কৃত্রিম সুতা (Artificial_Fiber) গুলোর মধ্যে Rayon অন্যতম। এটিকে প্রকৃতিতে পাওয়া যায়না।এটিকে সাধারণত কৃত্রিম সিল্ক বা Artificial Silk বলা হয়। Natural বা প্রাকৃতিক সিল্কগুলো অনেক দামি। কিন্তু Rayon অনেক সস্তা। বাজারে এর চাহিদা অনেক বেশি। উনবিংশ শতাব্দীতে অনেক উন্নতমানের Rayon তৈরি করা শুরু হয়। ১৯২৪ সালে কৃত্রিম ফাইবার রেয়নের নামকরণ করা হয়।এটি হচ্ছে মানুষের তৈরি প্রথম Artificial Fiber.
**** প্রাথমিকভাবে Rayon কে তৈরি করা হয় Wood Pulp বা কাঠের ভেতরের মজ্জা থেকে। Wood Pulp পাওয়া যায় আমাদের প্রকৃতি থেকেই। যেহেতু প্রকৃতি থেকে আসা কাঠের মজ্জা থেকে Rayon তৈরি হয় সেজন্য একে Semi Synthetic Fiber ও বলা হয়।
কাঠের মজ্জাতে একটা পলিমার থাকে যার নাম সেলুলোজ (Cellulose). Rayon প্রস্তুতির সময় এই সেলুলোজকে বিভিন্ন রাসায়নিক বিক্রিয়া করানোর মাধ্যমে এটাকে দ্রবনীয় পদার্থে (Soluble Compound) রুপান্তর করা হয়। দ্রবনীয় পদার্থগুলোকে Spinneret নামক এক ধরনের মেশিনের মধ্য দিয়ে চালনা করা হয়। Spinneret মেশিনে অনেকগুলো ছিদ্রযুক্ত একটা ঢাকনা থাকে। দ্রবনীয় পদার্থ গুলো এই ছিদ্র দিয়ে সুতার আকারে বেরিয়ে আসে।সুতাগুলো তখন আঠালো এবং চটচটে থাকে যাদেরকে Viscous Compound বলা হয়। পরবর্তীতে বের হওয়া এসব সুতা বা Fiber গুলোকে কঠিন (Solidified) বানানো হয়।এই সুতাগুলোই হচ্ছে Rayon Fiber.
>>এটি প্রাকৃতিক সিল্ক থেকেও অনেক সস্তা।
>>এটিকে বিভিন্ন রং দেয়া যায়।
>>এটি দিয়ে বিভিন্ন ধরনের কার্পেট এবং বিছানার চাদর বানানো হয়।
>>এটিকে অন্যান্য Fiber এর সাথে যুক্ত করে নতুন টাইপের Fiber বানানো যায়।
**কৃত্রিম রেশমবিশেষ
রেয়ন একটি উৎপাদিত পুনর্জন্মের সেলুলোজ ফাইবার হয়। এটা শুদ্ধ সেলুলোজ থেকে তৈরি করা হয়, মূলত কাঠের সজ্জা থেকে, যা রাসায়নিকভাবে একটি দ্রবণীয় যৌগ রূপান্তরিত হয়। তারপর এটি দ্রবীভূত এবং রাসায়নিকভাবে দৃঢ় করা হয় filaments উৎপাদন একটি spinneret মাধ্যমে বাধ্য, প্রায় শুদ্ধ সেলুলোজ সিন্থেটিক fibers ফলে। কারণ রেয়ন প্রাকৃতিকভাবে পলিমার থেকে উৎপাদিত হয়, এটি একটি আধা-সিন্থেটিক ফাইবার বলে মনে করা হয়। নির্দিষ্ট ধরনের রেয়নের মধ্যে রয়েছে ভিস্কোজ, মোডাল এবং লিওসেল, যা প্রতিটি উৎপাদন প্রক্রিয়া এবং সমাপ্ত পণ্যগুলির বৈশিষ্ট্যের মধ্যে পার্থক্য করে। কার্বন ডাইবসফাইড এবং একটি বেস সেলুলয়েজ প্রতিক্রিয়া “viscose” দেয়, একটি দ্রবণীয় পলিমার যা রেয়ন রূপান্তরিত করা যায়।
ভিসকোস রেয়ন….!!!
