টেকনিক্যাল টেক্সটাইল আমাদের টেক্সটাইল জগতের একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ও যুগান্তকারী শাখা। আর টেক্সটাইল সেক্টরটি যে বর্তমানে পোশাকশিল্প ছাড়িয়েও বহুদূর বিস্তৃত আর জনপ্রিয় তারই বাস্তব জ্বলন্ত প্রমাণ আমাদের এই টেকনিক্যাল টেক্সটাইল নামক নতুন শাখাটি।তাছাড়া টেকনিক্যাল শব্দটি শুনেই আন্দাজ করা যায় যে এর সাথে প্রযুক্তির সম্পর্ক রয়েছে। তো চলুন জেনে নেয়া যাক টেকনিক্যাল টেক্সটাইল কি এর ব্যবহার এবং এ সম্পর্কিত সকল তথ্যসমূহের বিস্তারিত।
টেকনিক্যাল টেক্সটাইল বলতে মূলত টেক্সটাইল শিল্পের তৈরি এমন উপাদান এবং পণ্যকেই বুঝায় যারা প্রাথমিকভাবে তাদের প্রযুক্তিগত ব্যবহার এর পাশাপাশি কার্যকারিতার জন্য প্রাধান্য পায়। টেকনিক্যাল টেক্সটাইল এর মুখ্য তিনটি বিষয় হলো: এর বৈশিষ্ট্য,কার্যকারিতা এবং প্রয়োগ।
টেকনিক্যাল টেক্সটাইলের ইতিহাস ও প্রয়োগ:
টেকনিক্যাল টেক্সটাইল এর যাত্রা শুরু হয় ১৯০০ এর দশকে সিন্থেটিক ইয়ার্ন তথা কৃত্রিম সুতার উৎপাদনের মাধ্যমে যা ধীরে ধীরে জনপ্রিয় হয়ে উঠে জনসাধারণের মাঝে। বিশ্বব্যাপী এর উৎপাদন হার চার শতাংশ যা অর্থনীতিতে বিরাট ভূমিকা পালন করে থাকে। আর এ শিল্পের কাঁচামালের মধ্যে রয়েছে :
১)ফাইবার
২)ইয়ার্ন
৩)ফ্যাব্রিক
এর কার্যকারিতার উপর ভিত্তি করে এই সেক্টরটিকে আবার চারটি ভাগে ভাগ করা যায়।
১)যান্ত্রিক ক্ষেত্রে
২)পরিবর্তন বা রূপান্তরে
৩) দৈনন্দিন জীবনযাত্রায়
৪)প্রতিরক্ষায়
এছাড়াও এর প্রয়োগের উপর ভিত্তি করে একে বারোটি ভাগে ভাগ করা যায়।
১)এগ্রোটেক (কৃষিক্ষেত্রে ব্যবহৃত)
২)বিল্ডটেক (গৃহনির্মাণে ব্যবহৃত)
৩)ক্লথটেক (পোশাকশিল্পে ব্যবহৃত)
৪)জিওটেক (জিওটেক্সটাইল বা সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে ব্যবহৃত)
৫)হোমটেক (গৃহসজ্জায় ব্যবহৃত)
৬)ইন্ডুটেক (কারখানায় ব্যবহৃত)
৭)মেডটেক (চিকিৎসাক্ষেত্রে ব্যবহৃত)
৮)মবিলটেক (অটোমোবাইল শিল্পে ব্যবহৃত)
৯) ওয়িকো-টেক (পরিবেশ রক্ষায় ব্যবহৃত)
১০)প্যাকটেক (প্যাকেজিংয়ে ব্যবহৃত)
১১)প্রোটেক (প্রতিরক্ষায় ব্যবহৃত)
১২)স্পোর্টেক (খেলাধুলায় ব্যবহৃত)
এছাড়াও টেকনিক্যাল টেক্সটাইল এর আরও নানাবিধ ব্যবহার রয়েছে যার মাঝে উল্লেখযোগ্য হলো:
১) ফিল্টার পোশাক
২)আসবাবপত্রে
৩) চিকিৎসাক্ষেত্রের স্বাস্থ্যবিধিতে
৪)নির্মাণ উপাদান হিসেবে
এর ব্যাপক ব্যবহারের কারনেই এ সেক্টরটি বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয়, সর্বজন সমাদৃত ও অর্থবহ ভূমিকা রাখে জনসাধারণ থেকে শুরু করে জীবনের প্রতিটি খাতেই।
এগ্রো-টেক:
