Sunday, November 24, 2024
Magazine
More
    HomeTechnical Textileচীনের বস্ত্রশিল্পের এপিঠ-ওপিঠ

    চীনের বস্ত্রশিল্পের এপিঠ-ওপিঠ



    পৃথিবীর বৃহৎ দেশ চীন, যারা কিনা জনসংখ্যা এর দিক থেকেও বৃহৎ, তাদের বস্ত্রখাতো দেখার মতন।আমদানি-রপ্তানিতেও এই দেশটি অন্য যেকোনো দেশের থেকেই অনেক এগিয়ে।আমদানি-রপ্তানির এই প্রক্রিয়াটি ভালোভাবে প্রয়োগ করেই আজ চীন এতদূর এসেছে।

    বলা যায়,১ম বিশ্বের দেশ আমেরিকার সাথেও এই আমদানি-রপ্তানির দ্বৈরথে কম যায় না চীন।বিশেষ করে এই বস্ত্রখাতে আমদানি রপ্তানির যে দ্বৈরথ তা দেখার মতোন। এই চলতি বছরেই মার্চের দিকে তাদের গার্মেন্টসের আউটপুট রেইট সেই ২০১৪ থেকে যেকোনো বছরের তুলনায় সর্বাধিকভাবে বেড়েছে।তবে তাও কিছু সংখ্যক ম্যানুফ্যাকচারস সমস্যায় ছিলো শুধুমাত্র যুক্তরাষ্ট্রের কিছু সেলের উপর নির্ভরযোগ্য হওয়ার জন্যে।তবে বেইজিং -ওয়াশিংটন এসব ট্রেড ডিলে যদি ভালোভাবে টিকে থাকতে হয় তবে তাদের সাহসী পদক্ষেপ গ্রহণ করতেই হবে।এবং তারা তাই করে।

     

    Botou Golder Integrity Roll Forming Machine Co নামে একটি কোম্পানি তাদের যুক্তরাষ্ট্রের কিছু গ্রাহক হারায় শুধুমাত্র লাইট স্টিল গিরডার আর ফ্রেম বানানোর বারের মূল্য যখন উর্দ্ধমুখী হওয়া শুরু করে।তখন তারা ৮ শতাংশ ছাড় দিয়ে চালিয়ে যায়। বল বেয়ারিং মেকার Cixi Fushi Machinery Co লং টার্ম গ্রাহকদের ৩-৫ শতাংশ ছাড় দিয়েছিলো সেবার। তবুও তা যথেষ্ট ছিলো না,পরবর্তীতে কোম্পানিটি তাদের একটি প্রোডাক্ট সাসপেন্ড করে তাদের মাসিক ৩০,০০০ হাজার ডলার ক্ষতির সম্মুখীন হওয়ার জন্য।

    সেদিকে ক্যালিফোর্নিয়া ভিত্তিক ACOPower কোম্পানি তাদের কিছু দ্রব্যাদির উপর ১০-১৫ শতাংশ মূল্য বাড়ায়। তবে এক্ষেত্রে কোনো বস্ত্রচুক্তি না হলে এই কঠিন সমীকরণ মেলানো কোনোভাবেই সম্ভবপর নয়। তবে কিছু কোম্পানি চীনের বস্ত্র শুল্ক এর পরিবর্তনকে সমর্থন জানায় যা কিনা তারা ১৩ থেকে ১৬শতাংশ করেছিলো চলতি বছরের এপ্রিলের শুরুতে। চীন- যুক্তরাষ্ট্রের এই বস্ত্রখাতে যুদ্ধ তাদের মুদ্রা (ইয়াং -ডলার) বিনিময় হারেও ভালই প্রভাব ফেলছে,যা প্রথমে ছিলো ৬.৯ প্রতি ডলারে,এখন তা ৬.৭ প্রতি ডলারে। তাছাড়া এই বস্ত্রখাতে যুদ্ধ আরও বেগবান করতে দুটো দেশই তাদের নিজস্ব ইলেকট্রনিকস এর উপর যথাযথ ভাবে কর ও মূল্য আরোপ করে চলে,যা বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রের দেখার মতন।

    প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এক্ষেত্রে যথেষ্ট শুল্ক আরোপ করতে থাকেন। তবুও চীনারা বিশ্বাসী খুব শীঘ্রই এই যুদ্ধও শিথিল হবে কারণ এটি যুক্তরাষ্ট্রের জন্যেও যেমন মংগলজনক নয়,তেমন চীনের জন্যেও নয়।অর্থনীতির চাকা যার যার দেশে ভালো ভাবে চলুক এটিই সবাইই চায়।

    শাহ্ আজমাঈন ফাইয়াজ

    ডিপার্টমেন্ট অফ টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং,

    ৯ম ব্যাচ ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অব টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড রিসার্চ।

    Source;- RUETERS & The Daily Star(April23,19)

    RELATED ARTICLES

    LEAVE A REPLY

    Please enter your comment!
    Please enter your name here

    Related News

    - Advertisment -

    Most Viewed