ভালো কাপড় খুজতে গেলে এখন সবার আগে যে ব্যপার আপনার চোখে পড়বে তা হল জিএসএম। যত জিএসএম তত ভালো। এই চিন্তাকে পুজি করে ব্যবসায়ীরাও ২৫০-৩০০ জিএসএম ইত্যাদি বলে কাপড় বিক্রিতে নেমেছেন। মূলত জিএসএম বোঝায় প্রতি স্কয়ার মিটার কাপড়ের ওজন কতটুকু। ভালো বা খারাপ এর উপর নির্ভর করে না। যত বেশি জিএসএম হবে কাপড় ততই ভারি হবে। টি শার্ট এর কাপড়ে জিএসএম এর স্ট্যান্ডার্ড পরিমান হল ১৫০-১৭০ জিএসএম। হুডির ক্ষেত্রে ২০০-২৫০ জিএসএম।
কাপড় নির্ভর করে কি ধরনের ম্যাটেরিয়াল ব্যবহার করে কাপড় তৈরী করা হয়েছে তার উপর। যেমন ধরুন ন্যাচারাল ফাইবার এর কথা, ন্যাচারাল ফাইবার এর দাম অনেকটাই বেশি তবে এক্ষেত্রে কাপড় অচিন্তনীয় রকমের কমফোর্টেবল হয়। তবে এতেও কিছু সমস্যা আছে। কাপড়ের শেপ খুব দ্রুত বদলে যায়।
আবার সিনথেটিক কটোন ইউজ করে যে টি শার্ট তৈরি করা হয় সেগুলো সচরাচর দেখা যাওয়া সস্তা কোয়ালিটির। এতে কাপড়ের শেপ ঠিক থাকলেও এগুলো পড়ার পর শরীর জ্বালাপোড়া শুরু হয় অনেকের। রঙ ও ভালো হয় না।
সবদিক চিন্তা করে সবচেয়ে ভালো ফেব্রিক হল অর্গানিক ও সিনথেটিক ব্লেন্ড। এতে কাপড় হয় খুবই আরামদায়ক এবং শেপও থাকে একদম পারফেক্ট।খুব পরিশ্রমসাধ্য ও ব্যয়বহুল প্রক্রিয়ায় তৈরিকৃত সবচেয়ে উন্নতমানের এই টি শার্টগুলোর প্রায় সব দখল করে আছে ইন্টারন্যাশনাল ব্র্যান্ডগুলো।
আর আরেকটা ব্যাপার হলো কাপড়ের ভেতরে বাইরে সকল দিকে একই রকম ফেব্রিক ইউজ করা, একটি টিশার্ট ভালো হওয়ার আরেকটি শর্ত যা সহজে চোখ এড়িয়ে যায়। এই ব্যাপারটি অর্থাৎ ইউনিফর্ম ফাইবার শুধু মাত্র ব্র্যান্ডরাই করে থাকে।
আরো একটি গুরুত্বপূর্ন ব্যাপার হলো কাপড়ের লাইনিং। কারন কাপড়ের ক্ষতি শুরু হয় লাইনিং থেকে। আর লাইনিং করতে ভুল বেশি হয় বলে গার্মেন্টসগুলো লাইনিং ঠিকভাবে করতে চায়না। একটা ব্যাপার মনে রাখবেন যত মোটা লাইনিং হবে কাপড় তত ভালো শেপ ধরে রাখবে।
এটা শুধু ফেব্রিক ভালো চেনার উপায়। এর বাইরে প্রিন্ট ও ডাই এর উপর কাপড়ের কোয়ালিটি নির্ভর করে অনেকাংশেই। তাই উপরের ফ্যাক্ট গুলো ছাড়াও প্রিন্ট এবং ডাইয়িং এর ব্যাপারটাও খেয়ালে রাখতে হবে।
মূল লেখা ফেসবুক থেকে… Mohammad Sakerun Alam
লিখেছেন –