Monday, November 18, 2024
Magazine
More
    HomeJuteস্বপ্ন দেখাচ্ছে পাট !!

    স্বপ্ন দেখাচ্ছে পাট !!

    Traditional Textile Series (পর্ব-০৩)

    ▪ বিশ শতকের পঞ্চাশের দশকের দিকে পাট উৎপাদন খাতে অ-বাঙালিরাই ছিল বেসরকারি বিনিয়োগকারী, কিন্তু ষাটের দশকের প্রথমদিকে কিছু বাঙালি উদ্যোক্তা এই খাতে বিনিয়োগের উৎসাহ প্রকাশ করে। এই বাঙালি উদ্যোক্তারা নিজস্ব উদ্যোগেই ব্যবসা-বাণিজ্য বা ক্ষুদ্র শিল্প ব্যবসায় নিয়োজিত ছিল, কিন্তু ইতোমধ্যে তারা নানা ধরনের ব্যবসা-বাণিজ্য করে বেশ কিছু পুঁজি সঞ্চয় করে। অধিকন্তু, পূর্ব পাকিস্তানে অবাঙালিদের আধিপত্যমূলক শিল্প বিনিয়োগ রাজনৈতিক অসন্তোষের জন্ম দেয়। মূলত এই অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে সরকার এই শিল্পখাতে বাঙালির অংশীদারিত্বের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করে। সরকারের শিল্পমন্ত্রী এ.কে খান পাকিস্তান শিল্প উন্নয়ন সংস্থাকে দুটি অংশে বিভক্ত করার উদ্যোগ গ্রহণ করেন। এর একটি হবে পূর্ব পাকিস্তানের জন্য এবং অন্যটি পশ্চিম পাকিস্তানের জন্য। তিনি এই নীতিও গ্রহণ করেন যে, ২৫০টি তাঁতমিল নিয়েও টিকে থাকা সম্ভব (পূর্বে ৫০০টি তাঁতের প্রয়োজনীয়তার কথা বলা হয়েছিল)। একজন বাঙালি উদ্যোক্তাকে বা একদল উদ্যোক্তাকে ২৫ লক্ষ টাকার পুঁজি (বা সম পরিমাণ টাকার ব্যাংক গ্যারান্টি) নিয়ে পূর্ব পাকিস্তান শিল্প উন্নয়ন সংস্থার সহযোগিতায় একটি পাটকল স্থাপনের অনুমতি দেয়ার ব্যবস্থা করা হয়। এই ব্যবস্থা বাঙালি উদ্যোক্তাদের ১৯৭০ সালের মধ্যে প্রায় ১১,৫০০ তাঁত বা বিভিন্ন শ্রেণীর সমগ্র তাঁতের শতকরা ৩২ ভাগ তাঁত নিয়ে ৪১টি পাটকল স্থাপন করতে সাহায্য করে। মাত্র দুই দশকের মধ্যে এরূপ বৃহৎ পাটশিল্প স্থাপন ছিল প্রকৃতই একটি বড় ব্যাপার। বিশ শতকের পঞ্চাশের দশকে এই বাঙালি উদ্যোক্তারা প্রায় অপরিচিতই ছিলেন।

    ▪ পাট ও পাটজাত দ্রব্য রপ্তানির মাধ্যমে বাংলাদেশ প্রতিবছর বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করে। এজন্য বাংলাদেশে পাটকে ‘সোনালী আঁশ’ বলা হয়। পাট সাধারণত দুই প্রকার। যথা:

    ১. সাদা (Whitejute) বা তিতা পাটঃ (বৈজ্ঞানিক নাম Corchorus capsularis )
    ২. তোষা (Tossa jute) বা মিঠা পাটঃ (বৈজ্ঞানিক নাম Corchorus olitorius)

