“নিটারে বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য উম্মুক্ত বিতর্ক”
ইফতেখার উদ্দিন ফাহিম
দিনভর আবহাওয়া উষ্ণ থাকলেও সন্ধ্যার ঠিক আগমূহুর্তেই নিটার এর আকাশ অন্ধকার হয়ে আসে। এরপর হঠাৎ তীব্র বেগে ঝড়ো হাওয়া, বিদ্যুৎ চমকানো ও ক্ষণিকের মধ্যেই একপশলা বৃষ্টি। কিন্তু তখনও ঘনকালো মেঘের তীব্র গুড়গুড় শব্দ ঠেলে নিটারের প্রতিটি স্পন্দনজুড়ে গুঞ্জিত হচ্ছিলো একটিই দাবি – “নিটারকে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে রুপান্তর চাই”। আর সেই দাবির সাথে একাত্মতা পোষন করে গত ২ ই এপ্রিল মঙ্গলবার সন্ধায় নিটার ক্যাম্পাস প্রাঙ্গণে NITER Debating Society – NDS এর আয়োজনে একটি উন্মুক্ত মডেল বিতর্কের প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়েছে।
উল্লেখ্য বিগত কয়েক বছর ধরে শিক্ষার্থীরা নিটারকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রুপান্তরের দাবি জানিয়ে আসছিল কিন্তু নানা প্রতিবন্ধকতার কারণে তা শুধু দাবির ভিতরেই সীমাবদ্ধ ছিল। ইতোমধ্যে প্রশাসন নিটারকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রুপান্তরের লক্ষ্যে উদ্যোগ গ্রহন করায় শিক্ষার্থীদের মাঝে সৃষ্টি হয়েছে সেই আগের উৎসাহ – উদ্দীপনা। প্রশাসনের সু-উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে এবং নিটারকে একটি পূর্নাঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরের জন্য শিক্ষার্থীদের মধ্যে সচেতনতা ছড়িয়ে দিতে নিটার ডিবেটিং সোসাইটি এ উম্মুক্ত মডেল বিতর্কের আয়োজন করে।
উক্ত বিতর্কের বিষয় নির্ধারন করা হয়, ‘নিটারকে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তর করার জন্য প্রশাসন নয়, ছাত্রদের ভুমিকাই মূখ্য’ অনুষ্ঠানে নিটারের সাধারন শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি আরও উপস্থিত ছিলেন নিটার ডিবেটিং সোসাইটি এর আহবায়ক,সহ আহবায়ক এবং কার্যনির্বাহী সকল সদস্য। এছাড়াও শিক্ষকদের মধ্যে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন ইংরেজি বিভাগের শিক্ষক জনাব তাকিত মল্লিক, এনভায়রনমেন্টাল সাইন্স বিভাগের শিক্ষক জনাব সানজিদা হক রিমু, ওয়েট প্রসেসিং বিভাগের শিক্ষক জনাব রনি মিয়া সহ প্রমুখ। বিচারক হিসেবে নিটারের প্রাক্তন ডিবেটারদের আমন্ত্রন জানানো হয়। বিতর্ক শেষে শিক্ষার্থী এবং শিক্ষকমন্ডলীর অংশগ্রহনের একটি মতবিনিময় সভার পরিবেশ সৃষ্টি হয়।
শিক্ষার্থীরা তাদের দাবিদাওয়া তুলে ধরেন প্রাক্তন শিক্ষার্থী এবং শিক্ষকদের কাছে। অনুষ্ঠানে উপস্থিত অতিথিদের মধ্য থেকে ব্যাজ পরিয়ে ক্লাবের আহবায়ক,সহ-আহবায়ক এবং কার্যনির্বাহী সদস্যদের অফিসিয়ালি স্বীকৃতি প্রদান করা হয়। পরবর্তীতে, সাধারন শিক্ষার্থীদের সাথে একটি প্রশ্নোত্তর পর্ব সম্পন্ন করার মাধ্যমে নিটার ডিবেটিং সোসাইটি এর আহবায়ক জনাব মেহেদী হাসান রুবেল অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষনা করেন।