“উফ! কী গরম”, কথাটি বলতে বলতেই গুটি গুটি পায়ে চলে আসছে শীত। চারিদিকে শান্ত হিমেল বাতাসই শীতের জানান দিচ্ছে। আর সেই সাথে শুরু হয়ে গিয়েছে শীতের প্রস্তুতি।
শীত হোক বা গরম ড্রেসিং এর ক্ষেত্রে কমফোর্ট জোন টা সবারই চাই।তাই শীত নিবারনের পাশাপাশি কমফোর্ট জোনের মধ্যে শীতে ফ্যাশনেবল হুডির জুরি মেলা ভার।প্রতিবছর নতুন নতুন শীতের ফ্যাশনেবল পোশাক যোগ হলেও হুডির জনপ্রিয়তার কোনো কমতি নেই বরং যুগের সাথে তাল মিলিয়ে নতুনত্ব নিয়ে হুডিই সবার প্রথম পছন্দের একটি।
হুডির যাত্রা
ফুল গার্মেন্টস সহ বহু শতাব্দী ধরে পুরুষদের এবং মহিলাদের পোশাকের একটি অংশ।হুড শব্দটি এংলো স্যাক্সন শব্দ হুড থেকে এসেছে। এই হুড যুক্ত সোয়েটশার্ট ১৯৩০ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক এর গুদামে শ্রমিকদের জন্য উদ্ভুত হয়েছিল। এরপর ১৯৯০ সাল থেকে হুডি জনপ্রিয়,ব্যবহারে প্রবেশ করে।
হুডির ফেব্রিক
হুডি তৈরীর জন্য অনেক ধরনের কাপড়ই ব্যবহৃত হয়। তবে হুডি তৈরি জন্য সবচেয়ে জনপ্রিয় দুটি ফেব্রিক হলো তুলা ও ডেনিম শ্রেনির ফেব্রিক। উলের ফেব্রিকের হুডিও বেশ জনপ্রিয় ।
মূলত শীতের তারতম্য ও বয়সভেদে একেক ফেব্রিকের হুডির চাহিদা ।
হালকা শীতের জন্য সাধারণত সকলের পছন্দ হচ্ছে নরম সুতির হুডি।কারণ এটি শ্বাস নিতে সহায়তা করে এবং উষ্ণ ও রাখে পাশাপাশি পরিষ্কার করাও সহজ। আবার খুব বেশি শীত এর জন্যে উলের বা ডেনিমের হুডির চাহিদাই সর্বত্র দেখা যায়।
হুডি কেন জনপ্রিয় –
সব বয়সের মানুষই এখন হুডি পরছেন। তবে এগিয়ে রয়েছেন তরুণ-তরুণীরাই।
শীতের স্মার্ট পোশাক হিসেবে হুডি টি-শার্টকেই বেশি পছন্দ করছেন তরুণ-তরুণীরা। কেননা শীত নিবারণের পাশাপাশি নিজেকে আরেকটু স্মার্ট করতেই হুডি টি-শার্ট। বাড়তি কানটুপি সঙ্গে নিয়ে ঘুরে বেড়ানোর ঝামেলা নেই আবার দেখতেও সুন্দর এবং স্টাইলিশ।
ছেলেদের পাশাপাশি মেয়েরাও সমানতালে পরছেন হুডি।কলেজ, বিশ^বিদ্যালয়সহ যেকোনো জায়গায় হুডি পরে সহজেই চলাচল করা যায় এবং অন্যান্য শীত পোশাকের মতো বাড়তি কোনো ঝামেলা নেই। হুডির সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো জিন্স, সালোয়ার-কামিজসহ যেকোনো পোশাকের সঙ্গে মানানসই। আর বাংলাদেশে নীল ও কালো রঙের হুডির জনপ্রিয়তা বেশি দেখা যায়।
এসব কারণেই হুডির প্রতি তরুণ-তরুণীদের আগ্রহটা একটু বেশিই।
একটা সময় হুডি ব্যবহার হতো শুধু জ্যাকেটেই। জিপারওয়ালা বা জিপার ছাড়া বড় পকেট থাকত তাতে। জরুরি জিনিস বহন করা, আবার মাথা ঢাকা দুটো প্রয়োজনই মিটতো। তবে এখন এর রূপ বদলেছে। শুধু জ্যাকেট নয়, সোয়েটার, টি-শার্ট নানা ধরনের পোশাকেই হুড জুড়ে দেয়া হচ্ছে। মেয়েদের জন্য করা হচ্ছে নানা কাটের টপ। সঙ্গে থাকছে হুড। ছেলেদের ফুলস্লিভ হুডি টি-শার্ট, হুডি শার্ট, হুডি জ্যাকেট, হুডি সোয়েটার, ব্রকলাইন হুডি সোয়েটার, স্লিভলেস হুডি, ব্যাটম্যান হুডির পাশাপাশি।
যেখানে পাওয়া যায় :
দেশীয় প্রায় সব ফ্যাশন হাউসে হুডি পাওয়া যায়।এদের মধ্যে ইজি প্লাস পয়েন্ট,ক্যাটস আই,ইয়োলো অন্যতম।এছাড়া রাজধানীর গাউছিয়া নিউমার্কেট এর দুই তলা,ঢাকা কলেজের উলটা পাশের মার্কেটে,শাহবাগের আজিজ মার্কেটে হুডির বিপুল সংগ্রহ দেখা যায়।তবে এসব দোকান থেকে দরদাম বাঞ্ছনীয়।
অভিজাত শপিংমলের পাশাপাশি, ফুটপাতে গড়ে উঠা ভাসমান দোকান গুলোতেও হুডি পাওয়া যায়।
এছাড়া বর্তমানে প্রযুক্তির সুবিধায় অনলাইনেও হুডি শপ থেলে উন্নত মানের দেশি-বিদেশিহুডি ক্রয় করা যায়।
দাম
সাধারণত মানভেদে সুতি ও গেঞ্জির কাপরের হুডির দাম ৫০০ থেকে ১২০০ টাকার মধ্যে পাওয়া যায়। এছাড়া গ্যাবাডিং এর হুডির দাম ১ হাজার থেকে ২.৫ হাজার এর মধ্যে তবে যেকোনো কাপরের নকশা ও উন্নত চেইনের জন্যে গুনতে হয় বাড়তি টাকা।
তবে অনলাইনে হুডির দাম হয় ৪০০ থেকে ২০০০ টাকা.
source: Internet
Writer:
Meherunnesa katha
Dept of Clothing And Textile,
College of Home economics
At University of Dhaka.