এগ্রোটেক টেক্সটাইল বলতে মূলত বোঝায় ওভেন, নন ওভেন এবং নিট ফেব্রিক গুলোর কৃষিক্ষেত্রে ব্যবহার। ফসলের সেড দেয়ার জন্য, পোকামাকড় থেকে রক্ষা করার জন্য এবং বিভিন্ন ঋতুতে ফসল উৎপাদনের জন্য এগ্রো টেক্সটাইল ব্যবহার করা হয়। এর সাহায্যে ফসলের মান এবং পরিমাণ বৃদ্ধি পায়। এগ্রোটেক টেক্সটাইলস পরিবেশবান্ধব এবং সহজে ব্যবহারযোগ্য। এগ্রো টেক্সটাইলে বিশেষত ব্যবহৃত হয় ন্যাচারাল ফাইবার ও সিনথেটিক ফাইবার এর। এসব ফাইবার গুলো ব্যবহার করা হয় নেট, সীট, ওভেন, নন ওভেন, নিটেড এবং কোটেড ফেব্রিক হিসেবে। ফসল উৎপাদনের ক্ষেত্রে এগ্রোটেক ব্যবহার করা হয় সূর্যাতাপ থেকে তাপ রক্ষাকারী সেড তৈরিতে, পাখি থেকে ফসল রক্ষার জন্য, নেট তৈরিতে, মাটি কভারকারি ম্যাট তৈরিতে, ফসলের মূল রক্ষার জন্য, ফসল কভার করার জন্য।
বাংলাদেশ একটি কৃষি প্রধান দেশ তাই এগ্রোটেক্সটাইল বাংলাদেশ কৃষি খাতের জন্য একটি অবশ্যম্ভাবী সুযোগ তৈরি করছে। বর্তমানে এগ্রো টেক্সটাইলকে কৃষি সংস্কৃতির মেরুদন্ড বলা হয়। এতেই বোঝা যায় এটি কত গুরুত্বপূর্ণ। এই সম্ভাবনাময় ক্ষেত্রতে যদি বাংলাদেশ আরো বেশি
মনোযোগ দেয় তাহলে বাংলাদেশ কৃষি খাত আরও বহুদূর এগিয়ে যেতে পারবে এবং এটাও অসম্ভব কিছু নয় যে ভবিষ্যতে বাংলাদেশকে সমগ্র বিশ্বে টেকনিক্যাল টেক্সটাইল এর রোল মডেল হিসেবে গণ্য করা হবে।
বিল্ডটেক:
“বিল্ডটেক” শব্দটি বিল্ডিং নির্মাণ কাজে ব্যবহৃত টেকনিকাল টেক্সটাইলকে বোঝায়। অনেক বছর ধরেই নির্মাণে কাজে টেক্সটাইল ব্যবহার করা হচ্ছে। সিন্থেটিক ফাইবারের বিকাশের সাথে সাথে, এই প্রযুক্তির ব্যবহার ক্রমেই বেড়ে চলছে। বর্তমানে বিমানবন্দর, স্টেডিয়াম, স্পোর্টস হল, প্রদর্শনী হল এবং সিনেমা হল, সামরিক ও শিল্প গুদাম সহ বিভিন্ন জায়গায় এই প্রযুক্তির ব্যপক ব্যবহার দেখা যায়।
বিল্ডিং তৈরীতে ব্যবহৃত কংক্রিটের সাথে টেক্সটাইল ফাইবার মিশ্রিত করে কংক্রিটের মান উন্নত করা হয়। এটি টিআরসি বা টেক্সটাইল রিইনফোর্সড কংক্রিট নামে পরিচিত। টিআরসি কংক্রিটের তুলনায় অনেক হালকা কিন্তু কংক্রিটের চেয়ে বেশি মজবুত এবং পরিবেশ বান্ধব।
টিআরসি ব্যবহারের ফলে বর্তমানে ইউভি এবং ইলেকট্রোম্যাগনেটিক বিকিরণ সুরক্ষা এবং খরচ অনেকাংশেই কমানো সম্ভব হচ্ছে।এর সাথে টেক্সটাইল ইন্টিগ্রেটেড এলইডি এবং অন্যান্য ইলেক্ট্রোলিউমেনসেন্ট উপকরণগুলিরও ব্যবহার করা হচ্ছে বর্তমানে।
ক্লথটেক:
ক্লথটেক পোশাক ও পাদুকা শিল্পগুলিতে (মধ্যবর্তী) পণ্যগুলিতে আরও প্রসেসিংয়ের জন্য ব্যবহৃত টেকনিক্যাল টেক্সটাইলগুলির একটি বিভাগ। কাপড় প্রযুক্তি প্রযুক্তির মূল লক্ষ্য হ’ল পণ্যটিতে কিছু কার্যকরী বৈশিষ্ট্য যুক্ত করা যা কিছু নির্দিষ্ট এবং সমালোচনামূলক উদ্দেশ্যগুলিকে উন্নত করে। এই আইটেমগুলি পোশাকের একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান যা পরিধানকারীর যথাযথ ফিট এবং সর্বোত্তম আরাম সরবরাহ করে। যেমন : জুতার লেস জুতার সৌন্দর্য বাড়াতে এবং জুতা সুরক্ষিত করতে সহায়তা করে, জুতার ইন্টারলাইনিং মূলত জুতার কাঠামো তৈরি করতে ব্যবহৃত হয়, জিপার একটি ডিভাইস যা একটি পোশাক বা ব্যাগ বা অন্যান্য নমনীয় উপাদানের খোলা প্রান্ত আঁটকে রাখার জন্য ব্যবহৃত হয়।
