অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশকে রক্ষার অঙ্গীকার নিয়ে নানা আয়োজনে ২৮শে মার্চ ১ম বর্ষের নবীনদের বরণ করে নিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত অন্যতম প্রতিষ্ঠান শ্যামলী টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ। কলেজের নবীনবরণ অনুষ্ঠানে যেমন ছিল নাটক ‘অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ’ তেমনি নৃত্য ও সঙ্গীতে ছিল দেশাত্মবোধের সুর।
প্রতিটি পর্বে অংশ নিয়েছেন কেবল শিক্ষার্থীরাই। ঢাবি অধিভুক্ত বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ হিসেবে ইতোমধ্যেই ঢাবি কর্তৃপক্ষসহ শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের নজর কেড়েছে মোহাম্মদপুর চাঁদ উদ্যানের শ্যামলী টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ। বৃহস্পতিবার প্রতিষ্ঠানটির নিজস্ব ক্যাম্পাসে নবীনবরণে অন্যতম আলোচক ছিলেন বাংলা একাডেমির সাবেক মহাপরিচালক অধ্যাপক শামসুজ্জামান খান। প্
রতিষ্ঠানের সভাপতি বংলাদেশ কারিগরি শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের সভাপতি অধ্যক্ষ এম এ সাত্তারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সাদেক খান এমপি, ঢাবির ইঞ্জিনিয়ারিং এ্যান্ড টেকনোলজি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মোঃ হাসানুজ্জামান, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি শেখ বজলুর রহমান, মোহাম্মদপুর থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মতিউর রহমান মিয়া চাঁন প্রমুখ।
জাতীয় সঙ্গীতের মাধ্যমে শুরু হওয়া অনুষ্ঠানে ছিল সব ধর্মের মানুষের ধর্মগ্রন্থ থেকে পাঠ। এতে অংশ নেন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরাই। এরপর একে একে নাটক, সঙ্গীত ও নৃত্যের তালে তালে চলতে থাকে অনুষ্ঠান। ফাঁকে ফাঁকে বক্তব্য রাখেন অতিথিরা। স্থানীয় এমপি সাদেক খান প্রতিষ্ঠানটির সাফল্যের জন্য এর প্রতিষ্ঠাতাসহ সবাই অভিনন্দন জানান। শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলেন, আমাদের প্রধানমন্ত্রী শিক্ষা বিশেষত কারিগরি শিক্ষার ওপর বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছেন।
আমাদের সবাই মিলে এ শিক্ষার উন্নয়নে কাজ করতে হবে। বাংলা একাডেমির সাবেক মহাপরিচালক অধ্যাপক শামসুজ্জামান খান প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষার্থীদের অসাম্প্রদায়িক মনোভাবের প্রশংসা করেন। শিক্ষার্থীদের সামনে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অসাম্প্রদায়িক চরিত্রের কথাও তুলে ধরেন তিনি।
অধ্যক্ষ এম এ সাত্তার বলেন, আমি চাই প্রতিটি শিক্ষার্থী কেবল আভিধানিক শিক্ষায় নয়, আদর্শিক শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে উঠুক। ১ম থেকে ৯ম সকল ব্যাচের শিক্ষার্থীও অভিভাবকদের আগমনে ক্যাম্পাস প্রাঙ্গন এক ভালোবাসার মিলনমেলায় পরিণত হয়।