গ্রামীণ চেক হলো বাংলাদেশের খুবই জনপ্রিয় একটি পোশাক নকশা যা অন্যান্য দেশেও দ্রুত বিস্তৃতি লাভ করেছে। এটি মূলত ডাই থ্রেডের বিভিন্ন রং থেকে গঠিত চতুর্ভূজ বা আয়তনের একটি প্যাটার্ন গঠন করে। গ্রামীণ চেক ডিজাইনের বস্ত্র বাংলাদেশের কুটির-শিল্প শ্রমিকদের দ্বারা প্রথাগত পদ্ধতিতে বোনা কাপড় দ্বারা তৈরী করা হয়।
ইতিহাসঃ
গ্রামীণ চেক গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা এবং নোবেল শান্তি পুরষ্কার বিজয়ী ডঃ মুহাম্মদ ইউনূসের একটি প্রবর্তিত উদ্যোগ। গ্রামীণ ব্যাংকের মাধ্যমে তিনি যে ক্ষুদ্র-শিল্পের বীজ বপণ করেছিলেন তার মধ্যে জামাকাপড় ও নকশাগুলো ছিল এর অংশ।
জনপ্রিয়তাঃ
বাংলাদেশে গ্রামীণ চেক ডিজাইন এবং পোশাক খুবই জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। যেহেতু ফেব্রিক বেশির ভাগই বা সম্পূর্ণভাবে তুলার তৈরি হয়, এটি দেশের উষ্ণ জলবায়ুর জন্য একটি আরামদায়ক পোশাক হিসেবে প্রমাণিত হয়েছে। নকশাটি যুগোপযোগী প্রথাগত পোশাক পরিধান করারও সুযোগ দিয়েছে। যদিও বর্তমান সময়েরও প্রতিনিধিত্ব করছে।
নির্মাতাদের উপর অর্থনৈতিক প্রভাবঃ
গ্রামীণ চেকের অধিকাংশই গ্রামাঞ্চলের প্রথাগত তাঁতি থেকে সরাসরি আসে। গ্রামীণ চেকের জনপ্রিয়তার অর্থ হচ্ছে এই ছোট ব্যবসাগুলো সমৃদ্ধ হচ্ছে এবং তাঁতিরা তাদের কাজ থেকে অর্থ উপার্জন করছে, অন্য কাজের জন্য শহর ও নগরগুলোতে স্থানান্তর এর পরিবর্তে সেখানে ভালো রয়েছে।
সিরাজগঞ্জ দেশের অন্যতম তাঁত অধ্যূষিত এলাকা। এ জেলা তাঁত বস্ত্র উৎপাদনের জন্য অত্যন্ত সুপরিচিত। এই জেলায় তাঁতি পরিবারের সংখ্যা মোট ১৪,৮৭০ এবং তাঁত যন্ত্রের সংখ্যা ১ লক্ষ ৩৫ হাজারের অধিক। প্রতিবছর এই জেলার হস্তচালিত তাঁত থেকে প্রায় ২৩ কোটি মিটার বস্ত্র উৎপাদিত হয়ে থাকে। এছাড়া এই শিল্প জেলার প্রায় ৩লক্ষ মানুষের কর্মসংস্হানের সৃষ্টি করেছে। এই জেলার তাঁতিরা গ্রামীণ চেক কাপড়,শাড়ি, লুঙ্গি, গামছা, থান কাপড়, থ্রী পিচসহ বিভিন্ন ধরনের পোশাক তৈরি করে থাকে।
তথ্য: উইকিপিডিয়া
Writer information:
Sadia Tamanna Binte Taifur
4th year, Batch 21
Clothing & Textile
Bangladesh Home Economics College.