Sunday, December 22, 2024
Magazine
More
    HomeRMGনিরাপদ কর্মস্থলের জন্য ইন্ডাস্ট্রিতে যে নিরাপত্তা ব্যবস্থা রাখা জরুরী

    নিরাপদ কর্মস্থলের জন্য ইন্ডাস্ট্রিতে যে নিরাপত্তা ব্যবস্থা রাখা জরুরী

    ইন্ডাস্ট্রি এমন একটি জায়গা যেখানে বিভিন্ন ধরনের যন্ত্রপাতি ও কর্মী দ্বারা কিছু নির্দিষ্ট পরিমান পণ্য উৎপাদিত হয়। বিশাল অংকের অনেক শ্রমিক একসাথে একটি সাধারন প্ল্যাটফর্মে একযোগে কাজ করে থাকে, তাই তাদের স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তার কথা ভেবে কিছু নিয়ম অনুসরণ করতে হয়।

    একজন প্রকৌশলী যখন একটি ইন্ডাস্ট্রি এর নকশা তৈরি করেন তখন তিনি প্রোডাকশন ফ্লোরে কর্মরত শ্রমিকের নিরাপত্তার সাথে আপোস করবে না। বিপজ্জনক যন্ত্রপাতি স্থাপন এবং নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে কিভাবে মেশিনগুলো পরিচালিত হবে এই বিষয়ে সেই প্রকৌশলীই একটি সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারেন।

    এই ক্ষেত্রে শ্রমিকের নিরাপত্তার ১০০% খুঁতশূন্যতা নিশ্চিত রাখতে অবশ্যই তিনি কিছু কার্যকরী এবং সার্বজনীন স্বীকৃত চিহ্ন ব্যবহার করেন। যদিও ছোট আকারের শিল্পগুলি সর্বাধিক নিরাপত্তা প্রতীক ব্যবহার করে না তবে Entry, Exit, Fire, Alarm, Hazard, Store, Office, Maintains ইত্যাদি বিষয়গুলির ক্ষেত্রে কিছু প্রয়োজনীয় প্রতীক ব্যবহার করে।

    যদি আমরা শ্রমিকের স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তার উপর গবেষণা করি তাহলে ১৯৯৫ সালের আগে এই বিষয় সম্পর্কিত তেমন কোন নিয়ম ও বিধিনিষেধ ছিল না। তাই কাজের সময় এবং ব্যক্তিগত জীবনযাত্রার সময় শ্রমিকের স্বাস্থ্য এবং নিরাপত্তার প্রয়োজনীয়তা মাথায় রেখে পরবর্তী সময়ে কিছু নিয়ম ও বিধির তালিকা তৈরি করা হয়েছিল যেগুলো মালিক পক্ষ শ্রমিকদের জন্য নিশ্চিত করবেন। সমস্ত নিয়ম এবং প্রবিধান সমূহ নিম্নরূপঃ-

    শ্রমিকদের ব্যক্তিগত প্রবিধানসমূহঃ-

    ১) পোশাক সংরক্ষণের জন্য পর্যাপ্ত জায়গা।

    ২) বায়ুমণ্ডলীয় অবস্থা।

    ৩) সুপেয় পানির ব্যবস্থা।

    ৪) সঠিক আসন বিন্যাস।

    ৫) প্রাথমিক চিকিৎসা

    ৬) আলোর পর্যাপ্ততা।

    ৭) বাষ্প, ধোঁয়া, ধুলো এবং অন্যান্য দূষক অপসারণ।

    ৮) টয়লেট।

    ৯) প্রোডাকশন ফ্লোরের এর ড্রেইনেজ সুবিধা।

    ১০) ফায়ার সতর্কতা।

    ১১) অন্যান্য সুবিধা সমূহ এবং এদের রক্ষণাবেক্ষণ।

    সাধারণ নিরাপত্তা সম্পর্কিত প্রবিধানসমূহঃ-

    ১) পরিষ্কার-পরিছন্নতা।

    ২) প্রবেশাধিকার এবং নির্গমন এর নিরাপদ উপায়।

    ৩) সংরক্ষিত জায়গার নিরাপত্তা নিশ্চিতকরন।

    ৪) প্রশিক্ষণ ও তত্ত্বাবধান।

    ৫) ভারী সরঞ্জাম উত্তোলন।

    ৬) ক্ষতিকারক শব্দ এবং শব্দ নিয়ন্ত্রণ থেকে সুরক্ষা নিশ্চিতকরন।

    ৭) বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম সমূহ স্থাপনে নিরাপত্তা।

    ৮) চিহ্ন, রঙ এবং কোডিং এর চিহ্নিতকরণ।

    বিপদজনক পদার্থ সমূহের ক্ষেত্রে প্রবিধানসমূহঃ-

    ১) প্রতিরক্ষামূলক পোশাক এবং সরঞ্জাম।

    ২) তরল ধারণকারী পাত্রসমুহের সঠিক ব্যবহার।

    ৩) রেফ্রিজারেটেড কম্পার্টমেন্ট এবং স্পর্শকাতর জায়গাগুলিতে সুরক্ষা।

    ৪) বিস্ফোরক বা জ্বলন্ত পদার্থ এর জন্য বিশেষ সতর্কতা।

    ৫) বিপজ্জনক পদার্থ এর সঠিক নিষ্কাশন।

    ৬) ক্ষতিকারক পদার্থের নিরাপদ ব্যবহার।

    ৭) বিশেষায়িত মেশিন সমূহ যেগুলো নির্দিষ্ট তাপ ও চাপে কাজ করে থাকে সেগুলোর সঠিক ব্যবহার।

    উপরিউক্ত সকল বিষয় গুলো কেবল শুধুমাত্র শ্রমিকদের জন্যই নয় বরঞ্চ মালিকের জন্যও গুরুত্বপূর্ণ, কারণ একটি অনিরাপদ স্থান কোনও কর্মীকে তাদের সেরা কর্ম সঞ্চালনের জন্য অনুপ্রাণিত করে না। একটি বিপজ্জনক কাজের জায়গা এমন বিপজ্জনক পরিস্থিতি তৈরি করতে পারে যা অবশ্যই ব্যবসার জন্য লাভজনক নয়।

    RELATED ARTICLES

    LEAVE A REPLY

    Please enter your comment!
    Please enter your name here

    Related News

    - Advertisment -

    Most Viewed