Sunday, November 24, 2024
Magazine
More
    HomeDyeingওয়েট প্রসেসিং টেকনোলজি

    ওয়েট প্রসেসিং টেকনোলজি

    উইভিং থেকে প্রাপ্ত কাপড় বা টেক্সটাইল সামগ্রী ওপর পানি ও বিভিন্ন রাসায়নিক পদার্থ সহযোগে কয়েকটি পর্যায়ক্রমিক ধাপ সম্পন্ন করে, ব্যবহার উপযোগী কাপড় তৈরী করার যে পদ্ধতি সেটাই হলো ওয়েট প্রসেসিং। টেক্সটাইল প্রসেসিংয়ের একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ হচ্ছে ওয়েট প্রসেসিং । কারন এ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে কাপড় ব্যবহার উপযোগী করে তোলা হয় এবং কাপড়ের গুনগত মান পরীক্ষা করা হয় ।

    ওয়েট প্রসেসিংয়ের মূল উপাদান হলো পানি ও বিভিন্ন রাসায়নিক পদার্থ । প্রতিদিন প্রচুর পরিমান পানি ব্যবহার হয়ে থাকে ওয়েট প্রসেসিং ইন্ডাস্ট্রিতে । প্রায় ১০০ লিটার পানি ব্যবহার করা হয়ে থাকে ১ কেজি টেক্সটাইল দ্রবের জন্য । তবে সব রকম পানি ওয়েট প্রসেসিংয়ে ব্যবহার করা যায় না । নির্দিষ্ট পিএইচ (PH), রং, খরতা, অম্লতা ইত্যাদি বিষয়গুলো পরীক্ষা করে নেয়া হয় ব্যবহারের আগে। মাটির প্রায় ৮০০ ফুট নিচের পানি উত্তোলনে করে সেই পানিকে পিউরিফিকেশন করা হয় ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্ট (WTP) এর মাধ্যমে । এরপর উক্ত পানি ওয়েট প্রসেসিংয়ে ব্যবহার করা হয়ে থাকে।

    ওয়েট প্রসেসিং পদ্ধতিতে মূলত ৪ ভাগে ভাগ করা হয়ে থাকে ।
    ➡প্রি-ট্রিটমেন্ট
    ➡ডায়িং
    ➡প্রিন্টিং
    ➡ফিনিশিং
    এ অংশে আলোচনা করবো শুধুমাত্র প্রিট্রিটমেন্ট ধাপটি নিয়ে ।

    প্রি-ট্রিটমেন্টঃ
    উইভিং থেকে প্রাপ্ত কাপড় রং করা এবং প্রিন্টিং করার আগে যে প্রস্তুতিমূলক প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয় সেই প্রক্রিয়াকে প্রিট্রিটমেন্ট বলে ।
    প্রিট্রিটমেন্টসমূহ হলোঃ
    ১.সিনজিং( singeing)
    ২.ডিসাইজিং(De-sizing)
    ৩.স্কাওয়ারিং(Scouring)
    ৪.ব্লিচিং( Bleaching)
    ৫.মার্সেরাইজিং(Mercerising)

    সিনজিং:
    যে পদ্ধতির মাধ্যমে কাপড়ের পৃষ্ঠ হতে আলগা হেয়ারি ফাইবার বা সুতা পুড়িয়ে ফেলে কাপড় মসৃণ করা হয় তাকে সিনজিং বলে।
    তিন ধরনের সিনজিং মেশিন ব্যবহার করা হয় ।
    ১)গ্যাস সিনজিং মেশিন ।
    ২)প্লেট সিনজিং মেশিন ।
    ৩)রোলার সিনজিং মেশিন ।
    এর মধ্যে গ্যাস সিনজিং সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয় । বেশির ভাগ টেক্সটাইল ইন্ডাস্ট্রিগুলোতে এই সিনজিং পদ্ধতি ব্যবহার করা হয় ।

    ডিসাইজিং:
    যে পদ্ধতির মাধ্যমে কাপড় হতে স্টার্চ জাতীয় পদার্থ দূর করার মাধ্যমে কাপড়ের পানি শোষন ক্ষমতা বৃদ্ধি করা হয় তাকে ডিসাইজিং বলে ।
    দুই পদ্ধতিতে ডিসাইজিং করা যায় ।
    ১. হাইড্রোলাইটিক পদ্ধতি (রট স্টিপ,এসিড স্টিপ ও এনজাইমেটিক স্টিপ) ।
    ২. অক্সিডেটিভ পদ্ধতি (ক্লোরিন, ক্লোরাইড, ব্রোমিন)।

    স্কাওয়ারিং:
    যে প্রক্রিয়ার মাধ্যমে টেক্সটাইল সামগ্রী হতে তেল, চর্বি, মোম এবং অন্যান্য অপদ্রব্য, ক্ষার ও ডিটারজেন্ট প্রয়োগের মাধ্যমে দূর করা হয় তাকে স্কাওয়ারিং বলে ।

    ব্লিচিং:
    যে রাসায়নিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে কাপড় হতে প্রাকৃতিক রং জাতীয় পদার্থ দূর করে কাপড়কে ধবধবে সাদা করে তোলা হয় তাকে ব্লিচিং বলে ।
    দুই ধরনের ব্লিচিং এজেন্ট ব্যবহার করা হয় ব্লিচিংয়ে ।
    ১)অক্সিডাইজিং ব্লিচিং এজেন্ট (Oxidizing Bleaching Agent)
    ২.)রিডিউসিং ব্লিচিং এজেন্ট( Reducing Bleaching Agent)

    মার্সেরাইজিং :
    যে প্রক্রিয়ার মাধ্যমে কটন সুতা বা কাপড়কে ক্ষার এবং টেনশন অর্থ্যাৎ টান বা পীড়ন সহযোগে সুতা বা কাপড়ের উজ্জ্বলতা, রং শোষন ক্ষমতা, শক্তি ইত্যাদি বৃদ্ধি করা হয় তাকে মার্সেরাইজিং বলা হয় । ক্ষার হিসেবে সাধারনত সোডিয়াম হাইড্রোঅক্সাইড (NaOH) ব্যবহার করা হয় । সেলুলোজিক ম্যাটেরিয়ালস যেমনঃ কটন, হেম্প ইত্যাদিতে এই পদ্ধতি প্রয়োগ করা হয় ।

    তথ্যসূত্রঃ (গুগল ও উইকিপিডিয়া)

    মোহাম্মদ রাফি
    ডিপার্টমেন্ট অব ওয়েট প্রসেস ইঞ্জিনিয়ারিং
    ১ম ব্যাচ
    ড. এম.এ ওয়াজেদ মিয়া টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ,পীরগঞ্জ, রংপুর ।

    RELATED ARTICLES

    LEAVE A REPLY

    Please enter your comment!
    Please enter your name here

    Related News

    - Advertisment -

    Most Viewed