Sunday, November 24, 2024
Magazine
More
    HomeTechnical Textileবাঁশগাছের ফাইবার

    বাঁশগাছের ফাইবার

    ক্রমবর্ধমান সময়ে বস্ত্রশিল্পের ব্যপকতা সম্পর্কে কমবেশি আমাদের সবারই জানা। এই শিল্পের প্রয়োজনীয়তা দিন দিন বেড়েই চলেছে। আর তাই মানবসভ্যতার চাহিদা অনুযায়ী, পরিবেশবান্ধব বস্ত্রশিল্পের কথা মাথায় রেখে প্রাকৃতিক উপাদান থেকেই তৈরি করা হচ্ছে বিভিন্ন ধরনের ফাইবার। তেমনি একটি ফাইবার হচ্ছে “ব্যাম্বো ফাইবার”। যা মূলত প্রাকৃতিক উপাদান “বাঁশ” থেকে তৈরি অবাক হওয়ার মত তাইনা, যে আমরা যে “বাঁশ প্রতিনিয়ত আমাদের আশে পাশেই দেখি তার থেকেই বস্ত্রশিল্প।

    তাহলে এই সম্পর্কে কিছু তথ্য জেনে নেওয়া যাক-

    বাঁশ এক ধরনের সেলুলোজিক ফাইবার। এটি তুলো, মোম, উল, এবং রেশম এর পরে ৫ম বৃহত্তম প্রাকৃতিক ফাইবার ।

    এটি ঘাস জাতীয় দ্রুত বর্ধনশীল একটি গাছ। বাঁশ সাধারণত বাংলাদেশ, ভারত, মায়ানমার ও থাইল্যান্ড এ বেশি পাওয়া যায়।

    রাসায়নিক গঠন :

    রাসায়নিক গঠন প্রধানত সেলুলোজ এবং হেমিসেলুলোজ, প্রোটিন, ফ্যাট, পেটিন, ট্যানিন, ৯০% এর বেশি পরিমাণ ফাইবার শুষ্ক ওজন ইত্যাদি। বাঁশের বয়স পার্থক্যের উপর নির্ভর করে সেলুলোজ সামগ্রীতেও ভিন্নতা আসে ।

    ব্যাম্বো ফাইবারের সুতা :

    ব্যাম্বো ফাইবারের সুতাতেও সমান প্রাকৃতিক অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়া বিদ্যমান।

    সাধারণত এই সুতা পাঁচ ধরণের হয়ে থাকে –
    ১. রিং স্পান সুতা

    ২. সিরো স্পান

    ৩. ভার্টেক্স সুতা

    ৪. ওপেন এন্ড সুতা

    ৫. কমপ্যাক্ট সুতা

    বাঁশ থেকে ফাইবার উৎপাদন পদ্ধতি :

    বাঁশ থেকে দুটি পদ্ধতিতে ফাইবার উৎপাদন করা হয়।

    ১. যান্ত্রিক ও

    ২. রাসায়নিক

    তবে রাসায়নিক পদ্ধতি ও আবার দুই ধরণের হয়ে থাকে

    ১. Bamboo lycell

    ২. Bamboo viscous rayon

    ব্যাম্বো ফাইবার ব্যবহারের সুবিধা সমূহ :

    ১. বাঁশ এর সহজলভ্যতা

    ২. বাঁশ পরিবেশবান্ধব একটি উপাদান

    ৩. শরীরকে ক্ষতিকর UV রশ্মি থেকে রক্ষা করতে পারে

    ৪. দ্রুত শোষণ করতে পারে

    ৫. এটি ব্যাক্টেরিয়া প্রতিরোধী

    ৬. এটি সিল্কের মতই নরম

    ৭.শক্তিশালী ঘর্ষণ প্রতিরোধ করতে পারে

    ব্যবহার :

    ব্যাম্বো ফাইবারের পণ্য উচ্চ পরিবেশগত কর্মক্ষমতা সম্পন্ন এবং তার পাশাপাশি পরিবেশগত বন্ধুত্বপূর্ণ। বাঁশ ফাইবার এর মাধ্যমে তৈরি হয় অনেক ধরনের পণ্য।

    যেমনঃ

    ১. আন্ডার গার্মেন্টস

    ২. সফট বেডিং

    ৩. মোজা

    ৪. টাওয়েল

    ৫. টি-শার্ট

    ৬. সোয়েটার

    ৭. কম্বল

    ৮. পাপোস

    ৯. বিভিন্ন ধরনের ব্যাগ

    ১০. ডাইপার, প্যাড, ন্যাপকিন

    ১১. মেডিকেল টেক্সটাইল

    ১২. পর্দা

    ১৩. বাচ্চাদের পোশাক

    ১৪. ফ্লোর ম্যাট

    ১৫. ওয়ালপেপার ইত্যাদি

    Source: Google, wikipedia

    Writer Information:

    Shibli Sadik

    Department of Textile Engineering

    BGMEA University of Fashion & Technology (BUFT)

    Batch-201

    RELATED ARTICLES

    LEAVE A REPLY

    Please enter your comment!
    Please enter your name here

    Related News

    - Advertisment -

    Most Viewed