আজকাল ক্লথটেক ব্যবহার করা হয় এমন কয়েকটি বড় জায়গা
জুতো লেইস, জুতো ইন্টারলাইনিং, পোশাক সেলাইয়ের থ্রেডস, ইন্টারলিনিংস, জিপ ফাস্টার এবং জিপার, ভেলক্রো, লেবেল এবং ব্রেন্ডস, ইলাস্টিকস এবং প্রসারিত উপাদান, ফিতা, ল্যানিয়ার্ডস এবং টেপস, স্ট্র্যাপস এবং ট্রিমস ইত্যাদি।
জিওটেক:
জিওটেক মুলত জিওটেক্সটাইলের আওতায় পড়ে এবং সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং, মাটির নিচে, মাইনফলক প্রতিস্থাপন ইত্যাদি কাজে ব্যবহৃত হয়।জিওটেক্সটাইল নমনীয় ফ্যাব্রিক থেকে তৈরি এবং মাটির সুরক্ষায়,পরিশোধনে,
পয়ঃনিষ্কাষণে ব্যবহার হয়।এরা মূলত পলিপ্রোপিন, পপলিয়েস্টার থেকে তৈরি করা হয়ে থাকে।এছাড়া তিন ধরনের ফ্যাব্রিক ব্যবহার হয়।
১)ওভেন
২)নিডেল পাঞ্চড
৩)হিট বন্ডেড
এর বিশেষ কিছু ব্যবহারের মধ্যে রয়েছে :
১)সড়ক নির্মাণে
২)রেলপথে
৩)নদীর বাধ নির্মাণ কাজে
৪)পানি নির্গমনে
৫) খেলার মাঠে
হোমটেক:
হোমটেক টেক্সটাইল টেকনিক্যাল টেক্সটাইলের অন্তর্ভুক্ত যা বর্তমানে টেক্সটাইল শিল্পের একটি জনপ্রিয় শাখা। হোমটেক টেক্সটাইল বলতে মূলত গৃহসজ্জায় ব্যবহৃত সামগ্রীকেই বুঝায় যা ঘরের সৌন্দর্যবর্ধনে সহায়ক।হোমটেক টেক্সটাইল সামগ্রী তৈরি হয় নিটিং,উইভিং,ক্রকেটিং,নটিং কিংবা ফাইবারের থেকে।
বাংলাদেশে এর যাত্রা শুরু হয় ১৯৮০ সালে নীট সামগ্রীর মাধ্যমে।হোমটেক টেক্সটাইল এর সবচেয়ে বড় ফ্যাক্টরিটি হচ্ছে এসিএস (ACS) টেক্সটাইল যা ২০০৪ সালে প্রতিষ্ঠিত এবং এর সামগ্রী ইতালি, ফ্রান্স, ইউকে প্রভৃতি দেশে পাওয়া যেত কিন্তু ২০০৪ সালে তা অস্ট্রেলিয়া ও উত্তর আমেরিকাও এর অন্তর্ভুক্ত হয়।
হোমটেক টেক্সটাইলের সামগ্রীকে তিনটি ভাগে ভাগ করা যায়।
১)বেডরুম প্রোডাক্টস
২)কিচেন প্রোডাক্টস
৩)বাথরুম প্রোডাক্টস
এই বেডরুম প্রোডাক্টসের মধ্যে আছে বেডশিট বা বিছানার চাদর, পিলো কভার,কম্বল,কার্পেট, পর্দা,কুশন ইত্যাদি।
কিচেন প্রোডাক্টসের মধ্যে আছে টেবিল ক্লথ,এপ্রোন,ক্লিনিং ক্লথ।আর সবশেষ বাথরুম প্রোডাক্টসের মাঝে আছে ম্যাট,টাওয়াল বা তোয়ালে,বাথ রোবস,শাওয়ার কার্টেন ইত্যাদি। এছাড়াও বর্তমানে জুট ফাইবার থেকেও মাদুর তৈরি করা হয় আর এমন তোয়ালেও রয়েছে যা দ্রুত পানি শোষণ করে এবং শুকিয়ে যায়। তাছাড়াও বিছানার চাদর , কুশন তৈরিতে কটন বা লিনেন ফাইবার এর ব্যবহার,পর্দা,শাল,কার্পেট তৈরিতে পলিয়েস্টার বা ভিন্ন ধরনের ফাইবার ব্যবহৃত হয় যা শক্তিশালী হতে হবে যাতে সহজে ছিঁড়ে না যায়, নমনীয়, আরামদায়ক হয় এবং স্বাচ্ছন্দ্যে ব্যবহার হয় এছাড়াও ঘরকে নান্দনিক করে গড়ে তুলতে গৃহসজ্জায় ও এর ব্যবহার রয়েছে। গৃহের অভ্যন্তরীণ সৌন্দর্যবর্ধনে যেসকল সামগ্রী বা শিল্পের ব্যবহার আছে তার সবই প্রায় হোমটেক টেক্সটাইল এর মধ্যে পড়ে।হোমটেক টেক্সটাইল এর এই ব্যবহার টেক্সটাইল এ একটি নতুন মাত্রা যোগ করেছে কারণ পূর্বে টেক্সটাইলের ব্যবহার কেবল পোশাক বা শিল্পকারখানায়ই সীমাবদ্ধ ছিল কিন্তু বিজ্ঞানের অগ্রগতিতে প্রযুক্তির বহুল ব্যবহারের ফলে এটি গৃহ সামগ্রী ও সৌন্দর্যবর্ধনের মতো নিপুণ কাজেও ব্যবহৃত।
