দেশের সিংহভাগ রপ্তানী আয়ের উৎস টেক্সটাইল শিল্প। যেখান থেকে আমাদের দেশের মোট রপ্তানী আয়ের ৮৪ শতাংশ অাসত। আর এতে করে বাড়ছিলো দেশীয় উদ্দোক্তা এবং টেক্সটাইল ইন্জিনিয়ারদের সংখ্যা। কমছিলো দেশীয় সাধারন মানুষের বেকারত্বের হার। অথচ গত কয়েক বছরে যেন প্রেক্ষাপট পুরোই পাল্টে গেছে।
বন্ধ হয়েছে শ খানেক টেক্সটাইল মিল, বেকার হয়েছে অনেক সাধারন মানুষ। হ্রাস পাচ্ছে টেক্সটাইল জগতের সম্ভাবনা। কিন্তু এবার সেই সম্ভাবনায় আরো কাটা ঘায়ে নুনের ছিটা দেয়ার মতো খবর বের হয়ে এলো। প্রথম তিন মাসে রপ্তানি আয় কমেছে প্রায় ৩ শতাংশ এর মতো। ২০১৯-২০ অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে রপ্তানি আয় কমেছে প্রায় ৩ শতাংশ। এ সময় পোশাক রপ্তানিতে আয় হয়েছে প্রায় ৮০৬ কোটি ডলার, যা আগের বছরের চেয়ে ১ দশমিক ৬৪ শতাংশ কম। রপ্তানির এই নেতিবাচক অবস্থার মধ্যে বাংলাদেশি তৈরি পোশাক পণ্যে অ্যান্টিডাম্পিং শুল্ক বসিয়েছে আর্জেটিনা।
ফলে ডিসেম্বর পর্যন্ত এখাতে ক্রয়াদেশ নিয়েও শঙ্কায় সংশ্লিষ্টরা। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) পণ্য রপ্তানির হালনাগাদ তথ্য প্রকাশ করে। এতে দেখা যায়, বড় কোনো খাতই রপ্তানি আয়ে ভালো করেনি। তিন মাসে পোশাক রপ্তানি আয় হয়েছে প্রায় ৮০৬ কোটি ডলার, যা আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে ১ দশমিক ৬৪ শতাংশ কম। পণ্য রপ্তানির ৮৪ শতাংশ তৈরি পোশাক খাত থেকে আসে। তবে সেই খাতের রপ্তানি কমে যাওয়ায় সামগ্রিকভাবে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে।
এ ছাড়া চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, পাট ও পাটজাত পণ্য, কৃষি প্রক্রিয়াজাত পণ্য, হিমায়িত খাদ্য ও হোম টেক্সটাইলের রপ্তানি আয়ও কমেছে। ভালো করেছে প্রকৌশলপণ্য। এ খাতে মোট আয় ৯ কোটি ৩০ লাখ ডলার, যা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ২৩ শতাংশের মতো বেশি। বলা বাহুল্য, অদূর ভবিষ্যতে এই সেক্টরের অবস্থা কতটা সংকটাপন্ন তা হয়ত ভবিষ্যতই বলে দিবে, তবে অশনির কালো মেঘ আমাদের সুনিপুন রপ্তানিকে তরান্বিত করবে তা কিছুটা হলেও অনুমেয়। হয়ত সরকারী পৃষ্ঠপোষকতায় আমাদের এই সংকটাপন্ন অবস্থা অনেকটাই শিথীল হতে পারে।