এমন বিধিবাম পাবলিক পাওয়া দুষ্কার,যারা অনলাইনে থাকে কিন্তু সিনেমা দেখে না। অনলাইন হোক কিংবা অফলাইন সব জায়গাতেই সরব মুভি লাভারসরা। কিন্তু এই মুভির একটা বিশাল অংশ জুড়েই সমাগম থাকে টেক্সটাইলের আধিপত্য।
তাহলে চলুন দেখে নেয়া যাক কোন কোন সেক্টরে টেক্সটাইলের আধিপত্য দ্বারা সিনেমা রাজত্বেও হানা দিচ্ছে?
*তৈরি পোষাক শিল্পেঃ প্রথমত নতুন কোনো ডিজাইনের কাপড় বের হলো, তারপর সেটার মার্কেটিং কিংবা পাবলিসিটির জন্য উত্তম পন্থা হলো সিনেমার হিরো-হিরোইন। উদাহরন হিসাবে বলিউডের বিখ্যাত চরিত্র ক্রিস কিংবা রাওয়ান-জিওয়ানদের ড্রেস আপের দিকে তাকানো যায়। তাছাড়া দক্ষিন ভারতীয়রাও ড্রেস আপের ব্যাপারে বেশ সৌখিন। যদিও হলিউডের বিভিন্ন চরিত্র এ যাত্রায় তেমন পাল্লা দেয় না,তবে হলিউডের নারী কেন্দ্রিক সুপারহিরো বেস অভিনেত্রীদের পোষাকগুলোর বাজারজাত বেশ সমৃদ্ধ,যেমন-ওয়া
ন্ডার ওমেন,ক্যাপ্টেন মারর্ভেল সহ আরো কিছু দুর্লভ চরিত্র।
*সিনেমার বিজনেস হোল্ডার:সিনেমায় ব্যানিজ্যিক হিসাব নিকাশ কিংবা বড় বড় ফ্যাক্টরি বলতে গেলে তারা টেক্সটাইল ইন্ড্রাস্ট্রিকেই মিন করে। এক্ষেত্রে এটাও টেক্সটাইল খাতের জন্য এটাও একটা বড় সাফল্য।
*বাড়ির হস্ত কুটির শিল্পঃ এটা বর্তমান সময়ে পাওয়া দুষ্কার। তবুও পুরোনো বাংলা সিনেমাতে মধ্যবিত্ত পরিবার কিংবা নিন্মমধ্যবিত্ত পরিবারগুলোর ঘুরে দাড়ানোর গল্প বলতে সেলাই মেশিন দ্বারা তৈরি পোষাক শিল্প কিংবা গার্মেন্টসে কাজ করানোকেই বুঝানো হতো। ততকালীন সময়ে যুগোপযোগী চরিত্র হিসাবে এগুলো বেশ জনপ্রিয়ও ছিলো। তাছাড়া অভাবের তাড়নায় চাকরির জন্য মানুষের দ্বারে দ্বারে ঘুরে “কর্ম খালি নাই” নামক সেই বানীটিও টেক্সটাইল খাতেরই অংশ।
তাই হুজুগে অনেক মানুষই যারা টেক্সটাইল নামক শব্দটাকে খুজে পান না কিংবা পেয়েও না বুঝার ভান ধরেন তাদের জন্য উপরোক্ত উদাহরনগুলো আশার বানী হয়ে রইলো, সেই সাথে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার দৃঢ় প্রত্যয়।
খালেদুর রহমান সিয়াম
টেক্সটাইল ইন্জিনিয়ারিং, ৯ম ব্যাচ
জাতীয় বস্ত্র প্রকৌশল ও গবেষনা ইন্সটিটিউট