায়িং হাউস থেকে পেতে পারে অল্প কিছু বিনিময়ে।আসল কোয়ালিটি যাচাই করা,নতুন নতুন ডিজাইন সম্প্রসারিত করাও বায়িং হাউসের আওতাধীন।ব্যবসা ক্ষেত্রে বায়ার বায়িং হাউস থেকে যেকোনো দেশের ব্যবসা সম্পর্কিত সকল আইনকানুন সম্পর্কেও অবহিত থাকেন।
🔷 বাংলাদেশের যথেষ্ট সক্ষমতা রয়েছে গার্মেন্টস শিল্পে সর্বোচ্চ পর্যায়ে আরোহন করার। শুধু প্রয়োজন দক্ষ জনশক্তি এবং প্রয়োজনীয় দক্ষতা।এগিয়ে যাবে দেশ। গর্বিত হবে দেশের মানুষ।
তথ্যসূত্রঃ উইকিপিডিয়া,Textile learner
Written By:
জেবা ইয়াসমিন বর্ষা
ডিপার্টমেন্ট অব এ্যাপারেল ইঞ্জিনিয়ারিং(২য় ব্যাচ)
ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়া টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ,পীরগঞ্জ,রংপুর।