Tuesday, December 3, 2024
Magazine
More
    HomeTechnical Textileহেয়ার ট্রান্সপ্ল্যান্ট সার্জারীতে বায়ো- ফাইবারের ব্যাবহার ঃ

    হেয়ার ট্রান্সপ্ল্যান্ট সার্জারীতে বায়ো- ফাইবারের ব্যাবহার ঃ

    বায়ো-ফাইবার(Bio-fiber) হচ্ছে একধরনের আর্টিফিশিয়াল ফাইবার যেটি মানুষের টাক পড়া সমস্যা অর্থাৎ কম চুল থাকা অথবা চুল না থাকা স্থানে প্রতিস্থাপন করা হয় সার্জারীর মাধ্যমে ।
    আমরা সবাই হেয়ার ট্রান্সপ্ল্যান্ট বা চুল প্রতিস্থাপন চিকিতসার নাম শুনেছি নিশ্চয়ই! এই প্রক্রিয়ায় মাথার চুলের টাক স্থানে চুল প্রতিস্থাপন করা হয় । ধরা যাক, মাথার সামনের দিকের কোনো অংশে চুল কম অথবা টাক।
    সেই স্থানে চুল প্রতিস্থাপন করা হয় মাথার পিছনের অংশের চুল দ্বারা । আর যেখান থেকে চুল নেয়া হয় প্রতিস্থাপনের জন্য সেটি হচ্ছে “ডোনার এরিয়া” । এই ডোনার এরিয়া থেকে চুল এর ফলিকল(follicle) নিয়ে টাক পড়া স্থানে প্রতিস্থাপন করা হয় ।
    আর এটি ই হলো হেয়ার ট্রান্সপ্ল্যান্ট সার্জারী । কিন্তু আমরা কি কখনো চিন্তা করেছি যে, চুল যেহেতু মাথার পিছনের অংশ থেকে নেয়া হয় তাহলে আবার আর্টিফিসিয়াল ফাইবারের দরকার কি ? অবশ্যই দরকার আছে। কেননা মাথার অন্যান্য অংশ অর্থাৎ যেসব স্থান থেকে চুল নেয়া হয়
    প্রতিস্থাপনের জন্য ডোনার এরিয়া হিসেবে সেইসব স্থানে পর্যাপ্ত চুল নাও থাকতে পারে । সেসব কেইসের বিকল্প হিসেবে আর্টিফিসিয়াল ফাইবার বা বায়ো ফাইবার ব্যবহার করা হয়। উল্লেখ্য এই যে, এইসব কেইস খুবই কম অর্থাৎ খুব কম মানুষের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য।

    বায়োফাইবারের স্থায়িত্বকাল ঃ
    টাক পড়া অংশে প্রতিস্থাপনের পর বায়ো ফাইবার গুলো মাথার ত্বকে স্থায়ী হতে ২০-৩০ দিন সময় নেয় এবং বেশ কয়েকবছর স্থায়ী হয় ।

    বায়োফাইবার ট্রান্সপ্ল্যান্ট কি নিরাপদ ?
    জৈব সামঞ্জস্যপুর্ন প্রকৃতির কারনে এটি টাকের চিকিৎসার জন্য কার্যকর পদ্ধতি এবং এটি মানবদেহের জন্য কার্যকরী হওায় এই ট্রান্সপ্ল্যান্ট পদ্ধতিটি সিই(CE)দ্বারা সার্টিফাইড বা অনুমোদনপ্রাপ্ত ।

    বায়ো ফাইবার ট্রান্সপ্লান্ট ও এর ইতিহাস ঃ
    আমরা ইতিমধ্যেই জেনে গিয়েছি হেয়ার ট্রান্সপ্ল্যান্ট ও বায়ো ফাইবার ট্রান্সপ্ল্যান্ট সম্পর্কে । এই আর্টিফিশিয়াল ট্রান্সপ্ল্যান্ট এ যে বায়ো ফাইবার ইমপ্ল্যান্ট করা হয় সেসব ফাইবার উৎপন্ন হয় Polyester Polyethelen Terephthalale Resin Or PBT দ্বারা ।
    বায়োফাইবার ট্রান্সপ্লান্ট সত্তরের দশকে শুরু হলেও বিভিন্ন সীমাবদ্ধতা যেমন ঃ এই সার্জারীর পরবর্তীকালে এলার্জী সমস্যা, ইনফেকশন হওয়া ইত্যাদির কারনে আশির দশকেই নিষিদ্ধ করা হয়েছিল । পরবর্তীতে গবেষনার মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের স্বাস্থ্য পরীক্ষা পাশ করার পর
    ২০০৭ এর দিকে এই চিকিৎসাপদ্ধতিকে অনুমোদন দেয়া হয় ।
    বায়োফাইবার ট্রান্সপ্ল্যান্টের অসুবিধা ঃ
    এটি কোনো দীর্ঘস্থায়ী চিকিৎসা নয় । দেখা যায়, প্রতি বছর ১০-১৫% চুল ঝরে যায় । তাই এই ট্রান্সপ্ল্যান্টের স্থায়ীত্বকাল ৮-১০ বছরের বেশি হতে দেখা যায় না । এই ট্রান্সপ্ল্যান্টে বিভিন্ন ধরনের ঝুকি থাকে। যখন ফাইবার গুলো প্রতিস্থাপন করা হয় তখন তখন মানবশরীর এটিকে অজানা হিসেবে
    এবং এর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে তুলে । যার কারনে এর স্থায়ীত্বকাল ও কম হয় ।

    বায়োফাইবার চুলের প্রতিস্থাপন চিকিৎসায় চুলের বিকল্প হিসেবে ব্যবহার করা হলেও এটি কখনই চুলের মতো পুষ্টিগুনসম্পন্ন নয়। যার কারনে এই পদ্ধতিটি স্বল্পস্থায়ী। শুধুমাত্র চুল প্রতিস্থাপনের জন্য পর্যাপ্ত চুলের ঘাটতিতেই বায়ো ফাইবার ব্যবহার করা যায় ।
    কিন্তু হ্যা এটি অবশ্যই গুরুত্ত্বপূর্ন যে আর্টিফিসিয়াল ট্রান্সপ্লান্ট অর্থাৎ বায়ো ফাইবার ট্রান্সপ্ল্যান্ট সার্জারী করার আগে শরীরের বিভিন্নধরনের পরীক্ষা করা ।
    তথ্যসূত্র ঃ
    Doctor.ndtv , tecnifue,aestheticbeauty,turkeyhair etc.

    Writer’s Information :

    Mohamad Mohiminul Pritom
    Department of Textile Engineering(Batch-211)
    Green University Of Bangladesh

    Contact : [email protected]

    RELATED ARTICLES

    LEAVE A REPLY

    Please enter your comment!
    Please enter your name here

    Related News

    - Advertisment -

    Most Viewed