পাড়ায় বা মহল্লায় একসময় ছেড়া প্যান্টস,তালি দেয়া শার্ট পড়লে ট্রলের স্বীকার হতে হতো ,শুনতে হতো নানা রকমের কটুক্তি।কিন্তু বর্তমান সময়ে এসে এগুলো ট্রেড এ পরিণত হয়েছে। চাইলেই যেকেউ এখন এসব পড়তে পারে কোনোরকম হয়রানি ছাড়া।
জানেন কি কাপড়ের এসব ডিজাইন কিভাবে ইন্জিনিয়ারিং এর অন্তর্ভুক্ত হলো?
আজকাল আমরা ফ্যাশনের উপর বেশ সচেতন হয়ে পড়েছি। ড্রেস কোড ছাড়া তো আমরা কাপড়ই পড়তে চাইনা। আর আমাদের এই সচেতনাতাই আমাদেরকে কাপড়ের ডিজাইন নিয়ে ভাবতে শেখায়,শেখায় আধুনিকতা, শেখায় যুগের সাথে তাল মিলিয়ে চলা।
আজকাল দেশের বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ফ্যাশন ডিজাইনের উপর ৪ বছর মেয়াদি কোর্স করানো হয়। দেয়া হয় স্নাতক সম্মাননা।
কিন্তু সেই সম্মাননাকে আরো এক ধাপ এগিয়ে নিয়ে যেতে, পাশাপাশি ফ্যাশন ডিজাইনারদের কেবল মাত্র একটি সেক্টরেই সীমাবদ্ধ না রেখে তাদেরকে আরো সমৃদ্ধ করতে ফ্যাশন ডিজাইনের সাথে এপ্যারেল ইন্জিনিয়ারিং এড করা হয়েছে।
বর্তমানে ঢাকার অদূরে সাভারে অবস্থিত জাতীয় বস্ত্র প্রকৌশল ও গবেষনা ইন্সটিটিউট এ এই কোর্সটি চালু করা হয়েছে। এতে করে একজন ফ্যাশন ডিজাইনার একাধারে ফ্যাশন ডিজাইনার এবং এপ্যারেল ইন্জিনিয়ার হিসাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে পারবে।
সুতরাং বুঝা গেল নিশ্চয় ফ্যাশন কিভাবে ইন্জিনিয়ারিং হলো?
খালেদুর রহমান সিয়াম
টেক্সটাইল ইন্জিনিয়ারিং (৯ম ব্যাচ)
ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অব টেক্সটাইল ইন্জিনিয়ারিং এন্ড রিসার্চ