ঘাস, নলখাগড়া, শণ, এবং সিসল গাছ দড়ি তৈরীর জন্য ব্যবহৃত হতো। এই কাজে ঘাস এবং নলখাগড়ার পুরো গাছ ব্যবহৃত হলেও বাকি দুটোর ক্ষেত্রে উদ্ভিজ্জ তন্তু ব্যবহার করা হয়।
নারকেল তন্তু দিয়ে দড়ি, মেঝের চাদর, মাদুর, ব্রাশ, বস্তা ইত্যাদি প্রস্তুত করা যায়। টুপি তৈরি করতে খড় ও বাঁশ উভয়ই ব্যবহার করা হয়। খড় বা শুকনো ঘাস, তুলার বদলে ঠাসাঠাসি করে গদি হিসেবে ব্যবহার করা যায়। পাল্প উড গাছ, তুলা, ধান, শণ, এবং বিছুটি থেকে প্রাপ্ত তন্তু ব্যবহার করে কাগজ তৈরী করা হয়।
তুলা, পাট, হেম্প, মোডাল এবং এমনকি বাঁশের ফাইবার ব্যবহার করে পোশাক তৈরী করা হয়। পাইনা (আনারস তন্তু) এবং র্যামি ইত্যাদি ব্যবহার করে কাপড় তৈরী করা হয়, সাধারণত অন্যান্য তন্তু যেমন তুলার সাথে মিশিয়ে ব্যবহার করা হয়। বিছুটি থেকে প্রাপ্ত তন্তু শন বা ফ্লাক্সের তন্তুর অনুরূপ। মিল্কুইড কান্ডের তন্তুও ব্যবহারের কথা জানা যায় কিন্তু শণ বা ফ্লাক্সের তুলনায় খুবই দুর্বল। লেসবার্ক গাছের বাকলের ভেতরকার অংশ সুক্ষ জালাকৃতির এবং পোষাক এবং আনুষাঙ্গিক দ্রব্য যেমন দড়ি তৈরীতে ব্যবহৃত হয়।
সিল্ক, ভেলভেট এবং ট্যাফেটাসের মত কাপড়ের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করতে এসিটেট ব্যবহার করা হয়। সমুদ্র আগাছা ব্যবহার করে কাপড় প্রস্তুত করা যায়ঃ আলগিনেট নামে একধরণের পানিতে দ্রবণীয় কাপড় প্রস্তুত করা যায় যা ধরার তন্তু হিসেবে ব্যবহার করা হয়। কাপড়টি শেষ হলে আলগিনেট দ্রবীভূত হয়ে যায় এবং জায়গাটি ফাঁকা হয়ে যায়। কাঠের মন্ড থেকে লায়োসেল নামে একধরণের কৃত্রিম তন্তু পাওয়া যায়। এটাকে কৃত্রিম সিল্কের সমতূল্য হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এটা খুবই শক্ত এবং অধিকাংশ সময়ে অন্যান্য তন্তু যেমন তুলার সাথে মেশানো হয়। শণ, খাগড়া, বিছুটি প্রভূতি গাছ থেকে প্রাপ্ত সুতা বাস্ট নামেই পরিচিত।
Source:Wikipedia
MD. ASHABUL YEAMIN ARYAN
9TH BATCH
NATIONAL INSTITUTE OF TEXTILE ENGINEERING AND RESEARCH