Wednesday, December 25, 2024
Magazine
More
    HomeBusinessশ্রমবাজারে নতুন সংকট,জারা ফ্যাশনের অনলাইন কার্যক্রম।" বন্ধের মুখে ১২০০ স্টোর "

    শ্রমবাজারে নতুন সংকট,জারা ফ্যাশনের অনলাইন কার্যক্রম।” বন্ধের মুখে ১২০০ স্টোর “

    নিজস্ব প্রতিবেদক,মুনতাসির রহমান।


    বিশ্বব্যাপী করোনা তান্ডবের ভয়াবহতা অজানা থাকবার কথা নয় কারোরই । করোনা তার সীমা লংঘন করে ক্রমেই এগিয়ে চলছে ধ্বংসলিলার ষোলকলা পূরণের লক্ষ্যে।বর্তমান পরিস্থিতিতে পোশাক কারখানা গুলো তাদের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড, ক্রয় বিক্রয় সহ আনুসাঙ্গিক সব ধরনের কার্জ পরিচালনা করছে অনলাইন ভিত্তিক নানা মাধ্যমে। ধারনা করা হচ্ছে, বিশ্বব্যাপী করোনা পরিস্থিতির উন্নতি না হলে অনলাইন ব্যাবস্থাই হবে পোশাক ক্রয় বিক্রয় এর সবচেয়ে বড় মাধ্যম।সেই সাথে কর্মহীম হয়ে পড়বে সংশ্লিষ্ট খাতের সাথে জড়িত কর্মীরা। এর সসর্বশেষ উদাহরণ হলো বিশ্বে ৮০ টি দেশে ছড়িয়ে থাকা “জারা ফ্যাশন ” তাদের প্রায় ১২০০ টি স্টোর বন্ধ করে দিতে যাচ্ছে অনলাইন কার্যক্রম কে লক্ষ্য রেখে।সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গিয়েছে, করোনা পরিস্থিতিতে পোশাক খাতে ধ্বংসের কারনে জারা ফ্যাশন তাদের স্টোর ভিত্তিক ব্যবসাকে নতুন করে  এগিয়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন।সেই  সাথে বর্তমান সংকট তার  চলমান ধারা অব্যাহত রাখলে অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে হলে অব্যশই বিকল্প পথ খুজতে হবে।এক্ষেত্রে অনলাইন ভিত্তিক নতুন বাজার গড়ে তোলাই হবে যুগপোযোগী একটি সিদ্ধান্ত। জারা ফ্যাশনের সহযোগি প্রতিষ্ঠান ইন্ডিটেক্স জানিয়েছে,বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে থাকা জারা ফ্যাশন অর্থনৈতিক ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে তাদের পুরানো স্টোরগুলো মধ্যে কিছু ছোট ছোট স্টোর সাময়িকভাবে বন্ধ করে দিতে পারে। যার সংখ্যা  ১,০০০ থেকে ১,২০০ এর মধ্যে হতে পারে। 


    মূলত প্রতিষ্ঠানটি এশিয়া এবং ইউরোপ কেন্দ্রিক তাদের বর্তমান কার্জক্রম পরিচালনা করবে বোলে নিশ্চিত করেছে। এক্ষেত্রে ইউরোপ এর তুলনায় এশিয়া বেশি ক্ষতির সম্মুখীন হবে।এশিয়ার শ্রমবাজারের একটা বড় অংশ পোশাক কারখানা  কেন্দ্রীক জীবন ব্যাবস্থা পরিচালনা করে আসছে।সুতরাং বোঝাই যাচ্ছে খুব শীঘ্রই এশিয়ার শ্রম বাজার  কঠিন থেকে কঠিনতর সংকটের দিকে ধাবিত হতে যাচ্ছে।একটি পরিসংখ্যানে তুলে ধরা হয়েছে,জারা ফ্যাশন তাদের বর্তমান কার্যক্রম পরচালনার পরে বিশ্বব্যাপী  তাদের সর্বমোট স্টোরের সংখ্যা ৭৪১২ থেকে কমে ৬৭০০ কিংবা ৬৯০০ এর মধ্যে নেমে আসবে। যা প্রকৃত অর্থেই হতাশাজনক।অনলাইন জরিপ চালিয়ে জারা ফ্যাশনের সহযোগী প্রতিষ্ঠান ইন্ডিটেক্স সূত্রে জানা গিয়েছে,বিক্রয় মৌসুমের শুরুতে প্রতিষ্ঠানটির অনলাইন ভিত্তিক পোশাক বিক্রয় হার ছিল ৫০% যা করোনা পরিস্থিতির মধ্যে গত এপ্রিলে বছরে ৯৫% এ উঠে এসেছিলো। মূলত এসব বেপারগুলো প্রতিষ্ঠানটিকে নতুন করে উদ্ভুত করেছিলো অনলাইন মার্কেটিং ব্যাবস্থার দিকে।ইন্ডিটেক্স তাদের নতুন পরিকল্পনার আওতায় থাকা অনলাইনে বিক্রয় পদ্ধতি ২০২২ সালের মধ্যে মোট ২৫% এরো বেশি হবে বলে ধারনা করছে। 
    বিশ্বব্যাপী ধারাবাহিক ভাবে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে একের পর এক পোশাক কারখানা। ফল সরুপ কর্মহীন হয়ে পড়ছে হাজার হাজার পোশাক কর্মী,খেই হারাচ্ছে বিশ্বঅর্থনীতি।লকডাউন এর কারনে সকল ক্ষেত্রে অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠানগুলো অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে ঝুকছে অনলাইন নির্ভর অর্থনৈতিক ব্যবস্থার দিকে।প্রতিটি ব্যবসায়ীক প্রতিষ্ঠান অনলাইন প্লাটফর্ম কে ব্যবহার করে খুজে নিজে তাদের বায়ার দের।পোশাক কারখানা গুলোও এর ব্যাতিক্রম নয়।অদৃষ্টের ষোলকলা পূরণের নেশায় কুপকাত পুরো বিশ্বের পোশাক খাত। বর্তমান সময়ে বিশ্বে যে খাত গুলোকে সবচেয়ে সম্ভাবনাময় বলে গণ্য করা হচ্ছিল তন্মধ্যে পোশাক খাত অন্যতম।বিশ্বব্যাপী  করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় যখন সারাবিশ্বে চলছিলো লকডাউন, উক্ত পরিস্থিতিতে পোশাক কারখানাগুলো নিঃশেষ হবার দ্বারপ্রান্তে খুজছে পরিত্রাণের শেষ আশাটুকু।অনলাইন বাজার ব্যাবস্থার সুবিধার পাশাপাশি সংকট সৃষ্টিকারক কারণও রয়েছে অগণিত।সমসাময়িক বাজার ব্যাবস্থা  বিশ্ব অর্থনীতিকে কোন দিকে ধাবিত করে তা পরিস্থিতি বলে দিবে।সকল সংকট কাটিয়ে বিশ্ব অর্থনীতি ফিরে পাবে প্রাণ, কর্মজীবী মানুষেরা খুজে পাবে জীবিকার নতুন পথ এই প্রার্থনা সকলের।

    RELATED ARTICLES

    LEAVE A REPLY

    Please enter your comment!
    Please enter your name here

    Related News

    - Advertisment -

    Most Viewed