তাছাড়া হোমটেক্সের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ রয়েছে যদি উদ্ভাবনী শক্তি এবং গবেষণার জন্য বিশেষ সুযোগ করে তা যথাযথ উপায়ে কাজে লাগানো যায় এবং সামগ্রী তৈরি করে তা সঠিকভাবে বাজারজাত করে জনসাধারণের কাছে সুলভ মূল্যে পৌঁছে দেয়া যায়।আর ভবিষ্যতে এ শিল্পের গবেষণা, চর্চা আরও বৃদ্ধি করে নতুন নতুন আবিস্কারের মাধ্যমেও হোমটেক টেক্সটাইলকে সমৃদ্ধ করা যাবে।
ইন্ডুটেক:
ইন্ডুটেক বলতে মূলত ইন্ডাস্ট্রিয়াল টেক্সটাইলকে বুঝায় যা বিশেষত সামগ্রী তৈরি, প্রক্রিয়াকরণ,সেবা প্রদান ইত্যাদি নন ট্রেডিশনাল টেক্সটাইল শিল্পে ব্যবহৃত। এর ব্যবহারসমূহ নিম্নরূপ:
১) স্পেস গবেষণায়
২)স্পেস স্যুট তৈরিতে
৩)স্পেসের যান তৈরিতে
৪)মিলিটারিতে
৫)উড়োজাহাজ এ
৬)পরিবেশ রক্ষায়
৭)মহাসড়ক নির্মাণে
৮)কৃত্রিম কিডনি তৈরিতে
৯)ডায়ালাইসিসে
১০)ডিকাটিসিং ক্লথ
১১)বল্টিং ক্লথ
১২)কোটেড এব্রাসিভস
১৩)কনভেয়র বেল্টস
১৪)ড্রাইভ বেল্টস
১৫)কম্পিউটার প্রিন্টার রিবন
১৬)প্রিন্টেড সার্কিট বোর্ড
মেডিটেক:
মেডিটেক টেক্সটাইলের মূল উদ্দেশ্য হলো মানব স্বাস্থ্য এবং সুস্থতা উন্নতি করা। মেডিটেক টেক্সটাইলগুলির মধ্যে প্রধান কাজগুলি হলো স্বাস্থ্যসেবা, স্বাস্থ্যবিধি, নতুন ফাইবার প্রযুক্তি গবেষণা করা এবং কৃত্রিম মেডিটেক টেক্সটাইল পণ্য বৃদ্ধি করা।
মেডিটেক পণ্যগুলির মধ্যে স্বাস্থ্যবিধি, স্বাস্থ্য এবং ব্যক্তিগত যত্নের পাশাপাশি চিকিৎসার জন্য ব্যবহৃত সকল টেক্সটাইল উপাদান অন্তর্ভুক্ত থাকে। মেডিটেক পণ্যগুলি প্রয়োগের উপর ভিত্তি করে বোনা, এবং অ বোনা পণ্য নির্ভর করে । মেডিটেকের ব্যবহার স্বাচ্ছন্দতা ,নমনীয়তা, শোষণ, ফিল্টারিং ইত্যাদির মতো অনেকগুলি বেসিক টেক্সটাইল বৈশিষ্ট্যের উপর ভিত্তি করে। সাধারনত সিন্থেটিক ফাইবার এই পণ্যগুলির উৎপাদনে ব্যবহৃত হয়। মেডিটেকের আওতায় প্রযুক্তিগত টেক্সটাইল কিছু পণ্য নীচে দেওয়া হলো:
যেমন ,শিশুর ডায়াপার, সার্জিকাল ড্রেসিং, কন্টাক্ট লেন্স, কৃত্রিম ইমপ্লান্টস সার্জিক্যাল মাস্ক, স্যানিটারি ন্যাপকিন।
মবিলটেক:
টেকনিক্যাল টেক্সটাইল দিনদিন প্রযুক্তি এবং প্রযুক্তির অ্যাপ্লিকেশনে নতুন মাত্রায় বিপ্লব ঘটাচ্ছে যা টেক্সটাইল শিল্পের ভবিষ্যৎ কে আরও বেশি আকর্ষণীয় এবং শাণিত করে চলছে। মোবাইল টেক্সটাইল গুলি অটোমোবাইল যেমন বাস, ট্রেন এবং গাড়ি সহ বিভিন্ন যানবাহন এবং সিস্টেমে ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়। এসব যানবাহনে মোবাইল টেক্সটাইল ব্যবহারের ক্ষেত্র গুলো হচ্ছে
কার্পেট, ইয়ার ফিল্টার, তেল ফিল্টার, হূড লাইনার, টায়ার কর্ড ফেব্রিক্স, সিট বেল্ট, সিট, সিট কভার, ডোর কেসিং, হেডলাইনার, ড্যাশবোর্ড, সান ভিজার্স, বুট লাইনার, লাগেজ নেট, এয়ার ব্যাগ ইত্যাদি।
