মানবজীবনে বিজ্ঞান রচনা তো আমরা ক্লাস ৫ম থেকেই পড়ে আসছি। কি মনে হয় মানবজীবনে এই বিজ্ঞান কি এমনি এমনিই আসছে? নাহ এমনি এমনি আসে না এটা বিজ্ঞানীদের কঠিন গবেষণার ফল৷ কয়েক বছর আগে যেই জিনিস টা আমরা ব্যবহার করতাম এখন তারও আপডেট কিছু এসেছে বলাই যায় গবেষণা ছাড়া বিজ্ঞান এতো এগিয়ে যায় নাই। বিশ্বের সব কিছুই চলছে গবেষণার উপর । কি না আবিষ্কার করেছে বিজ্ঞানীরা। সাম্প্রতিক French National Institute of Health and Medical Research এর একদল বিজ্ঞানী মানুষ এর দেহ থেকে সুতা আবিষ্কার করেছে।
কি মনে হচ্ছে কোনও ভুত এর ছবির দৃশ্য? কিন্তু না এটা বাস্তব এই সম্ভব। যা বিজ্ঞানীদের গবেষণার ফল। এটাকে বলা হয় ‘হিউম্যান টেক্সটাইল ‘। যা সাধারণত মেডিকেল টেক্সটাইল এ অন্তর্ভুক্ত ।
হিউম্যান টেক্সটাইলঃ মানব দেহের কোষ থেকে তৈরি একধরনের সুতা। যা ক্ষতিগ্রস্ত রক্তের ধমনি পরিবর্তন এবং বিভিন্ন সার্জারীর ক্ষেত্রে ব্যবহার করার জন্য তৈরি করা। সেই সাথে মানব দেহের বিভিন্ন ক্ষতিগ্রস্ত অঙ্গ পরিবর্তনের সময়ও এই সুতা ব্যবহার করা যাবে।
হিউম্যান টেক্সটাইল এর ব্যবহারঃ
- বিভিন্ন সার্জারীর সময় ক্ষত বন্ধ করার জন্য ব্যবহার করা হয়।
- কেটে যাওয়া ত্বক একত্রিত করার জন্যও ব্যবহার করা হয়।
- দেহের বিভিন্ন অংশ সেলাই এর ক্ষেত্রেও ব্যবহার করা হয়।
- অনেক বাজে ভাবে পুরে যাওয়া কোনও জায়গায়( ত্বকের অংশ) ঠিক করার ক্ষেত্রেও ব্যবহার করা হয়।
- পেইন্ট রোলার ত্বক এর উপরও প্রয়োগ করা হয় কিন্তু সেইক্ষেত্রে bio লিংক তৈরি করে 3D প্রিন্টার ব্যবহার করতে হয়।
এই ফাইবার এর কোনও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই কেনও না এটা কোনও সিন্থেটিক ফাইবার নয়। এই ফাইবার বা সুতো ব্যবহার এ মানব দেহে,ত্বকে কোনও ইমিউন ক্ষতিগ্রস্ত হয় না। গবেষকরা মানুষ এর দেহের বিভিন্ন কোষের শিট গুলো চিকন করে কেটে বুনন করে সুতোর রূপ দিয়েছে। সুতায় বয়ন বুনন গ্রেডিং যেকোনোও রকম টেক্সটাইল পদ্ধতি ব্যবহার করা যায়। গবেষকদের প্রধান বলেছেনঃ পরিক্ষার জন্য, একটি ভেড়ার কেটে যাওয়া ধমনীর শিট এ এই সুতো ব্যবহার করা হয়েছিলো সেই ক্ষত মাত্র দুই সপ্তাহেই ঠিক হয়ে গেছে।
বিজ্ঞান ও বিজ্ঞানীদের কঠিন সাধনার ফল এই হিউম্যান টেক্সটাইল যার ব্যবহার এখন ব্যাপক। আশা করা যায় আধুনিক টেক্সটাইল এর রুপকার হবে হিউম্যান টেক্সটাইল। হার্ট সার্জারীর ক্ষেত্রেও বিশ্বে ব্যাপক ব্যবহার হবে এই টেক্সটাইল ফাইবার।
Reference: উইকিপিডিয়া, ডেইলি স্টার
Written by:
Fouzia Jahan Mita
Faysal Mahmud Sezan
National Institute of Textile Engineering and Research (NITER)
10th batch
Department of Textile Engineering.