BGMEA, UNDP এবং GRI এর সাম্প্রতিক সমীক্ষায় দেখা গেছে যে, শুধুমাত্র ৬ শতাংশ বাংলাদেশি গার্মেন্টস কারখানা কোভিড-১৯ মহামারি পরবর্তী পুনরুদ্ধারে নতুন ব্যবসায়িক ধারা এবং উদ্ভাবনী পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। আর এ লক্ষ্যে ঢাকার একটি হোটেলে ভার্চুয়াল প্রোগ্রামের মাধ্যমে ৪৭ টি কারখানার মালিকরা টেকসই পরিকল্পনায় অসাধারণ অবদানের জন্য এক সারটিফিকেশন প্রোগ্রামে অংশগ্রহন করেছেন।
কোভিড-১৯ এর চরম খারাপ সময়ের অভিজ্ঞতার ফলে তৈরি পোশাক প্রস্তুতকারী কারখানাগুলোর দক্ষতা উন্নয়নে, ব্যয় হ্রাস করতে এবং আরও বেশি টেকসই সরবরাহ প্রক্রিয়া সম্পাদনে গার্মেন্টস মালিকরা দৃঢ় প্রতিজ্ঞ হোন।
উপস্থিত গার্মেন্টস মালিকরা আগামী তিন বছরে জ্বালানি, বর্জ্য ও সম্পদের ব্যবহার ২ থেকে ১৫ শতাংশ এবং গ্রিনহাউজ গ্যাস নির্গমণ এবং পানির ব্যববহার প্রতিবছর ৫ থেকে ২৫ শতাংশ হ্রাস করার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছেন। প্রায় ৩৪% বর্জ্যের জন্য পুনরায় ব্যবহার বা পুর্নঃব্যবহারযোগ্য টেকসই প্রক্রিয়াকরনের কথা বলেছেন।
এছাড়াও পরিবেশগত দূষণ রোধে প্রক্রিয়াধীন ব্যবস্থায় ৬ টি গার্মেন্টস ফ্যাক্টরি স্থানীয় জলাশয়ে বর্জ্য নিষ্কাশনের অভিযোগ পাওয়ার বিষয়ে তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ নিয়েছে।
আলোচনায় উঠে আসে যে, বাংলাদেশের প্রায় ৯১ শতাংশ ফ্যাক্টরি, গভীর নলকূপের পানি ব্যবহার করে আর বাকি ফ্যাক্টরি গুলো স্থানীয় পৌরসভার পানি সরবরাহ থেকে পানি সংগ্রহ করে থাকে। তৈরি পোশাক প্রস্তুতকারক কারখানা গুলো মাটির নিচে পানির স্তর, পানিতে রাসায়নিক এবং জৈব রাসায়নিক অক্সিজেনের চাহিদা এবং ZDHC এর নির্দেশিকা অনুসারে টেস্টিং প্যারামিটারে ইফ্লুয়েন্ট ট্রিটমেন্ট প্লান্ট থেকে পানি নির্গমণের দাবি করে।
প্রায় ৯ শতাংশ ফ্যাক্টরি গুলো শোধিত পানি নদীতে এবং বাকি ফ্যাক্টরি গুলো অপরিশোধিত পানি নর্দমার লাইনে নির্গমণ করে এমন তথ্য উঠে আসে। তথ্যে দেখা গেছে যে, সমস্ত অংশগ্রহণকারী ফ্যক্টরি মালিকদের একটি পরিবেশগত ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি ছিল এবং গত তিন বছরে প্লাস্টিকের ব্যবহার তারা গড়ে ৩০ শতাংশ কমিয়েছে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে, বিজিএমইএর সভাপতি রুবানা হক ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সমন্বয়কারী (এসডিজি বিষয়ক) জুয়েনা আজিজ বক্তব্য রাখেন।
Writer Information:
Name: Murshada Prodhan
Institute Name: Primeasia University
Batch:192
Department: Textile Engineering
E-mail Address: [email protected]