    এছাড়া আরো একটি উদ্ভিদ হতে পাটের মত তন্তু পাওয়া যায় যার নাম মেস্তাঃ (বৈজ্ঞানিক নাম Hibiscus Cannabinus) । কিছু কিছু দেশে যেখানে পাটের চাষ নেই সেখানে পাটের বিকল্প হিসাবে কেনাফ নামে এক প্রকার উদ্ভিদের আশঁ ব্যবহার করা হয়। বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলের মাটি ও পানির গুনাগুণ, আবহাওয়া ইত্যাদি প্রাকৃতিক কারণে পাটের আঁশের মানের তারতম্যের জন্য পাটকে অঞ্চলভিত্তিক পাঁচটি ভাগে ভাগ করা হয়েছে।

    ১. জাত পাটঃ বৃহত্তর ঢাকা, ময়মনসিংহ, জামালপুর, টাঙ্গাইল ও কুমিল্লা জেলায় উৎপাদিত পাট জাত পাটের অন্তর্গত। এই অঞ্চলে উৎপাদিত সাদা ও তোষা উভয় পাটের আঁশ খুবই শক্ত হয়। পাটের উজ্জ্বলতা ও তৈলক্ততা অধিক থাকে। তোষা পাট উজ্জ্বল শ্যামলা বা সাদা রঙয়ের হয়ে থাকে।
    ২. হার্ড ডিস্ট্রিক্ট পাটঃ বৃহত্তর ফরিদপুর জেলায় উৎপাদিত পাট হার্ড ডিস্ট্রিক্ট পাটের অন্তর্গত। হার্ড ডিস্ট্রিক্ট পাট, জাত পাটের তুলনায় কিছুটা কম সূক্ষ তবে একই শক্তি সম্পন্ন। এই এলাকায় তোষা পাট বেশী চাষ হয়। পাটের উজ্জ্বলতা ও তৈলাক্ততা অধিক থাকে। তৈলাক্ত তোষা পাট উজ্জ্বল কাঁচা সোনা বর্ণের।
    ৩. ডিস্ট্রিক্ট পাটঃ ব্রহ্মপুত্র নদের পশ্চিম পাড়ের অঞ্চল, মূলত বৃহত্তর পাবনা জেলায় উৎপাদিত পাট ডিস্ট্রিক্ট পাটের অন্তর্গত। এছাড়া সিলেট, নোয়াখালী, পার্বত্য অঞ্চলে উৎপাদিত পাট ডিস্ট্রিক্ট পাট হিসাবে ধরা হয়। আঁশ কিছুটা মোটা,উজ্জ্বলতা ও তৈলাক্ততা কিছুটা কম থাকে।তবে আঁশের শক্তি জাত পাটের মত। সাদা পাটের রঙ সাদাটে,তোষা পাটের রঙ বাদামী বা ফ্যাকাশে লাল হয়ে থাকে।
    ৪. সফ্ট ডিস্ট্রিক্ট পাটঃ বৃহত্তর কুষ্টিয়া,যশোর,খুলনা,বরিশাল এলাকায় উৎপাদিত পাট সফ্ট ডিস্ট্রিক্ট পাটের অন্তর্গত। আঁশ অপেক্ষাকৃত মোটা ও নরম,তৈলাক্ততা ও উজ্জ্বলতা কম।
    ৫. নর্দান পাটঃ বৃহত্তর রাজশাহী, দিনাজপুর, রংপুর, বগুড়া এলাকায় উৎপাদিত পাট নর্দান পাটের অন্তর্গত। আঁশ অপেক্ষাকৃত মোটা,তৈলাক্ততা ও উজ্জ্বলতা কম। তবে একই এলাকায় কিছু কিছু স্থানে ভিন্নধর্মী পাট উৎপন্ন হয়।

