খালেদুর রহমান সিয়াম, বিশেষ প্রতিনিধি:
দেশীয় টেক্সটাইল প্রিন্টিং খাতকে আরো সমৃদ্ধ করতে দেশের একঝাঁক সম্ভাবনাময় মেধাবী প্রকৌশলী ও টেকনোলজিস্টদের সমন্বয়ে গঠিত হয়েছে অল ওভার প্রিন্টিং টেকনোলজিস্ট অফ বাংলাদেশ।গেল ২৪ তারিখ, শুক্রবার অনুষ্ঠিত হয়ে গেল সংগঠনটির প্রথম গেট টুগেদার প্রোগ্রাম। রাজধানী ঢাকার উত্তরার প্যান ডে এশিয়া লিমিটেডে অনুষ্ঠিত হয় এ প্রোগ্রামটি। অল ওভার প্রিন্টিং টেকনোলজিস্টস অব বাংলাদেশের সভাপতি এস. এম. আব্দুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিজিএমইএ ইউনিভার্সিটি অব ফ্যাশন অ্যান্ড টেকনোলজির উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. ইঞ্জিঃ আইয়ুব নবী খান।এছাড়া বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এশিয়াটিক গ্রুপ ও সানজানা ফেব্রিকসের ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর ইঞ্জিঃ আব্দুল্লাহহেল হোসেন বাবলু, জনি গ্রুপের উপদেষ্টা শ্যামল চন্দ্র সাহা, ক্ল্যারিকেম লিমিটেডের টেকনিক্যাল সার্ভিস প্রধান ইঞ্জিঃ প্রণব কুমার দত্ত ও ইউনিফিল টেক্স বিডির গ্রুপ ইডি ইঞ্জিঃ কামাল উদ্দিন আহমেদ।অতিথি হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন ইউনিফিল কম্পোজিট ডায়িং মিলস লিমিটেডের অপারেশন জিএম সায়েদুর রহমান, আনোয়ার গ্রুপের এ্যাসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টর দিলিপ কুমার বৈদ্য, ইঞ্জিঃ জয়নাল আবেদিন, ইঞ্জিঃ চক্রবর্তী রতন কুমার, কোয়েস্ট টেক্স সল্যুশনসের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ইঞ্জিঃ তৌহিদুর রহমান কাকন, প্রোটেক্স কালার কেমের ম্যানেজিং ডিরেক্টর ইঞ্জিঃ কামরুজ্জামান।
অনুষ্ঠানে মডারেটর হিসেবে ছিলেন সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক শওকত হোসেন সোহেল।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথির বক্তব্যে অল অভার প্রিন্টিং আলোচনার এক পর্যায়ে তিনি দেশীয় ইঞ্জিনিয়ারসদের দক্ষতা বাড়াতে কি কি করা উচিৎ সে সম্পর্কে ধারনা দেন। প্রিন্টিং এ দক্ষ মানবসম্পদ তৈরি ট্রেনিং বা সর্ট কোর্স আয়োজন করা ও বিভিন্ন ভার্সিটিতে সেমিনার, সিম্পোজিয়াম করার প্রতি গুরুত্ব আরোপ করেন।
অতিথির বক্তব্যে ইঞ্জি. শ্যামল চন্দ্র সাহা বলেন -এ সংগঠনটির আত্মপ্রকাশ আরো অনেক আগেই হওয়া উচিত ছিল। তিনি আরো বলেন-
আমি মনে করি, বিদেশিদের এই সেক্টরে আর কোনো প্রয়োজন নাই। আমরা নিজেরা নিজেদের স্কিলে সমৃদ্ধ হয়ে এই ভূখন্ড থেকে তাদের উচ্ছেদের অংশ হতে চাই।
ইঞ্জি. কামাল উদ্দিন আহমেদ দুইটি জিনিসের প্রতি জোর দেয়ার কথা বলেন, প্রথমত যদি কোনো শর্ট কোর্স তৈরি করা যায় ,এবং দ্বিতীয়ত এটি যেন নিরপেক্ষ পেশাজীবী সংগঠক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে,যেখানে দলমত নির্বিশেষে সবাই যেন অংশগ্রহন করতে পারে।
এছাড়াও ইঞ্জি. প্রনব কুমার দত্ত বলেন-সময়ের সাথে সাথে আমাদের আরো বেশি আপডেট হতে হবে। তিনি মনে করেন বর্তমানে প্রিন্টিং সেক্টরকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য কোলাবরেশনের মাধ্যমে রিসার্চ ও ডেভেলপমেন্টের বিকল্প কিছুই নেই।
সায়দুর রহমান টেক্সটাইল প্রিন্টিং এর ইতিহাস বলতে গিয়ে বলেন প্রিন্টিং সেক্টরকে আমাদের সংস্কৃতির সাথে মিশেল হিসাবে উপস্থাপন করতে বিদেশীদের আধিপত্য কমানোর এখনি মোক্ষম সময়।
ইঞ্জি. দীলিপ কুমার বলেন কোভিড-১৯ এর করালগ্রাসে যখন বিশ্ব বিপর্যস্ত তখন এই AOPTB সংগঠনের আবির্ভাব আমাদের মনে কিছুটা হলেও স্বস্তি এনে দিয়েছে। । দেশের অর্থনীতির মূল চালিকা টেক্সটাইল শিল্পে AOPTB গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে তিনি আশা ব্যক্ত করেছেন ।
ইঞ্জি. আব্দুর রহমান বলেন দেশীয় টেক্সটাইল সেক্টরে বিদেশীদের আধিপত্য কমানোর জন্য AOPTB নিরলস কাজ করে যাবে। এজন্য প্রত্যেকের সহযোগীতা কামনা করে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষনা করেন।