বিশেষত আরাম,তাপ নিরোধক, নকশা , যানবাহনের সুরক্ষা এবং প্রয়োজনীয় বিভিন্ন বৈশিষ্ট্যের কারণে মোবাইল টেক্সটাইল এত বেশি গুরুত্বপূর্ণ। যানবাহন উৎপাদনের ক্ষেত্রে ৬০% ইস্পাত, ২০% প্লাস্টিক, ১৫% অ্যালুমিনিয়াম এবং মাত্র ৩% টেক্সটাইল ম্যাটারিয়াল এর ব্যবহার হয়ে থাকে। কিন্তু এসব যানবাহন উৎপাদনের খরচ কমাতে এবং ব্যবহারের ক্ষেত্রে আরো বেশি সুবিধাজনক করার জন্য দিন দিন টেক্সটাইল ম্যাটারিয়াল গুলোর ব্যবহার এই ক্ষেত্রে বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাই বলা যায় অদূর ভবিষ্যতে মোবাইল টেক্সটাইলের ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে।
ওয়িকো-টেক:
ওয়িকো-টেক টেক্সটাইল হল ক্ষতিকারক পদার্থের পরীক্ষার জন্য বিশ্বের অন্যতম পরিচিত একটি লেবেল। এটি গ্রাহকের আত্মবিশ্বাস এবং আস্থার জন্য সমগ্র বিশ্বের স্বীকৃত। ওয়িকোটেক সৃষ্টির প্রধান কারণ হলো পরিবেশের সুরক্ষা করা। ওয়িকো-টেক কে ইকো-টেক বলা হয়ে থাকে। ওকো-টেক প্রধানত বিভিন্ন টেক্সটাইল প্রডাক্ট পরীক্ষা করে তা কতটুকু পরিবেশবান্ধব তা প্রকাশ করে। ওয়িকোটেক টেক্সটাইল গুলো শুধুমাত্র পরিবেশবান্ধব তাই নয় প্রত্যেকটা টেক্সটাইল প্রোডাক্ট বিভিন্ন উপাদান দিয়ে তৈরি থাকে সেই উপাদানগুলো একত্রিত হয়ে সর্বশেষ আমরা যে প্রোডাক্টটি পাচ্ছি তা মানব দেহের জন্য কতটুকু ক্ষতিকর সেটা জানাও বেশ গুরুত্বপূর্ণ। মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর এ এরকম কোন ফেব্রিক্স নিয়মিত পরিধান স্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে। ওয়িকোটেক টেক্সটাইল ইন্ডাস্ট্রি দিন দিন বৃহৎ আকারে বৃদ্ধি পাচ্ছে।
প্যাকটেক:
“প্যাকটেক” বলতে প্যাকেজিং এবং পরবর্তী পরিবহণে ব্যবহৃত উপাদানগুলিকে বুঝানো হয়। পরিবেশগত এবং পুনরায় ব্যবহারযোগ্য প্যাকেজ এবং পাত্রে প্রয়োজন দিন দিন বেরেই চলেছে। যার ফলে বাজারে প্যাকেজিং টেক্সটাইলের পণ্যগুলির জন্য নতুন সুযোগ উন্মুক্ত করছে। বর্তমানে প্যাকটেক দেশে বিদেশে শিল্প, কৃষি এবং অন্যান্য সকল ক্ষেত্রেই ব্যবহার হচ্ছে। পূর্বের ঐতিহ্যবাহী পাট, তুলা বা প্রাকৃতিক আঁশ দিয়ে তৈরি বস্তা এবং ব্যাগগুলির ব্যবহার ধীরে ধীরে কমে যাচ্ছে এবং আধুনিক সিন্থেটিক ফাইবারগুলি সেই জায়গা দখল করে নিচ্ছে।
প্যাকেজিং টেক্সটাইলের উপকরণগুলি নিম্নলিখিত পণ্যগুলিতে বেশি ব্যবহার করা হয়।
১.গুঁড়া এবং দানাদার উপাদানের জন্য এফআইবিসি বড় ব্যাগ (নমনীয় ইন্টারমিডিয়েট বাল্কী ব্যাগ)।
২.লন্ড্রি ব্যাগ এবং অন্যান্য বাল্ক প্যাকেজিং পণ্য।
৩.স্টোরেজ জন্য বস্তা
৪. বিভিন্ন প্যাকেজ বাঁধার জন্য সুতা এবং দড়ি।
৫. নন-পেপার চা ব্যাগ এবং কফি ফিল্টার
৬. সংরক্ষণ, প্যাকিং, পরিবহনে ব্যবহৃতওভেন ফাইবার স্ট্র্যাপিং, লাইটওয়েট কেনাকাটার ব্যাগ গুলি।