    ▪ এক সময় দেশের প্রধান রপ্তানি পণ্য ছিল পাট৷ রপ্তানি আয়ের শীর্ষ খাতও ছিল পাট৷ সেই দিন আর নেই৷ কিন্তু বিশ্বব্যাপী ‘সবুজ পণ্য ব্যবহারের যে প্রবণতা বাড়ছে তাতে পাটের সেই সোনালি দিন ফেরার আশা জেগেছে৷ আমাদের পাটশিল্প সময়ে সময়ে কত উত্থান-পতন দেখেছে! আদমজীসহ অনেক পাটকলকে খুন করা হয়েছে৷ খুড়িয়ে খুড়িয়ে চলছে অনেক পাটকল৷ শ্রমিকেরা বেকার হয়ে কেউ চায়ের দোকানে কাজ নিয়েছেন, কেউ বহুতল ভবনের দারোয়ান হয়েছেন৷ আর কেউ এখনো রাস্তায় দাঁড়িয়ে মজুরির জন্য প্রতিবাদ করছেন৷ কিন্তু আমাদের কৃষকেরা যুগের পর যুগ ধরে পাটের সঙ্গে রয়ে গেছেন৷ এক বছর হয়তো পাটের দাম কম পেয়েছেন, কিন্তু পরের বছর ঠিকই নানান সংশয় আর দ্বিধা মাথায় নিয়ে আবার পাট চাষে মজেছেন৷ পাটের জন্য কৃষকের এই দরদ, ভালোবাসা পাটশিল্পের সম্ভাবনাকে প্রতিনিয়ত বাঁচিয়ে রাখছে, এগিয়ে নিচ্ছে৷ আমরা জলবায়ু পরিবর্তন ও বৈশ্বিক উষ্ণায়নের যে কঠিন সময়ে এসে দাঁড়িয়েছি, সেখানেও আমাদের পাটচাষিরা, আমাদের কৃষকের বরাবরের মতো অবতার হয়ে আবির্ভূত হয়েছেন৷ গবেষণায় দেখা গেছে, একজন কৃষক এক হেক্টর জমিতে পাট চাষ করলে তা মোট ১০০ দিনে ১৫ টন কার্বন ডাই অক্সাইড প্রকৃতি থেকে শোষণ করে, আর ১১ টন অক্সিজেন প্রকৃতিকে দেয়৷ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য মতে, ২০১৬ সালে সর্বোচ্চ ৮ লাখ ১৭ হাজার ৩৮৩ হেক্টর জমিতে পাট চাষ হয়েছে, যাকে স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে পাটের ফলনে স্মরণকালের রেকর্ড বলে মনে করছেন মাঠ পর্যায়ের কৃষিবিদরা৷ এই চাষকৃত পাট প্রকৃতিকে কী পরিমাণ অক্সিজেন দিয়েছে আর প্রকৃতি থেকে কী পরিমাণ কার্বন বিষ শোষণ করেছে, সে হিসাব কষতে ক্যালকুলেটর নিয়ে বসতে হবে। সাম্প্রতিক সময়ে পরিবেশ সচেতনতা বৃদ্ধির ফলে বিশ্বময় পাটের বাজার সম্প্রসারণের নতুন সম্ভাবনার আলো ছড়িয়ে পড়ছে৷ যাঁরা পাটের সুদিন হারিয়ে গিয়েছে, ফুরিয়ে গেছে বলে হাহাকার করেন, তাঁদের জন্য কিছু তথ্য দেই৷ ১৮৫০ সালে বাংলায় মাত্র ১৭ হাজার হেক্টর জমিতে হতো পাট চাষ৷ আর এর ঠিক ৫০ বছর পরে ১৯০০ সালে বাংলায় পাট চাষের জমির পরিমাণ ৫০ হাজার হেক্টর হয়ে যায়৷ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের হিসাব মতে ২০১৬ সালে দেশে পাটচাষ হয় ৮ লাখ ১৭ হাজার ৩৮৩ হেক্টর জমিতে৷ সব সীমাবদ্ধতার পরেও প্রতিনিয়ত পাটচাষের পরিমাণ বাড়ার এ চিত্র আমাদেরকে সামনের দিকে তাকাতে উত্‍সাহিত করে৷ কাঁচা পাটের পাশাপাশি বাংলাদেশের বহুমুখী পাটপণ্য পৃথিবীর অসংখ্য দেশে রপ্তানী হয়।