একটি সময় ছিল যখন সিল্ক তার গুনে মানে এবং সৌন্দর্যে অন্যন্য ছিল। সিল্কের পোষাক পড়া আভিজাত্য হিসেবে গণ্য হত। কিন্তু দাম বেশি হওয়ায় তা সকলের কাছে সহজলভ্য ছিল না, তাই তখন প্রয়োজন ছিল এমন কিছুর যা গুনে মানে এবং সৌন্দর্যে সিল্কের মত হবে আবার দামেও সাশ্রয়ী হবে।
★★১৮৮৫ সালে আবিষ্কার হল এমন কিছু ‘ভিসকোস রেয়ন’
সমস্ত ফাইবারের মাঝে রেয়নকেই বুঝতে সবচেয়ে বেশি ধোকা খেতে হয়। এটি প্রাকৃতিক ফাইবার নয় এমনকি এটি সিনথেটিক ফাইবারও নয়। এটিকে সেমি-সিনথেটিক বলা যেতে পারে। এটি একটি ফাইবার যা রিজেনারেটিং প্রাকৃতিক ম্যাটেরিয়াল দিয়ে তৈরি। যদিও এটি দেখতে কটন, সিল্ক, লিলেন কিংবা উলের মত এবং যদিও এর প্রস্তুত প্রণালী পলিয়েষ্টার এর মত, তার মানে এই নয় যে এর আচরণ ও বৈশিষ্ট্য এই সমস্ত ফাইবার সমূহের মত হবে। রেয়ন এর নিজস্ব কিছু বৈচিত্রময় বৈশিষ্ট্য রয়েছে। তবে এটি রিজেনারেট সেলুলোজ ফাইবার হওয়ায় এর গঠন অনেকটা কটনের মত। এটিকে আর্টিফেসিয়াল সিল্কও বলা হয়।
বিভিন্ন ধরণের রেয়নের মধ্যে ভিসকোস রেয়ন হল একপ্রকার রেয়ন।
যদিও রেয়ন এবং ভিসকোস রেয়ন এর প্রস্তুত প্রণালী একই তবে এর কাচাঁমাল এর ক্ষেত্রে কিছুটা ভিন্নতা রয়েছে। বিভিন্ন ধরণের গাছ-পালার যেমন বাশঁ,সুগার ক্যান ইত্যাদির সেলুলোজ হতে রেয়ন তৈরি হলেও ভিসকোস রেয়ন তৈরি হয় গাছের নরম কাঠের মন্ড এবং কটন লিন্টার্স হতে।
ভিসকোস রেয়ন এর প্রস্তুত প্রণালীতে অধিক পরিমাণে কষ্টিক সোডা (NaOH) ব্যবহৃত হওয়ায় এটি অন্যান্য রেয়নের তুলনায় কম স্থায়ী।
রেগুলার কিংবা ভিসকোস রেয়ন সবচেয়ে প্রচলিত, বহুমুখী এবং সফলতম রেয়ন। এটিকে প্রাকৃতিক অথবা ম্যান-মেইড ফাইবারের সাথে একত্রিত করে বিভিন্ন ধরণের কাপড় তৈরি করা সম্ভব।
ভিসকোস রেয়ন এর কিছু অন্যন্য বৈশিষ্ট্যঃ
১. এটি একটি নরম ফাইবার।
২. এটি পোষাকের কাপড় হিসেবে বহুল ব্যবহৃত হয়।
৩. এটি দেখতে সিল্কের মত , অনুভবে কটনের মত।
Writer information:
Nishat Shama Shupti
Niter 10th Batch