“সমৃদ্ধ আগামীর পথযাত্রায় বাংলাদেশ: সময় এখন আমাদের, সময় এখন বাংলাদেশের “-শিরোনামে দেশের ৪৮ তম এবং বর্তমান সরকারের তৃতীয় মেয়াদের প্রথম বাজেট গত ১৩ জুন বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে ২০১৯-২০ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট উপস্থাপন করা হয়।
উক্ত বাজেটে তৈরি পোশাক খাতের রপ্তানীতে এক শতাংশ প্রণোদনা দেয়ার প্রস্তাব করা হয়। এ জন্য আগামী অর্থ বছরে দুই হাজার ৮২৫ কোটি টাকার বরাদ্ধ প্রস্তাব করা হয়। এছাড়া বর্তমানে তৈরি পোশাকের চারটি খাত ৪ শতাংশ রপ্তানী প্রণোদনার পাশাপাশি আগামী অর্থবছর থেকে তৈরি পোশাকের বাবি সব খাতের জন্য এক শতাংশ রপ্তানী প্রণোদনা প্রস্তাব করা হয়।
বর্তমানে তালিকাভুক্ত ও অতালিকাভুক্ত কোম্পানির করহার যথাক্রমে ২৫ শতাংশ এবং ৩৫ শতাংশ। কিন্তু তালিকা ও অতালিকাভুক্ত দুই ধরনের ই রপ্তানীমুখী তৈরি পোশাক শিল্পের করহার ১২ শতাংশ এবং গ্রিন বিল্ডিং সার্টিফিকেশন থাকলে এ হার ১০ শতাংশ।এছাড়া টেক্সটাইল খাতে আয়কর হার ১৫ শতাংশ। বাংলাদেশের রপ্তানী আয়ের ৮০ শতাংশের বেশি আসে তৈরি পোশাক শিল্প থেকে। এখাতে ৪০ লাখের বেশি মানুষ কর্মরত আছেন।
বাজেট পরবর্তী প্রতিক্রিয়ায় তৈরি পোশাক রপ্তানীকারক দের সংগঠন বিজিএমেএর সভাপতি রুবানা হক বলেন, “এ বাজেট জনকল্যান মুখী বাজেট। শিল্পের দিক থেকে যদি বলেন তাহলে বলব শতভাগ খুশি না হলেও শতকরা ৭০ ভাগ খুশি আমরা।” এছাড়াও তিনি প্রণোদনার হার বাড়ানোর দাবি জানিয়েছেন।
২০১৯-২০ অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত এই বাজেট বিদায়ী অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটের ১৮ শতাংশ বেশি। লেখক: মোঃ
তানভীর হোসেন সরকার।
ডিপার্টমেন্ট অব টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং।
( নবম ব্যাচ ) ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড রিসার্চ।