    ▪নতুন জাত উদ্ভাবনের দ্বারপ্রান্তে বাংলাদেশঃ পাট ও ছত্রাকের জীবনরহস্য উন্মোচনকারী বিজ্ঞানী মাকসুদুল আলমের নেতৃত্বে বাংলাদেশের বিজ্ঞানীরা বর্তমানে কয়েক ধরনের বৈশিষ্ট্যপূর্ণ জাত উদ্ভাবনের জন্য কাজ করছেন। দেশের দক্ষিণাঞ্চলের লবণাক্ত এলাকায় চাষোপযোগী লবণসহিষ্ণু জাত, ছত্রাক প্রতিরোধক সাদা বা দেশি পাট ও স্বল্পতম সময়ে ফলন দিতে পারে এমন জাত উদ্ভাবনের জন্য গবেষণা চলছে।

    ▪পাট দিয়ে এখন আরো নানা ধরনের পণ্য তৈরি হচ্ছে৷ প্রচলিত পাটের বস্তা বা ব্যাগ ছাড়াও তৈরি হচ্ছে শো-পিস, শপিং ব্যাগ, হ্যান্ড ব্যাগ, পর্দা, টেবিল ম্যাট, ফ্লোর ম্যাট, মেয়েদের গহনা, স্যান্ডেল, বেড কভার, কুশন কভার, সোফা কভার, পর্দা, টেবিল ম্যাট, কার্পেট, ডোরম্যাট, শতরঞ্জি, ফতুয়া, কটি প্রভৃতি৷ পাট দিয়ে বিকল্প পলিব্যাগ তৈরির একটি প্রকল্পও শুরু হয়েছে৷ ডেনিম জিন্স তৈরির জন্যও সরকার প্রকল্প দিয়েছে৷ আছে পাট পাতার হার্বাল চা, যা রপ্তানি হচ্ছে জার্মানিতে৷ পাট দিয়ে বিকল্প পলিব্যাগ তৈরির প্রকল্পেও আছে জার্মান কারিগরি সহায়তা৷ চলুন আরো কিছু পাটের আবিষ্কার সম্পর্কে জেনে আসি-

    ▪পাট থেকে ঢেউটিনঃ সৃষ্টির শুরু থেকে প্রতিনিয়ত আমরা কোনো না কোনো আবিষ্কারের আভাস পেয়ে যাচ্ছি । তার মদ্ধ্যে কিছু ব্যতিক্রমী আবিষ্কার থাকে যা সত্যি ই অবাক করে দেওয়ার মত। ঠিক তেমনি অবাক করার মত এক আবিষ্কার নিয়ে হাজির হলেন বাংলাদেশি বিজ্ঞানী ড. মুবারক আহমেদ খান। যখন আবিষ্কারের নামটি শুনবেন, তখন আপনিও অবাক হবেন এবং বিশ্বাস নাও হতে পারে আপনার। আচ্ছা, আমরা তো সকলে টিন সম্পর্কে জানি। তবে যদি বলা হয় এই টিনই হতে পারে পরিবেশ বান্ধব, তবে কি অবাক হবেন?
    হ্যাঁ অবশ্যই অবাক হবেন। বিজ্ঞানী ড.মুবারক আহমেদ খান সকল কে অবাক করে দিতেই এমন এক অদ্ভুত আবিষ্কার নিয়ে হাজির হলেন। আবিষ্কারটি হচ্ছে পাট দিয়ে পরিবেশ বান্ধব টিন তৈরি। পাটের ইংরেজী প্রতিশব্দ হচ্ছে Jute । তাই পাট দিয়ে তৈরি বলে এই টিনের নাম জুটিন। বাংলাদেশের এই বিজ্ঞানীর বিশ্বাস, এই জুটিন ১০০ বছর অনায়াসে রোদ, বৃষ্টি, ঝড়ের মোকাবেলা করে টিকে থাকতে পারে। টিনের প্রধান উপকরণ লেড এবং জিংকের যোগান পুরোটাই আমদানি নির্ভর। এই অর্থসাশ্রয়ের কথা চিন্তা করেই বিজ্ঞানী এই আবিষ্কারটি করেন। কারণ এই জুটিনের ব্যবহার বাড়লে প্রতি বছর সাশ্রয় হবে বিপুল পরিমান বৈদেশিক মুদ্রা।

