ফৌজিয়া জাহান মিতা
।।।ডেস্ক রিপোর্টার।।।টিইএস।।।
বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া একটি ভাইরাস করোনা ভাইরাস।বাংলাদেশে মার্চ এর শুরুতেই যার প্রাদুর্ভাব শুরু হয়। নিরাপদ দুরত্ব বিস্তারের লক্ষ্যে বন্ধ হয়ে যায় হাজার হাজার শিল্প কারখানা। যেই সব জায়গায় চাকরি করতো লক্ষ লক্ষ শ্রমিক। যাদের জীবিকার সবই চলতো এই চাকরির টাকায়। বন্ধ হয়ে যায় বেতন পাওয়া।
সরকার থেকে অনুদান দিলেও তা ঠিক কত জন শ্রমিক পেয়েছে তাই হলো প্রশ্ন।সেই টাকায় হয়তো এক মাসের বেতন শ্রমিক দের কাছে পৌঁছাতে পেরেছে। কারখানা গুলোতে কাজ না হলে মালিক পক্ষের বেতন দেওয়া কঠিন হবে। তাই মালিক পক্ষ শ্রমিক ছাঁটাই করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে । এতে কর্মস্থল হারাবে কয়েক লাখ শ্রমিক।।।
এ বিষয়ে–
আন্তর্জাতিক শ্রম আইন বিশেষজ্ঞ বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী এবং আইএলওর সাবেক কর্মকর্তা ড. উত্তম কুমার দাস বলেন, কর্মী ছাঁটাই মালিকের অধিকার (সংখ্যাতিরিক্ত)। কিন্তু উদ্দেশ্যমূলকভাবে এটা করা বেআইনি। করোনা মহামারির এই সময়ে সরকারের প্রণোদনা ও দাতা সংস্থার অনুদান নিয়েও শ্রমিক ছাঁটাই করাটা আইনের পরিপূর্ণ লঙ্ঘন।
শিল্প পুলিশ সূত্র গতকাল রবিবার জানায়, ইতিমধ্যে এক হাজার ৬৬২ জন পোশাক শ্রমিক ছাঁটাই হয়েছে। এর মধ্যে গাজীপুরের শ্যাটার্ন টেক্সটাইল লিমিটেড ১৭০, মাস্কো গ্রুপের শান্তা এক্সপ্রেশন ১৫, নীট বাজার প্রাইভেট লিমিটেড ৬৯, মজুমদার গার্মেন্টস লিমিটেড এক শ, তানাজ ফ্যাশন লিমিটেড এক হাজার ২৯৩ ও পার্ক ভিউ ড্রেসেস লিমিটেড ১৫ জন শ্রমিক ছাঁটাই করেছে।
বন্ধ হয়ে গেছে চারটি কারখানা। গাজীপুরের প্রচেষ্টা নিট টেক্স ২৫০ শ্রমিকের মার্চ মাসের ৫০ শতাংশ এবং এপ্রিল ও মে মাসের পুরো বেতন বাকি রেখে ফ্যাক্টরি বন্ধ করে দিয়েছে। ইউনিটেক্স এটার্য়েস লিমিটেড মোট ৩০০ শ্রমিকের এপ্রিল ও মে মাসের বেতন এবং ঈদ বোনাস বাকি রেখে ফ্যাক্টরি বন্ধ করেছে। আর ফেম সোয়েটার্স লিমিটেড ও শাওন ফ্যাশন লিমিটেড কারখানা করে দিয়েছে কার্যাদেশ না থাকার কারণ দেখিয়ে।
তথ্যঃকালের কন্ঠ, প্রথম আলো।