একটা স্বপ্ন নিয়ে মধ্যবিত্ত পরিবার থেকে উঠে আসা একগুচ্ছ তরুন মেধাবীদের ঈদগাহ নামে পরিচিত “জাতীয় বস্ত্র প্রকৌশল ও গবেষনা ইনন্সিটিউট (নিটার”। দেখতে দেখতে ১০টি ব্যাচের পথচলা এখানে। কেউবা হতে এসেছে বস্ত্র প্রকৌশলী হতে,কেউবা এসেছে তড়িৎ প্রকৌশলী হতে কিংবা কেউ ফ্যাশন নিয়ে নিজেকে স্মার্ট করে দেশীয় ডিজাইনার বানাতে।
সে যাই হোক, সবার লক্ষ্যে থাকে একটাই -এ বয়সটাতে এসে যেন পরিবারের বোঝা হয়ে না যায়। শরীরের বার্ধ্যক্য যদি হয় বুড়ো বয়সে তবে পড়াশোনার বার্ধক্য বোধহয় উচ্চমাধ্যমিকের পর থেকেই শুরু হয়। কে চায় এই বার্ধক্যজনিত উচ্চতর শিক্ষার্জনের সময়ে এসে বাবা-মায়ের টানপোড় সংসারে নিজেকে বোধা হিসাবে অধিষ্ঠিত করতে? আর তাইতো একটা ক্যাম্পাসের সকল ছাত্র-শিক্ষকের প্রানের দ্বাবী হয়ে উঠেছে যেন তাদের পদচারিত এই ক্যাম্পাসটি সরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরিত হয়। আর এরকম দ্বাবীতেই মুখোরিত ছিলো আজকের “জাতীয় বস্ত্র প্রকৌশল ও গবেষনা ইনন্সিটিউট (নিটার) এর ১০ ব্যাচের নবীনবরন অনুষ্ঠানে।
প্রফেসর ড. মোহাম্মদ মিজানুর রহমান স্যারের সভাপতিত্বক্রমে শুরু হওয়া এই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের মাননীয় উপ-মন্ত্রীমহিবুল হাসান চৌধুরী (নওফেল) , এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বিটিএমএ এর প্রেসিডেন্ট ও নিটার গর্ভনিং বডির চেয়ারম্যান জনাব মোহাম্মদ আলী খোকন।
অনুষ্ঠান শুরু হয় প্রফেসর ড. মোহাম্মদ মিজানুর রহমান স্যারের স্বাগত ভাষনের মধ্যে দিয়ে। স্যার ওনার বক্তব্যে নিটারকে পাবলিক বিশ্ববিদ্যায়ে রূপান্তরকরন পরবর্তী নাম প্রস্তাব করেন- “দেশরত্ন শেখ হাসিনা টেক্সটাইল প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্বাবিদ্যালয় বিশ্বাবিদ্যালয় ” এবং ওনি আজকের অতিথিদের মনোযোগ আকর্ষন করেন পাশাপাশি নিটারকে কেন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় করতে হবে তার সপক্ষে বেশ কিছু শক্ত উদ্ধৃতি দাড় করান।
ওনার পরবর্তীতে মোহাম্মদ আলী খোকনও মাননীয় উপমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষন করে নিটারকে পাবলিক করনের প্রচেস্টা করেন।
অবশেষে মন্ত্রী এলেন, বক্তব্য রাখলেন এবং আস্বাস দেন ওনি ওনার সর্বোচ্চ প্রচেষ্টাটুকু করবেন নিটারকে পাবলিক বিশ্বাবিদ্যালয়ে রূপান্তর করার জন্য। এছাড়াও ওনি ওনার বক্তব্যে বেশকিছু দিক নির্দেশনামূলক বক্তব্য দেন যা নিটারের ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য পাথেয় হিসাবে কাজে দিবে।
সকলের বক্তব্য শেষে র্যাপ শো এর আয়োজনের মধ্যে দিয়ে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের পর্ব শুরু হয় সন্ধ্যা পর্যন্ত অব্যহত ছিলো।
খালেদুর রহমান সিয়াম,৯ম ব্যাচ,নিটার