রাষ্টয়াত্ব পাটকলগুলি বন্ধ হবার প্রতিবাদে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে অনলাইনে গণস্বাক্ষর কর্মসূচী অনুষ্ঠিত হয়। যা, ১২ই জুলাই দুপুর ২ টা পর্যন্ত শেষ সময় ছিল। নানারকম অনিয়মে সরকারী পাটগুলি বন্ধ কার্যকর করা হয় ২ই জুলাই ২০২০ তারিখে। মানবিক দায়বদ্ধতা থেকে দেশের শিল্প ও শ্রমিকদের জন্য তাঁদের এই কর্মসূচী বলে জানা যায়। তাই, খুবির প্রাক্তন ও বর্তমান শিক্ষার্থীদের একাত্বতায় এমন মহৎ উদ্যেগ নেওয়া হয়েছে। তাঁরা জানায়, সারা বিশ্বে যখন পাট ও পাটজাত পণ্যের বিপুল চাহিদা সৃষ্টি হয়েছে, সেখানে রাষ্টয়াত্ব পাটকলগুলিকে লোকসান দেখিয়ে বন্ধ করার হীন সিদ্ধান্ত একজন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী এবং সচেতন নাগরিক হিসেবে মেনে নেওয়া যায় না। তাঁরা বলে ” রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকলগুলোর লোকসানের পেছনে আসল কারণ কি? মিলগুলি বন্ধ করার পেছনে কোনো বিশেষ মহল, গোষ্ঠী বা সাম্রাজ্যবাদী অপশক্তির তৎপরতা থাকলে তা আমরা ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করি”।
তাঁরা আরও জানায়, বিশ্বে চাহিদার প্রায় অর্ধেক পাট আমাদের দেশে তৈরি হয়। সেই সাথে আমাদের পাটগুলির মান অত্যন্ত উন্নত। রাষ্ট্রকে এই দায় নিতে হবে। পাটের মৌসুমে বেসরকারি মিলগুলি যখন ১০০০- ১২০০ টাকা দিয়ে পাট কিনে, তখন দেশের সরকারী পাটকলগুলি ২৪০০-২৫০০ টাকা দিয়ে নিম্নমানের পাট কিনে। এছাড়া ইচ্ছে করেই মন্ত্রণালয়ের অর্থ বরাদ্দের টাকা পাট মৌসুমের তিন চার মাস দেরিতে দেওয়া হয়।
সরকারী মিলের ৭৫ হাজার শ্রমিক জীবন এবং এর সাথে জরিত অন্যান্যদের জীবনে বেকারত্বের অভিশাপ চলে আসবে। এরই মাঝে গত ৬ই জুলাই সাদা পোশাকধারী কিছু লোক দুইজন শ্রমিক নেতাকে ধরে নিয়ে যায় এবং পরবর্তীতে তাঁদের গ্রেফতার দেখানো হয়। এহেন পরিস্থিতিতে সারা দেশের মানুষের পাশাপাশি খুবির প্রাক্তন এবং বর্তমান শিক্ষার্থীরা তীব্র প্রতিবাদ জানাই, শ্রমিকনেতাদের মুক্তি এবং পাটকলগুলি দুর্নীতিমুক্ত করে আধুনিকতায়ন করে শ্রমিক এবং দেশের স্বার্থ রক্ষার জন্য তীব্র দাবি জানায়।
🐥তথ্যসূত্রঃ Khulna University Campus ফেবু পেজ থেকে।
Writer: Mehedi Hasan Shojol
1st batch, Wet Process Engineering.
Sheikh Kamal Textile Engineering College, Jhenaidah.