নিঃসন্দেহে ২০১৯ সালে আমরা আমাদের টেক্সটাইল ইন্ডাস্ট্রি তে অনেক প্রভাব বিস্তার করেছে। এই প্রভাব বিস্তারকারী কিছু ফ্যাক্টর হচ্ছে, চীন-আমেরিকা বাণিজ্য যুদ্ধ, বেক্সিট, বৈশ্বিক অর্থনীতির স্থবিরতা এবং দীর্ঘস্থায়ী ও টেকসই উন্নয়ন ক্রমবর্ধমান চাহিদা। ২০২০ সালেও আমাদের টেক্সটাইল ইন্ডাস্ট্রিতে প্রভাব বিস্তারকারী ফ্যাক্টর গুলোর মধ্যে আগের বিষয়গুলো সহ আরো নতুন কিছুও থাকবে। তো নতুন কি কি প্রভাবক আমাদের টেক্সটাইল ইন্ডাস্ট্রি তে প্রভাব ফেলতে পারে তা এক নজরে দেখে নেওয়া যাকঃ
১) Globalization: এই Globalization বা বিশ্বায়ন এমন একটি ট্রেন্ড যা কিনা আমাদের সমগ্র অ্যাপ্পারেল ও ফ্যাশন ইন্ডাস্ট্রিকে নতুন রুপ দিয়েছে। কঞ্জিউমাররা যখন পোশাক-আশাকের নানা-বিধ স্টাইলে আগ্রহ দেখায়, সেই খানে এই বিশ্বায়ন খুবই গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব বিস্তার করে।ম্যানুফেকচারার গন এখন বিশ্বের নানা প্রান্তের মানুষ জনের পোশাকের প্রতি আগ্রহের ব্যাপারেও এখন অনেক মাথা ঘামায়। Globalization এর কারনেই মানুষের পোশাকের প্রতি আগ্রহ জানা যাচ্ছে অনেক সহজেই। ফ্যাশন ব্যান্ড গুলোও এখন অ্যাপ্পারেল ট্রেন্ডে নতুন নতুন সব ভ্যালু অ্যাডেড প্রোডাক্ট তৈরি করতে পারছে।
২) Personalization: স্বনির্ধারণ বা কাস্টোমাইজেশনের এই যুগে, ব্যক্তিগতকরণ বা Personalization পোশাক ক্রেতাদের পছন্দের অন্যতম প্রধান একটি অপশন হয়ে দাঁড়াচ্ছে বর্তমান সময়ে। সবাই কিন্তু এখন নিজেকে নিয়ে ভাবে, যে কোণো জায়গাতেই নিজেকে সবার থেকে আলাদা দেখাতে চায়। ফ্যাশন এর ক্ষেত্রে এই জিনিষ টা আরো ভালো ভাবে বুঝতে পারা যায়। ফ্যাশন ব্র্যান্ডগুলোও এই সুযোগের ফায়দা লুটে নেয়। একটা প্রবাদ আছে যে, “Your Style Speaks Your Personality”. ফ্যাশন ব্র্যান্ডগুলোও ব্যক্তিগতকরণ সম্ভব বা ভোক্তার সুবিধা ও ডিমান্ড অনুযায়ী পোশাক তৈরির দিকে ঝুঁকছে।
৩) Technology: বর্তমান সময়ে হাই-টেক সল্যুশন পৃথিবীর সব জায়গাতেই দেখা যায়। এমনকি আমাদের টেক্সটাইলেও তো আছেই। মেশিনারিজ থেকে শুরু করে ব্যবহার্য পোশাকের মধ্যেও Technology বিদ্যমান। আর প্রতিদিনই এই Technology তার নতুন নতুন সম্ভাবনার দুয়ার খুলে দিচ্ছে। বায়ো-ফেব্রিকেশন লেদার বর্তমান সময়ের অন্যতম একটি আলোচিত টপিক। যা কিনা এই Technology এরই অবদান।
৪) Sustainability: বর্তমান সময় এমন একটা পরিস্থিতি যে টেক্সটাইল এবং পোশাক শিল্পকে পরিবেশ নিয়েও চিন্তা করতে হয়। ফ্যাশন ব্র্যান্ড গুলোও এখন এই Sustainability প্রতি জোর দিচ্ছে। যার কারনে আমাদের এই ইন্ডাস্ট্রি তে sustainability production শুরু হচ্ছে যা কিনা পরিবেশ বান্ধব।
৫) D2C: এইখানে এই D2C এর মানে হচ্ছে, Direct to customer. অর্থাৎ আগে দেখা যেত যে, মানুষ জন কোনো ফ্যাশন হাউজে গিয়ে পোশাক ক্রয় করতো, বর্তমান সময়ে এই ট্রেন্ড টিও কিন্তু পরিবর্তিত হয়ে যাচ্ছে। এখন মানুষজন অনলাইনে শপিং করতেই পছন্দ করে। আর এই ক্ষেত্রে কিন্তু কোনো মধ্যস্থতাকারী কোনো প্রভাবক নেই। যার কারনে, ফ্যাশন ব্র্যান্ড গুলো অনেক দ্রুতই তার ক্রেতার চাহিদা বুঝতে পারছে।