মণিপুরী বাংলাদেশের অন্যতম আদিবাসী সম্প্রদায়। প্রাচীনকালের সার্বভৌম রাষ্ট্র এবং এখনকার ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য মণিপুর এদের আদি বাসস্থান।
মণিপুরী মহিলাদের পোশাক পরিচ্ছদঃঃ
মণিপুরী নারীদের নিচের অংশের পোশাক ফানেক। যা লুঙ্গির মতো প্যাঁচ দিয়ে পরতে হয়। এ পোশাকে খুব একটা নকশা থাকে না। মণিপুরী মেয়েরা সাধারণত ঘরে বা হাটে-বাজারে যাওয়ার সময় ফানেক ব্যবহার করে। মণিপুরী নারীদের শরীরের নিচের অংশের আরেকটি পোশাক কারুকাজময় লাইফানেক। এই পোশাকের জমিন সাধারণত সরু দুই রঙের ডোরাকাটা হয় এবং পাড়ে বিভিন্ন নকশা ফুটিয়ে তোলা হয়। আগে পাড়ে সুতা দিয়ে হাতে নকশা তোলা হতো। বর্তমানে এ নকশা মেশিনে তোলা হয়। মণিপুরী নারীদের ব্যবহৃত ব্লাউজ ফুরিত। এটি সাধারণ ব্লাউজের মতোই তবে একটু লম্বা হয় যাতে ফানেকের নিচে গুঁজে রাখা যায়। মণিপুরীরা ব্লাউজের কাপড় নিজেরাই তাঁতে বুনে থাকে। অনেক সময় নারীরা ফুরিতে নিজের হাতে নকশা তোলে। মণিপুরী নারীরা ফুরিতের উপরে ফিফুপ নামের ওড়না পরে থাকে।
ওড়না পরার পদ্ধতি একটু ভিন্ন ধরনের। প্রথম দৃষ্টিতে শাড়ি পরার মতোই মনে হয়। এর সরু পাড় ও আঁচল রয়েছে।
উৎসব অনুষ্ঠানে ব্যবহৃত পোশাকঃঃ
মণিপুরীদের বিয়ে বা উৎসব-অনুষ্ঠানে ব্যবহৃত ফিদুপ সূক্ষ্ম সুতায় বোনা হয় এবং কাপড় তাঁতে রেখেই সূক্ষ্ম কারুকাজ করা হয়ে থাকে।এর জমিন অনেকটা মসলিনের মতো সূক্ষ্ম হয়।
নৃত্যের সময় মণিপুরী মহিলারা উজ্জ্বল রঙের কারুকাজময় পোশাক পলই ব্যবহার করে। পলই-এর নিচের দিকের চওড়া পাড়ের অংশে জরি ও চুমকি দিয়ে অত্যন্ত চাকচিক্যপূর্ণ নকশা তোলা হয়। পলই-এর সঙ্গে কারুকাজখচিত ফুরিত ও ফিদুপ ব্যবহার করে থাকে।।।।
মণিপুরী পুরুষদের পোশাক পরিচ্ছদঃঃ
মণিপুরী পুরুষদের ব্যবহৃত ধুতিকে ফেইজং বলা হয়। ধুতি সাধারণত হাটবাজার ও উৎসব-অনুষ্ঠানে ব্যবহৃত হয়। ফুরিত অনেকটা ফতুয়া ধরনের এবং সাধারণত তাঁতে বোনা কাপড় দিয়ে তৈরি। ফুরিত ছাড়া মণিপুরী পুরুষরা লম্বা সাদা শার্টও ব্যবহার করে। মণিপুরীদের বিয়ের অনুষ্ঠানে পুরুষরা কৈয়ত নামের পাগড়ি ব্যবহার করে। পুরুষদের ব্যবহৃত পাঞ্জাবি ধরনের পোশাককে পুজাত বলা হয়।।।।
মণিপুরীদের ব্যবহারের তাঁতে বোনা চওড়া গামছার নাম খুদাই যা সাধারণত চেক কাপড়ের হয়।
মণিপুরীরা অধিকাংশ কাপড়ই নিজস্ব তাঁতে বুনে থাকে।।।।।
তথ্য ও ছবিঃঃ উইকিপিডিয়া, বাংলা মিডিয়া।
writer Information::
Fouzia Jahan Mita
NITER 10th Batch
Department Of Textile Engineering..