💦 সূচনা
আমাদের দেশে বর্তমানে বুটিকস শিল্পের কদর বেড়ে চলছে কারণ, দেশ যতই সভ্য ও আধুনিক হচ্ছে ততই মানুষের পছন্দও চাহিদা সভ্য ও আধুনিক হচ্ছে। প্রায় ১৮ শতকের আগ পর্যন্ত মানুষের বুটিকসের প্রতি তেমন চাহিদা ছিল না।তখন গ্রামের তাঁতিরা চরকা দিয়ে সুতা কেঁটে তাঁতে কাপড় বুনত এবং সে কাপড় পরিবারের সবাই পরিধান করত কিন্তু তখন কোনোধরনের ঝাঁক-ঝমকপূর্ন নকশা বা ডিজাইন ছিল না।কিন্তু সভ্যতার অগ্রযাত্রায় আমাদের প্রতিবেশি দেশ পশ্চিমবঙ্গ তথা ঐতিহ্য ও বুটিকসের কাজ আমাদের দেশেও বুটিকসের প্রতি আগ্রহ ও কদর প্রকাশ পায়।বর্তমানে এই চাহিদা ও কদর এমন রুপ ধারণ করেছে যে “বুটিকস শিল্প”বস্ত্রশিল্পের অন্যতম একটি শাখায় পরিণত হয়েছে।
💦 বুটিক কি?
বুটিকশিল্প হলো এমন একটি শিল্পকর্ম যার মাধ্যমে পুথি,গহনা,চুম্বক ছাড়াও অন্যান্য উপাদান ব্যবহার করে সাধারণ/ সাদামাঠা কাপড়ের সৌন্দর্যবর্ধন ও কাপড়কে আকর্ষণীয় করে তোলে।বুটিক হলো একধরনের কারুশিল্প। কারুশিল্প হলো একধরনের হস্তশিল্প।এই কারুশিল্পটি করা হয় বাটিক,ব্রুক,এমব্রয়ডারি, কারচুপি এবং হ্যান্ডিক্রাফট দ্বারা।
💦বুটিক হাউসের উপাদান
– টেইলারিং মেশিন
– কাঠের ডাইস রং
– বিভিন্ন রঙের সুতা
– সুঁই
💦 বুটিক হাউসের ইতিহাস
বুটিক একটি ফরাসি শব্দ যার অর্থ দোকান বা শপ।সমাজের শৌখিন বা ফ্যাশন সচেতন লোকদের কেনাকাটার জায়গা হিসেবে পরিচিত।১৯৮৭ সালের দিকে আমাদের দেশে বুটিক শিল্পের অগ্রযাত্রা শুরু হয়।তখন কতিপয় নারীর শখের বশে বা ফ্যাশন যুগের সাথে তাল মেলাতে বুটিক শিল্পের যাত্রা শুরু হয়।মূলত,নারী উদ্যোক্তরাই আমাদের দেশে এই শিল্পের কাজ করে যাচ্ছে। বাংলাদেশের বুটিক হাউসে কিছু হস্তশিল্প এবং কিছু চামড়াজাত পণ্যের সমাহার থাকে।
💦 বাংলাদেশে বুটিক শিল্পের সম্ভাবনা
দেশীয় পোশাকের সম্ভার মানে দেশীঢ ব্র্যান্ড। আগে ঘরোয়া ও শৌখিনস্বরুপ ছোট আঙ্গিকে গড়ে উঠা বুটিক শিল্প বর্তমানে রুপ নিয়েছে অনেক বড় বড় ব্র্যান্ডে।স্বাধীনতার পর প্রথমে রুপায়ন ও নিপুণতা এবং পরে আড়ং দেশীয় পোশাকের পরিচয় তুলে ধরতে গিয়ে গড়ে তুলে বুটিক শিল্পটি।আমাদের দেশে বুটিকের চাহিদা ও কদর বেশি কারণ,কাপড়ে এসব হস্তশিল্প দ্বারা তুলে ধরা হয় আমাদের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য। এ চাহিদার বিপরীতে রাজধানী ঢাকা,বন্দরনগরী চট্টগ্রামসহ প্রতিটি জেলায গড়ে উঠেছে “বুটিক” শপ।বর্তমানে ছোট- বড় মিলে প্রায় ৫০০০ বুটিক শপ রয়েছে।এসকল বুটিক শপ শাড়ি,সালোয়ার- কামিজ, পাঞ্জাবি, ফতুয়াসহ নানারকমের পোশাক বিক্রি হরে থাকে।দেশীয় কাপড়,দেশীয় বুনন,নকশার বৈচিত্র্যে এসব পোশাক উৎসব- পার্বণে হয়ে উঠেছে কাঙ্ক্ষিত। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে দেশীয় নান্দনিকতা,বৈচিত্র্যময় ডিজাইন, দেশীয় ভাবধারায় এই পোশাকের দিকে ঝোঁক বাড়ছে সব বয়সী মানুষের। এভাবে চাহিদার সঙ্গে বড় হচ্ছে প্রতিনিয়ত এই বুটিস হাউস।বর্তমানে বুটিকের সুবিশাল প্রতিষ্ঠানগুলো হচ্ছে :আড়ং,নাগরদোলা, রঙ, কে-ক্রাফট, সাদাকালো, ওজি, ইত্যাদি। কয়েকটি প্রতিষ্ঠান বিদেশে বিক্রয়কেন্দ্র খুলে রপ্তানি করছে আমাদের এই দেশীয় পোশাক তথা বুটিকস।সুতরাং বলা যায়,বুটিক শিল্পের দিক থেকে বাংলাদেশ খুব বেশি এগিয়ে।
💦 সীমাবদ্ধতা
– সরকারি দিকনির্দেশনাও নীতিমালার অভাব
– বাজেটের সংকট
– যথার্থ পারিশ্রমিক অভাব
– দক্ষ কারিগরের অভাব
– সরকারি অনুদানের অভাব
– বুটিকস শিল্পের কাঁচামালের সংকট
✅ Writer :
Zannatul Nayema
4th batch
Department of Fabric Engineering
Sheikh Kamal Textile Engineering college.