দেশের বৃহত্তম পোশাক মালিক সংগঠন বিজিএমইএ থেকে জানানো হয়েছে,
কোভিড -১৯ মহামারীর প্রেক্ষিতে বাংলাদেশের চিকিৎসক, নার্স এবং হাসপাতালের কর্মীসহ স্বাস্থ্যসেবায় নিয়োজিতদের জন্যে পিপিই স্যুট সরবরাহ করতে তাদের সংগঠন সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। বর্তমান পরিস্থিতিতে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলিসহ আরও অনেক প্রতিষ্ঠান এখন পিপিই খুঁজছেন তাই বিজিএমইএ তাদের অনুদানের জন্য কমপক্ষে ২০,০০০ পিচ পিপিই তৈরী করছে। তাদের তৈরিকৃত পিপিই সমন্ধ্যে বলতে গেলে এক পর্যায়ে জানান, তারা যেটায় কাজ করছে তা হলো স্তর-১ পিপিইর বিকল্প। করোনা রোগীর চিকিৎসা করা চিকিৎসক এবং কর্মীদের জন্যে ৩ থেকে ৪ টি স্তর প্রয়োজন। তাই তাদের প্রোডাক্টগুলো আপাতত সার্টিফাইড না। কিন্তু এটি 100% জলরোধী এবং নকশাটি পেশাদার পিপিইর কাছাকাছি।
সংগঠনটি আরও জানায়, বিশ্বে যা ঘটছে তার কারণে অনেক স্বাস্থ্যকর্মীদের পিপিই ছাড়া তাদের কর্মক্ষেত্রে যোগ দিতে ভয় পাচ্ছে সেই উদ্দেশ্যে বিজিএমইএ সমস্ত ক্রিয়াকলাপের সুরক্ষা আশা করে, কেবল মাত্র করোনার লক্ষণযুক্ত রোগীদের চিকিৎসা করার সময় নয়। এজন্য এখন যা কিছু আছে তাই দিয়ে সহায়তা করছে ।উল্লেখ্য যে, ইতিমধ্যেই বিজিএমইএ এর বানানো পোশাকগুলি স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয় থেকে অনুমোদন দেয়া হয়েছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয় এগুলিকে স্তর-১ এর সাবস্টিটিউট হিসাবে সার্টিফিকেট দিয়েছে।এক্ষেত্রে প্রাইমারী অবস্থায় সংগঠনটির অনেক সদস্য কাপড় দিয়ে সহযোগিতা করছেন এবং তারা কিছু কাপড় কেনার পরিকল্পনাও করছেন ।পরে সংগঠনটি এটি নিশ্চিত করে যে, তারা অন্যান্য সরকারী ও আধা-সরকারী সংস্থাসহ ডিজিএইচএস কে তাদের পিপিই বিতরণ করবে এবং লক্ষ্য এক হওয়ায় তারা অন্যান্য সংস্থা এবং এনজিওর সাথে একজোট হয়ে কাজ করছে।
তবে সংগঠন টি তাদের ফেব্রিকসহ আধুনিক ও জীবানু মুক্ত যন্ত্রপাতির স্বল্পতা স্বীকার করে তাদের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা সম্পর্কে জানান যে , তারা বিকল্পভাবে চীন থেকে ফ্যাব্রিক সোর্সিং করছে যা বর্তমানে বিমানের চলাচলের রুটে গুরুতর বিলম্বের কারণে ১৫ থেকে ২৫ দিনের লিড টাইমে রয়েছে। এমনকি তারা এটাও জানান যে, তাদের চূড়ান্ত লক্ষ্য হলো দেশের চাহিদা মিটিয়ে পিপিইগুলি সারা বিশ্বেও রফতানি করা যায় কিনা তারা এটা নিয়ে কাজ করছে। এ সমন্ধ্যে সংগঠনটি আরও জানায় যে, এরই মধ্যে আইএলও, ডব্লুএইচও, ডাব্লুএফপি, ইউনিসেফ এবং অন্যান্য সংস্থার একটি জোটের সাথে আলোচনায় রয়েছে যেনো এ বিষয়ে তাদের কাছে থেকে সহায়তা পায় ।
সোর্সঃ বিজিএমইএ ওয়েবসাইট
রিপোর্টারঃ-
মোঃ আল-আমিন
পাবনা টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