নিজস্ব প্রতিবেদক, নিটার।
“পাখির কলতানে ,ফুলের সুবাসে আজ মেতে উঠেছে মন , বসন্তই যে করেছে এই অপার আয়োজন।” ছয়টি ঋতু বাংলাকে একেক সময় একেক বৈচিত্র্যে উপস্থাপন করে। সাথে করে নিয়ে আসে আগমনীর গান ও যোগ করে নতুন মাত্রা। এর মধ্যে ঋতুরাজ বসন্তে ফুলে ফুলে ছেয়ে যায় চারদিক,পালিত হয় বাসন্তী উৎসব। নিয়মতান্ত্রিক ও যান্ত্রিক জীবন-যাপনের পাশাপাশি ইট পাথরের বেড়াজালে ধুলোবালির আস্তরণে আটকে পড়ে নিশ্চয়ই হাপিয়ে উঠেছি আমরা। এর উপর রয়েছে আমাদের ইউনিভার্সিটি বা একাডেমিক প্রেশার।
সব মিলিয়ে একেবারেই কোনঠাসা অবস্থা হয়ে উঠে আমাদের। মাঝেমধ্যে মন চায় একটু মুক্ত পরিবেশে নিজেকে মেলে ধরতে। ঋতুরাজকে বরণ করতে সাভারের নয়ারহাটে অবস্থিত বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় টেক্সটাইল বিদ্যাপীঠ নিটারে নানান আড়ম্বর ও অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় বসন্তের উৎসব। চিরাচরিত নিয়ম অনুযায়ী ফাল্গুন মাসের প্রথম দিন এই উৎসব পালন করা হয়।
করোনার প্রতিবন্ধকতা পর নিটারে এবার নিটার কালচারাল ক্লাবের উদ্যোগে উদযাপিত হয়েছে ‘শাড়ী-পাঞ্জাবি’ দিবস। ক্যাম্পাস কে সাজানো হয় বসন্তের সাজে। উক্ত উৎসবে সবাই প্রকৃতির সাথে আপন মনে সেজেছে। ছেলেরা পাঞ্জাবী ও মেয়েরা শাড়ীতে প্রকৃতির সাথে নিজেদের মেলে ধরে। সব বৈষম্য ভুলে বসন্তকে বরণ করে নিতে সবাই বাহ্যিক ও মননে ছিলো সদা হাস্যোজ্জ্বল ও কল্যাণকামী।
ব্যানার,ফেস্টুন ক্যানভাসের কালিতে সবাই ফুটিয়ে তোলে বসন্তের প্রতি সবার আপন মহিমা। ফ্রেমবন্দি হয়ে ঋতুরাজ বসন্তের অপরিহার্যতা ভবিষ্যতকে জানান দিতে ভুলেনি কেউ। শিক্ষার্থীরা বলেন,এই ডিজিটাল যুগে এ ধরনের উৎসব সমাজপ্রীতির পাশাপাশি সাহিত্য চর্চার অন্যতম মাধ্যম হতে পারে। একাডেমিক শিক্ষার পাশাপাশি মানসিক চিন্তাচেতনা আরো ত্বরান্বিত করতে এধরনের উৎসবের বিকল্প নেই।