৮. নরম লাগেজ , স্কুল ব্যাগ ইত্যাদি ।
প্রোটেক:
প্রোটেক টেক্সটাইল মূলত প্রতিরক্ষার কাজে ব্যবহৃত টেকনিক্যাল টেক্সটাইল এর অন্তর্ভুক্ত। টেকনিক্যাল টেক্সটাইল এর নানাবিধ ব্যবহারের মধ্যে এটি উল্লেখযোগ্য। তবে এর আগে জেনে নেই এ সকল সামগ্রীর বৈশিষ্ট্য বা ধর্ম সম্পর্কে।
সাধারণ বৈশিষ্ট্য /ধর্ম:
১)দাহ্য প্রতিরোধী
২)আগুনের সংস্পর্শে না রাখা
৩)সহজে পরিধানযোগ্য
৪) ভার কম
৫) উচ্চ ঘর্ষণ প্রতিরোধক
প্রটেক টেক্সটাইলের অনেক ব্যবহারের মাঝে আটটি বিশেষ ব্যবহার দেখা যায় যার বিস্তারিত নিম্নরূপ :
১)কারখানায় ব্যবহৃত হাতমোজা বা হ্যান্ডগ্লাভস:
সাধারণত যেকোনো শিল্পকারখানায় শ্রমিকরা নিজেদের প্রতিরক্ষার জন্য এরূপ হ্যান্ড গ্লাভস ব্যবহার করে থাকেন।এ গ্লাভস গুলো মূলত কর্তন,তাপমাত্রা ইত্যাদি থেকে রক্ষা করে থাকে। এর মূল ব্যবহার হচ্ছে ধারালো বস্তু,আগুনের ফুল্কি,তাপ থেকে দেহকে প্রতিরক্ষা প্রদান করে সুরক্ষিত রাখে। এ গ্লাভস গুলো সাধারণত তিন ধরনের হয়ে থাকে।
১)লেদার / চামড়ার তৈরি
২)বুননে তৈরি
৩)নাইট্রাইল থেকে তৈরি
হাতমোজাগুলো তৈরিতে কটনা বা তুলা,এসবেস্টস, পি-এরামিড ইত্যাদি ফাইবার ও ফ্যাব্রিক ব্যবহার হয়।এছাড়া কারখানায় বিশেষভাবে ব্যবহৃত হয় কেভলার,স্পেক্ট্রা,বেসোফিল,
ডাইনিমা।আর চিকিৎসাক্ষেত্রে রাবার বা ল্যাটেক্স এর তৈরি গ্লাভস ব্যবহৃত হয়। কিন্তু এ গ্লাভসের কিছু সাধারণ বৈশিষ্ট্য রয়েছে।
♦️কোমল তাপ প্রতিরোধী
♦️উচ্চ ঘর্ষণ প্রতিরোধী
♦️অপিচ্ছিল প্রজাতির হওয়াতে ভালোভাবে ধরে রাখা যায়
♦️তরল গরম ছিটকানো থেকে প্রতিরক্ষা দেয়
♦️নাইট্রাইল গ্লাভসগুলো রাসায়নিক উপাদান ছিটকালে তা থেকে রক্ষা করে।
২) উচ্চতা আরোহনের পোশাক:
অধিক উচ্চতায় অতি নিম্ন তাপমাত্রা, উচ্চ বেগ এ ঝড়োহাওয়া, তুষারপাত ইত্যাদি থেকে প্রতিরক্ষার জন্য এ পোশাকসমূহ ব্যবহৃত হয়।বিশেষ করে সিয়াচেন নামক যুদ্ধকবলিত ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় এর ব্যবহার দেখা যায়।এর ব্যবহারের কারনে একে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত বা ঠান্ডায় পরিধান উপযোগী পোশাকও বলা যায়।এরও কিছু সাধারণ বৈশিষ্ট্য আছে।
♦️পানিরোধী এবং আর্দ্রতা প্রতিরোধী
♦️শ্বসনযোগ্য
♦️বিশুদ্ধতা বজায় থাকে
♦️সহজে ছিড়ে যায় না
এ ধরনের পোশাকগুলো হাইড্রোফিলিক পলিইউরেথিন কোটিং দ্বারা গঠিত। এর ব্যবহারের মধ্যে রয়েছে
- জ্যাকেট
- ওয়েস্ট কোট
- ট্রাউজার
- গ্লেসিয়ার গ্লাভস
৩)রাসায়নিক উপাদান প্রতিরোধী পোশাক :
এ পোশাকসমূহ সাধারণত পি.ভি.সি,রাবার কোটেড ফ্যাব্রিক থেকে তৈরি হয়।এরা প্রধানত ক্ষতিকর রাসায়নিক উপাদান থেকে দেহকে রক্ষা করে।এ উপাদানগুলো দুইভাবে দেহ থেকে নিষ্ক্রত হয়:
- চামড়া বা ত্বকের মাধ্যমে
- শ্বাস-প্রশ্বাসের মাধ্যমে
যারা মূলত ল্যাব বা কারখানায় কাজ করে তাদের দেহে যেন এসব রাসায়নিক দ্রব্য পৌছে কোনো বিষক্রিয়া ঘটাতে বা শরীরের কোনো ক্ষতি করতে না পারে তাই এই পোশাক তৈরি এবং ব্যবহৃত হয়।
