বিশ্বের সবচেয়ে বড় টেক্সটাইল কারখানা তৈরি করবে বলে ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বর মাসে ঘোষণা দিয়েছিল মিশর।এল মহল্লা শহরে ২০২২ সালের মার্চ মাসে উদ্ভাবন করার কথা এটি।একটি খবরে প্রকাশিত হয়েছিলো যে ৬২২০০০ বর্গমিটার জুড়ে বিস্তৃত এলাকা জুড়ে থাকবে এই কারখানাটি।
বেশ কয়েকটি প্রকাশনা নিশ্চিত করেছিল যে কারখানাটি এখনো নির্মাণাধীন রয়েছে কিন্তু কোভিড ১৯ এর কারণে এটি বেশ কয়েকটি বিলম্বের মুখোমুখি হয়েছে।এটি ২০২১ সালের মাঝামাঝিতে সমাপ্ত হওয়ার কথা থাকলেও মহামারী করোনার কারণে এর সমাপ্তি ২০২১ সাল থেকে ২০২২ সালে পিছিয়েছে এতে সামগ্রিকভাবে 900 মিলিয়ন ইজিপি ব্যয় হয়েছে।
২০২১ সালের মার্চে বাণিজ্য ও পাবলিক এন্টারপ্রাইজ মন্ত্রীর সাথে দেশটির প্রধানমন্ত্রী মোস্তফা মাদবৌলি বৈঠক করেছিলেন।সেখানে উচ্চ মানের তুলা উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে এবং স্থানীয় কারখানার চাহিদা পূরণে কৃষকদের উৎসাহ দেওয়ার জন্য তিনি আহ্বান জানিয়েছিলেন।
পাবলিক বিজনেস সেক্টরের মিশর ট্যুরের সূত্র অনুযায়ী,শ্রমিকদের নতুন কারখানায় স্থাপনকৃত আধুনিক মেশিন গুলোর পাশাপাশি কায়রো,কাফর আল-দাওয়ার এবং ডেল্টা অঞ্চলে বিকশিত হওয়া কারখানাগুলোর জন্য প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে।কারখানা সঠিকভাবে পরিচালনা করা ও দক্ষ জনবল তৈরির উদ্দেশ্যে প্রশিক্ষণ দেওয়ার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছিলো।পরিকল্পনা করা হয়েছিলো যে এখানে ৫ জন প্রশিক্ষক থাকবেন।এই প্রশিক্ষকগণ ১৩০ জনকে প্রশিক্ষণ দেবেন এবং পরবর্তীতে এরাই কর্মীদেরকে পরিচালনা করবেন।
সূত্রগুলো থেকে আরো জানা যায় যে, উল্লিখিত ফ্যাক্টরিগুলো পাবলিক টেক্সটাইল সংস্থাগুলোর ক্ষতিকে বার্ষিক প্রাপ্ত ৩ বিলিয়ন ইজিপি হিসেবে মুনাফায় রূপান্তর করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। বিশাল কারখানাটি তৈরির এই সিদ্ধান্তটি তুলা ও টেক্সটাইল শিল্পকে পুনরুজ্জীবিত করার একটি বড় কর্মসূচি অংশে আসলেও কয়েক দশক তা অবহেলায় ছিল।
তাছাড়া সরকার আরও একটি টেক্সটাইল উদ্যোগে কাজ করছে।২০১২ সালে জেনারেল অথরিটি ফ্রী অঞ্চল(জি এফ আই) মিনিয়া গভর্নেটে ফ্রি জোনে সিস্টেমের মধ্যে বিনিয়োগের জন্য প্রথম টেক্সটাইল শহর প্রতিষ্ঠার জন্য চুক্তি সমাপ্ত করে।চুক্তি অনুযায়ী ৩০৬ টিরও বেশি ফেডডানে শহরটি নির্মিত হবে এবং শহর পরিচালনা করার জন্য একটি সংস্থা প্রতিষ্ঠা করা হবে এবং এতে সব পক্ষের সম্মান অগ্রাধিকার থাকবে।ফেডডান একটি মিশরীয় ইউনিট যা ১.০৩৮ একরের সমান।প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে এটি পরোক্ষ কাজের সুযোগ বাড়বে এবং বিদেশে বাজারগুলোতে রপ্তানির ক্ষমতা বাড়বে। এছাড়াও প্রায় ১৭ হাজার প্রত্যক্ষ চাকরির সরবরাহ করবে।
পরিশেষে,বিশ্বের সর্ববৃহৎ এই কারখানাটি প্রতিদিন গড়ে ৩০ টন উৎপাদন ক্ষমতা সহ ১৮২০০০ স্পিনিং চক্রগুলো কে সমন্বয় করতে প্রস্তুত থাকবে।
Information source:
www.kohantextilejournal.com
www.fibre2fashion.com.
cdn.ampproject.org
www.egypttoday.com
www.nilefm.com
Writer Information:
Md.Shahriar Sakib
Department of Textile Engineering
National Institute of Textile Engineering and Research