    ▪পলিথিনের বিকল্প পাটের ব্যাগঃ দেখে মনে হবে পলিথিনের ব্যাগই৷ ব্যবহারও করা যাবে পলিথিনের মতোই৷ কিন্ত সেটি মোটেও পরিবেশ দূষণকারী নয়৷ কেননা এই ব্যাগের কাঁচামাল পাট৷ যা ফেলে দিলে মাটি বা পানির সঙ্গে মিশে যায় অনায়াসে৷ এই সোনালি ব্যাগের উদ্ভাবক বাংলাদেশের একজন বিজ্ঞানী৷

    ▪পাটের পাতা থেকে সবুজ চাঃ বাংলাদেশে পাটের পাতা থেকে ‘সবুজ চা’ উৎপাদন শুরু হয়েছে৷ এরইমধ্যে তা রপ্তানি হচ্ছে জার্মানিতে৷ তবে বড় পরিসরে উৎপাদন শুরু করতে আরো সময় লাগবে৷ সেজন্য জামালপুরে একটি কারখানা স্থাপনের কাজ শুরু হয়।

    ▪পাট কেবল আঁশ আর শাক নয়, স্বাস্থ্য ও পুষ্টি উপকারীও বটেঃ আবাদি ও অনাবাদি মিলে পাটের (Corchorus spp) ৬০ টি প্রজাতি আছে। দেশী পাট (Corchrorus capsularis) এবং তোষাপাট (Corchous olitorius) প্রধানত আঁশের জন্য আবাদ করা হয়। তবে এ দুটি প্রজাতির কচি পাতা শাক হিসাবে ও ব্যবহার হয়। অন্যান্য অনাবাদি প্রজাতিগুলির পাতা কুড়িয়ে পাওয়া শাক হিসেবে ব্যবহার করা হয় পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে । মিশরীয় সভ্যতা বিকাশের সাথে পাট শাক ব্যবহারের উল্লেখ পাওয়া যায়। এক সময় ব্যাবিলনের রাজপথে পাট শাক ফেরি করে বিক্রী হতো। জানা যায় পাট শাক ফেরাউন এবং রানী ক্লিপ্রেট্টার পছন্দের তালিকায় ছিল। স্থান ভেদে পাট শাকের বিভিন্ন স্থানীয় নাম পাওয়া যায় যেমন mulukhiya,molohiya, mloukhiya ইত্যাদি।

    পুষ্টি গুণঃ পাট শাকে প্রচুর পরিমাণ খনিজ লবণ যেমন পটাশিয়াম,আয়রন, ক্যালশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, ফসফরাস, সেলেনিয়াম এবং ভিটামিন যেমন ভিটামিন সি, ই, কে, বি- ৬ এবং নিয়াসিন রয়েছে। পাট শাকে আরো আছে এন্টিঅক্সিডেন্ট, ক্যারোটিন,এবং খাদ্য আঁশ যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।

    ▪যুগ যুগ ধরে বাংলাদেশের পাটশিল্প বিভিন্ন সমস্যার মোকাবেলা করে আসছেঃ

    ১. স্থবিরতা বা রপ্তানি মূল্য হ্রাসের পরিপ্রেক্ষিতে উৎপাদন খরচ বৃদ্ধি।
    ২. পুরাতন যন্ত্রপাতির উৎপাদন ক্ষমতা হ্রাস।
    ৩. শ্রমিক সমস্যা।
    ৪. বহুবিস্তৃত দুর্নীতি।
    ৫. অদক্ষ ব্যবস্থাপনা।

    এর ফলে পুঞ্জীভূত বিশাল পরিচালন লোকসান প্রভৃতি বহুবিধ কারণে এক সময়ের একটি গতিশীল শিল্প বর্তমানে ‘অস্তমিত’ শিল্প হিসেবে অভিহিত হচ্ছে এবং সোনালি অাঁশ তার ঔজ্জ্বল্য অনেকাংশে হারিয়ে ফেলেছে।

    Writer:

    Sajjadul Islam Rakib
    Dept. of Textile Engineering
    National Institute of Textile Engineering and Research-NITER (10th Batch)

    RELATED ARTICLES

    LEAVE A REPLY

    Please enter your comment!
    Please enter your name here

    Related News

    - Advertisment -

    Most Viewed