৪)উচ্চ আলোয় প্রতিফলনকারী পোশাক :
যারা মাইন প্রতিস্থাপন, মহাসড়ক, বিমানবন্দর, অন্ধকারে বা ঝুঁকিপূর্ণ জায়গায় কাজ করে তাদের জন্য এ পোশাক বহুল ব্যবহৃত হয় যাতে তারা আলোর প্রতিফলনের মাধ্যমে দিক-নির্দেশনা দিতে এবং পরস্পরের সাথে সংযোগ স্থাপন করতে ও বজায় রাখতে পারে।সাধারণত আরমড ফোর্স,এনবিসি,সেন্ট্রাল প্যারা মিলিটারী ইউনিট বা সিভিল ডিফেন্স ইউনিটরা এ ধরনের পোশাক পরিধান করে থাকেন।
৫)নিউক্লিয়ার জৈবিক ও রাসায়নিক পোশাক (এনবিসি স্যুট):
এ স্যুটগুলো মূলত ক্ষতিকর অপদ্রব্য বা রাসায়নিক উপাদান, তেজস্ক্রিয়া থেকে প্রতিরক্ষার জন্য নির্মিত ও ব্যবহৃত হয়।সৈনিকেদের প্রতিরক্ষার জন্য এ পোশাক এমনভাবে বানানো হয় যেন যেকোনো প্রতিকূল পরিস্থিতিতেও তারা নিজেদের রক্ষা করে কাজ চালিয়ে যেতে পারে এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো ট্রাউজার এবং জ্যাকেট। এ স্যুটগুলোর ও কিছু সাধারণ বৈশিষ্ট্য আছে।
♦️নমনীয় এবং সহজে ঘাম দেহ থেকে বের করে দিতে সক্ষম
♦️পোশাকের তিনটি স্তর রয়েছে।
- বাহ্যিক
- মধ্যভাগ
- অভ্যন্তরীণ
♦️আগুন,তাপ,শীতলতা, পানি নিবারক
♦️শ্বসন উপযোগী
♦️-৩৫ থেকে +৫৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় বেশ কার্যকরী
♦️সহজে ছেদনযোগ্য নয়
♦️উচ্চ ঘর্ষণ প্রতিরোধক
♦️ধৌত উপযোগী
♦️পাঁচ থেকে সাত বছর পর্যন্ত ব্যবহার উপযোগী
৬)আগুন প্রতিরোধী পোশাক :
যারা অগ্নিনির্বাপণ কাজ করে তাদের এবং কারখানায় যারা দাহ্য পদার্থ নিয়ে কাজ করে তাদের সুরক্ষার জন্য এ পোশাক ব্যবহার হয়ে থাকে।আগুন,তাপ,গলিত ধাতুর ক্ষতিকর প্রভাব থেকে রক্ষা করে এ পোশাক। মূলত লোহা পরিশোধনাগারে, স্টিল,এলুমিনিয়াম প্ল্যান্টে,ঝালাইকাজের সময় এ পোশাক অধিক ব্যবহৃত। এ পোশাকগুলো দুই ধরনের হয়।
- ১০০% কটন বা তুলা থেকে তৈরি অদাহ্য
- আগুন নিবারক
পোশাকের সাধারণ বৈশিষ্ট্যসমূহ:
♦️ আগুন প্রতিরোধী
♦️অদাহ্য
♦️শ্বসন উপযোগী
♦️হালকা ওজন
♦️উচ্চ ঘর্ষণ প্রতিরোধী
৭)অগ্নিশিখা প্রতিরোধক ফ্যাব্রিক: এ ফ্যাব্রিক দুই ধরনের হয়ে থাকে।
- কোটেড
- ফায়ার রিটারডেন্ট
সাধারণ বৈশিষ্ট্য:
♦️ আগুনে কম উদ্বায়ী বিষাক্ত
♦️ঘর্ষণ প্রতিরোধক
♦️শ্বসনযোগ্য ও আরামদায়ক
♦️অধিক মাত্রিক স্থায়িত্ব বিদ্যমান
♦️অসাধারণ রঙের হয় এবং সহজে রং নষ্ট হয়না
এ ফ্যাব্রিকের তৈরি পোশাকর ব্যবহারসমূহ:
- পর্দা
- গৃহসজ্জার সামগ্রী
- বেডিং
- কম্বল ইত্যাদি
৮)ব্যুলেট প্রুফ জ্যাকেট:
ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরোধক হিসেবে এ জ্যাকেট ব্যবহৃত হয়।এরা সাধারণত এরামিড,নাইলন ৬৬,ইউএইচএমপিই,কার্বন ফাইবার বা পিবিও থেকে তৈরি করা হয়।ডিফেন্স, প্যারা মিলিটারী ফোর্সে,পুলিশে কর্মরতদের জন্য এ জ্যাকেট ব্যবহার হয় যাতে ব্যুলেট তাদের শরীর ভেদ করে যেয়ে তাদের আহত করতে না পারে।
