আজ কথা বলবো রংপুরের গর্ব কারুপণ্যে নিয়ে। ১৯৯১ সালে মাত্র ১৫ জন কারিগর দিয়ে কারুপণ্য যাত্রা শুরু করেছিল এবং বর্তমানে এর ৫০০০ টির অধিক শ্রমিক এবং কর্মচারী রয়েছে। কার্পেট তৈরি দিয়ে যাত্রা শুরু কারুপণ্যের যার বেশিরভাগই ইউরোপীয় ইউনিয়ন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং এশিয়ায় রফতানি করা হতো। বর্তমানে কারখানাটি প্রায় ১৫ ধরণের পণ্য উত্পাদন করে – পোশাক ও টেক্সটাইল,পাটজাত পণ্য,বর্জ্য থেকে সুতো, দড়ি এবং সমস্ত ফ্লোর কভারিং ম্যাটেরিয়াল। এছাড়া স্থানীয় আসবাবপত্র প্রস্তুতকারকদের চাহিদা অনুযায়ী তাদের নকশা অনুসারে কিছু হোম টেক্সটাইল পণ্য উত্পাদন করে থাকে।
পরিবেশ বান্ধব কারখানার নকশা করেছিলেন আর্কিটেক্ট বায়েজিদ এম খোন্দকার এবং তাঁর দল।
কর্মক্ষেত্রের পাশাপাশি, কারখানাটিতে রয়েছে মেডিকেল সেন্টার, কর্মীদের জন্য মুদি দোকান, খাবার ক্যান্টিন, প্রার্থনা কক্ষ, এটিএম বুথ ইত্যাদি।
চারটি বড় পানির রিজার্ভার ফ্যাক্টরির সামনে রাখা হয়েছে যাতে করে আগুনজনিত কোন সমস্যা হলে সেটা নিয়ন্ত্রণ করা যায়।
পুরো কারখানায় প্রায় হাজার হাজার ছোট-বড় ভাস্কর্য রয়েছে।এগুলি কেবল নান্দনিক সৌন্দর্যই সংযুক্ত করে না বরং এটি মহিলাদের দুর্দান্ত কাজগুলির প্রতীক বহন করে।
লোকেশন: স্টেশন রোড, রবার্টগঞ্জ, রংপুর।
লেখিকা:
সাদিয়া তামান্না ইভা
বিজিএমইএ ইউনিভার্সিটি অব ফ্যাশন এন্ড টেকনোলজি