কম বেশি অনেক ধরনের ফাইবার সম্পর্কে আমরা জেনেছি। এখন নারিদের সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ স্যানিটারি নেপকিন এ কোন কোন ফাইবার ব্যবহার করা হয় তা জানব।সব ধরনের স্যানিটারি নেপকিন ব্যাবহার যোগ্য নাও হতে পারে।ইহা নির্ভর করে ফাইবারের গুনাগুনের উপর।
স্যানিটারি নেপকিন সবথেকে আরামদায়ক হবে,খুব দ্রুত শোষণের হার এবং ক্ষমতা থাকে,গুণগত মানের দিক থেকে উত্তম এমন ফাইবার ব্যবহার করা হয়★তুলা থেকে স্যানিটারি নেপকিন পরিশোধিত তুলা, নেট ও ব্যান্ডেজের কাপড় দিয়ে তৈরি করা হয় স্বল্প মূল্যের এ ন্যাপকিন।প্রথম ধাপে মেডিক্যাল গঠন, লুস তুলা, নেট, গার্ডার, ফিতা পর্যায় ক্রমে প্যাড গুলো তৈরি করা শুরু হয়।মেডিক্যাল কটন দিয়ে সাইনটিফিক মেজারমেন্টে কেটে নিয়ে পার্ট তৈরি করা হয়, এরপর লুস তুলা রিফাইনিং করে মেডিক্যাল কটনের ভেতর স্থাপন করা। সহজে নেটের আবরণ তৈরি করবার জন্য এক অসাধারন প্রক্রিয়া, একটি গ্লাসের মাপে নেটটিতে তুলা স্থাপন, গার্ডারটিকে সেলাই মেশিন দিয়ে সেলাই করে প্রস্তুত করা হয় স্বাস্থ্যসম্মত স্যানিটারি ন্যাপকিন।★সুতির কাপড় দিয়ে তৈরি স্যানিটারি নেপকিন ২০১১ সালে এবিষয়ে একটি সমীক্ষা চালানো হয়। সমীক্ষায় জানা যাচ্ছে, প্রতি বছর স্যানিটারি ন্যাপকিন থেকে ৯ হাজার টন আবর্জনা তৈরি হয়, যা পরিবেশ দূষিত করে।বাজা্রে চলতি স্যানিটারি ন্যাপকিন ব্যবহার না করে, পরিবেশবান্ধব ন্যাপকিন ব্যবহার করার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।এই ধরনের ন্যাপকিন গোটাটাই কাপড়ের তৈরি হয়। এতে কোনও প্লাস্টিক ব্যবহার করা হয় না। সুতির যে বিশেষ কাপড় দেওয়া হয়, তা চিকিত্সক দ্বারা অনুমোদিত। এতে কোনও রাসায়নিক বা সুগন্ধীও ব্যবহার করা হয় না। এই ধরনের প্যাডে ক্লোরিন থাকে না। সুতির কাপড় দিয়ে তৈরি হওয়ায় ব্যবহারের পর এটি মাটির সঙ্গে মিশে যায়। ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকটি দামী কোম্পানি বাজারে এনেছে এমন ন্যাপকিন। ★কলার তন্তু থেকে স্যানিটারি প্যাড সাম্প্রতিক কালে প্লাস্টিকহীন কাপড়ের কিছু পুনর্ব্যবহারযোগ্য ন্যাপকিনের ব্যবহার চালু হলেও এই পথে নতুন দিশা দিলেন আইআইটি নয়াদিল্লির বি-টেক চতুর্থ বর্ষের দুই ছাত্র অর্চিত আগরওয়াল এবং হ্যারি শেরাওয়াত। কলার তন্তু থেকে অতিরিক্ত শোষণক্ষমতা সম্পন্ন তাঁরা আবিষ্কার করেছেন এমন এক পুনর্ব্যবহারযোগ্য ন্যাপকিন, যা ১২০ বার পর্যন্ত ধোওয়ার পরেও নতুনের মতো ব্যবহার করা যাবে।★গাছ থেকে স্যানিটারি নেপকিন এই ধরনের প্যাডের জন্য তারা ‘কেনাফ ফাইবার’ ব্যবহার করেছে, যার গাছ রয়েছে ভারতের ১২টি রাজ্যে।এই গাছ গ্রিন হাউস গ্যাস তৈরি করে,এই গাছের জন্য খুব কম পরিমাণ জল ও সার প্রয়োজন হয়। এছাড়া ওই গাছের শুষে নেওয়ার ক্ষমতা রয়েছে। জীবাণু প্রতিহত করার ক্ষমতাও রয়েছে।তাই এ গাছ থেকে স্যানিটারি ন্যাপকিন বানাতে শুরু করা হয়। এগুলি সম্পূর্ণভাবে বায়ো-ডিগ্রেডেবল আর এর জন্য কোনও বর্জ্য তৈরি হয় না। ★বর্তমানে কয়েকটি ব্র্যান্ড কর্ন স্টার্চ আর বাঁশের ফাইবার ব্যবহার করছে ।এগুলো স্বাস্থ্য বা হাইজিন রক্ষায় ভাল।
Source – India times, Kolkata 24×7
Mimtul jahan 1st year(clothing and textile)College of home economics