স্পোর্টস টেক:
ট্রেডিশনাল এবং অ্যাডভেঞ্চারাস স্পোর্টস গুলো বর্তমানে বিশ্বব্যাপী ব্যাপক জনপ্রিয়তা এবং উন্মদনা যুগিয়েছে। এই অ্যাডভেঞ্চারাস স্পোর্টস গুলোর অন্যতম সঙ্গী হল স্পোর্টস সুজ। এই স্পোর্টস সুজ গুলো টেকনিক্যাল টেক্সটাইল এরই একটি অংশ। খেলাধুলার জন্য টেক্সটাইল উৎপাদন দিনদিন উন্নত থেকে উন্নয়নশীল দেশগুলোতে স্থানান্তরিত হচ্ছে। টেক্সটাইল উৎপাদিত ম্যাটেরিয়াল গুলো অ্যাথলেটিক এবং অ্যাথলেটিক স্টাইলের জুতার একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য। টেক্সটাইল ইন্ডাস্ট্রি খেলাধুলার ব্যবহৃত জুতা গুলোর প্রায় ২০% উৎপাদন করে। টেক্সটাইল ম্যাটেরিয়ালের তৈরি জুতাগুলো চামড়ার জুতা গুলোর থেকে কম দামি এবং মানের দিক থেকে বেশি ভালো এবং স্টাইলিশ হয়ে থাকে। এই জুতা গুলো বেশ আরামদায়ক এবং দৌড়, নিয়মিত পরিধান ও বিনোদন পোশাকসহ বিভিন্ন কাজের জন্য ব্যবহৃত হতে পারে। এই স্পোর্টস টেক্সটাইল ম্যাটারিয়াল গুলো শুধুমাত্র জুতা তেই সীমাবদ্ধ নয় ।প্যারাসুট এবং হট এয়ার বেলুনেও এই ফ্যাব্রিক গুলো ব্যবহার করা হয়ে থাকে। স্পোর্টসের প্রতি মানুষের ভালোবাসা বাড়ার সাথে সাথে স্পোর্টস ফেব্রিক গুলোর ও দিন দিন চাহিদা বাড়ছে।
এছাড়াও বিভিন্ন ক্ষেত্রে টেকনিক্যাল টেক্সটাইল ইন্ডাস্ট্রির পদচারণা রয়েছে। বাংলাদেশের অধিকাংশ মানুষই টেক্সটাইল ইন্ডাস্ট্রিকে শুধু গার্মেন্টশিল্পর মধ্যেই বিবেচনা করে কিন্তু টেক্সটাইল ইন্ডাস্ট্রি কত বৃহৎ এবং বিস্তর তা টেকনিক্যাল টেক্সটাইল ইন্ডাস্ট্রি দেখলেই জানা যায়। তবে বাংলাদেশে দিন দিন টেক্সটাইল নিয়ে মানুষের ধারণা পরিবর্তন হচ্ছে। বর্তমানে বাংলাদেশে টেকনিক্যাল টেক্সটাইল নিয়ে উচ্চ শিক্ষা নেয়ার সুযোগ সীমিত। কিন্তু ইউরোপ ও আমেরিকার মতো দেশে টেকনিক্যাল টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারদের ব্যাপক চাহিদা। প্রায় অধিকাংশ ম্যানুফ্যাকচারিং কোম্পানি গুলোতেই টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারদের প্রয়োজন রয়েছে। আশা করা যায় খুব শীঘ্রই টেকনিক্যাল টেক্সটাইলের পদচারণা বাংলাদেশের আসবে এবং এই টেকনিক্যাল টেক্সটাইল ইন্ডাস্ট্রি বাংলাদেশকে আরো কয়েকগুণ এগিয়ে নিতে সহায়তা করবে।
Source Names: Google Scholar, Wikipedia, YouTube, ITTAindia.org, SlideShare.net
Writer Information:
1) Abdullah Al Noman
Ahsanullah University of Science and Technology
Department of Textile Engineering (Batch-39)
2nd year 2nd semester
2) Tasnim Tajmi Islam Arjita
Ahsanullah University of Science and Technology
Department of Textile Engineering (Batch-40)
2nd year 1st semester
3) Abir Hossain Nishan
Ahsanullah University of Science and Technology
Department of Textile Engineering (Batch-41)
1st year 2nd semester