আমাদের টেক্সটাইল ইন্ডাস্ট্রি তে একটি সম্ভাবনা হল স্পোর্টস ওয়্যার। বৈশ্বিক বাজারের পরিসংখ্যান অনুযায়ী আগামি ৩ থেকে ৪ বছরের মধ্যে স্পোর্টস ওয়্যারের বাজার ৩৪ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত হবে। নিঃসন্দেহে বলা যেতে পারে যে, স্পোর্টস ওয়্যারের প্রবৃদ্ধির এই রূপ ঊর্ধ্বগতি হওয়ার অন্যতম কারন মানুষের স্বাস্থ্য- সচেতনতা এবং বিশ্বব্যাপী খেলা-ধূলার প্রতি মানুষের আগ্রহ।
High Street Sports Wear Retailer Giant গুলো যেমনঃ Adidas, Puma এর মত কোম্পানিগুলো এখন বর্তমানে অনেক নতুন নতুন আকর্ষণীয় খেলার পোশাক ও সামগ্রী নিয়ে আসছে যা স্পোর্টস ওয়্যারের ক্ষেত্রে সৃজনশীলতার নতুন মাত্রা যোগ করছে। নতুন এই স্পোর্টস ওয়্যারগুলো সম্পূর্ণরূপেই আরামদায়ক ও ব্যায়াম উপযোগী। যেমনঃ
Cycling clothing.
Hiking apparel.
Sports gloves.
Swimsuit.
Competitive swimwear.
Scrum cap.
রিটেইলাররা বর্তমানে স্পোর্টস ওয়্যারগুলোকে জনপ্রিয় করার ক্ষেত্রে এগুলিকে অনেক আকর্ষণীয় করে তুলছে। যে কারণে খেলার পোশাক ও অন্যান্য আনুষঙ্গিক উপাদানগুলি মানুষ অনেকটা শখ করে সংগ্রহ করছে।
এখন আমরা যদি আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত এবং আমাদের সমসাময়িক কালের প্রতিযোগী চীনের দিকে তাকাই তাহলে দেখতে পাব যে, খেলার সামগ্রীতে তারা বিশাল বাজার ধরে রাখতে সক্ষম হচ্ছে। কিন্তু তা আমরা পারছি না। তার অন্যতম একটি প্রধান কারন স্পোর্টসওয়্যার তৈরির ফেব্রিক মূলত বাহিরে থেকে আমদানি করতে হয়। গত বছরের নভেম্বর মাসের আগ পর্যন্ত বাংলাদেশ তৈরি পোশাক রপ্তানি করেছে ৩০ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি। এর মধ্যে খেলার পোশাক রয়েছে শতকরা দশ ভাগ।
কিন্তু আশার কথা হচ্ছে যে, বাংলাদেশ খেলার পোশাক তৈরিতে ধীরে ধীরে এগিয়ে আসছে। বর্তমান সময়ে দেখা যাচ্ছে যে, বিশ্বের সকল নামি দামি খেলার পোশাক ব্রান্ডগুলি এখন বাংলাদেশ থেকে তাদের পোশাক নিয়ে থাকে যেমনঃ Reebok, Nike, Adidas, Decathlon এবং Puma এর মত ব্র্যান্ড তাদের মধ্যে অন্যতম। এইতো গেল গত এপ্রিল মাসেই ডি.বি.এল. এর হাত ধরেই ঢাকায় প্রথম ফ্ল্যাগশিপ স্টোর চালুর মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের বাজারে আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করেছে গ্লোবাল স্পোর্টস ব্র্যান্ড পুমা।
লেখাটি লিখতে যে ওয়েবসাইটের সহায়তা নেয়া হয়েছে:
www.marketingweek.com
লেখকঃ
বাঁধন সাহা।
প্রাইমএশিয়া বিশ্ববিদ্যালয় (টেক্সটাইল ডিপার্টমেন্ট, ২য় বর্ষ)।