অটোমোবাইল টেক্সটাইল শব্দটির অর্থ বিশ্লেষন করলে সকল ধরণের যানবাহনে ব্যবহৃত টেক্সটাইল উপাদান যেমন: গাড়ি, ট্রেন, বাস, বিমান এবং সামুদ্রিক যানবাহনের মতো পরিবহণে ব্যবহৃত তন্তু, ফিলামেন্ট, সুতা এবং ফেব্রিক।অটোমোবাইলগুলিতে ১৫-২০ টিরও বেশি বিভিন্ন ধরণের ফেব্রিক ব্যবহৃত হয়। ক্রমবর্ধমান প্রতিযোগিতামূলক মোটরগাড়ি প্রস্তুতকারকে মোটর গাড়িগুলোকে আকর্ষণীয় ও আসনকে আরামদায়ক ও উষ্ণ সাজসজ্জাপূর্ন করতে টেক্সটাইলের অবদান দিন দিন ঈর্ষনীয়। এতে করে বর্তমান সময়ে বিশ্ব-বাজারে লেদারের প্রচলন বাড়ছে।
◽ আবিষ্কার ও ইতিহাস:
বিভিন্ন গাড়ি দুর্ঘটনায় মৃত্যুর ভয়াবহতার স্বীকার হয়ে ১৯৫০ সালের শেষ দিকে এয়ার ব্যাগ গুলোর গবেষণা শুরু হয়েছিল এবং প্রথম আবিস্কৃত সংস্করন টি পেটেন্ট হয়েছিল ১৯৫৩ সালের দিকে। ১৯৮০ সালের দিকে এয়ার ব্যাগ বানিজ্যিকভাবে উপলব্ধ হয়। প্রযুক্তিগত অসুবিধা প্রথম পেটেন্ট এবং এয়ারব্যাগগুলির সাধারণ প্রাপ্যতার মধ্যে ৩০ বছরের ব্যবধানে নিয়ে যায়। এমনকি এয়ার ব্যাগগুলি মাথা রক্ষার জন্য পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল।পরবর্তীতে তা হাঁটু এবং পা এর যাত্রীবাহী এয়ারব্যাগগুলি পাশাপাশি পাশের এয়ারব্যাগগুলি তৈরি করা হচ্ছে যা দখলকারীদের পাশের উইন্ডো গ্লাস থেকে রক্ষা করে এবং মাথাটি রক্ষা করে রোল-ওভার দুর্ঘটনায় সুরক্ষা সরবরাহ করে। বেশিরভাগ পাশের এয়ারব্যাগগুলি মানুষের বুকে সুরক্ষার জন্য ডিজাইন করা হয়েছে এবং এগুলি সম্ভবত কিছুটা মাথাও সুরক্ষা করে থাকে।
◽ এয়ারবাগ ও রাসায়নিক ক্রিয়াকলাপের অপারেশন সিকোয়েন্স:
এয়ারব্যাগের অভ্যন্তরে একটি গ্যাস জেনারেটর রয়েছে যার মধ্যে NaNO3, KNO3 এবং SiO2 এর মিশ্রণ রয়েছে। অধঃপতন সংবেদক থেকে সংকেত যখন বৈদ্যুতিক প্রবৃত্তির দ্বারা গ্যাস জেনারেটর মিশ্রণটি জ্বলজ্বল করে তখন মাথা সাথে সংঘর্ষ হয়, সোডিয়াম অ্যাসাইডের জন্য ৩০০°C তে ক্ষয় হওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় উচ্চ তাপমাত্রা পরিস্থিতি তৈরি করে। এটি অপেক্ষাকৃত ধীর ধরণের বিস্ফোরণ ঘটায় যা রাসায়নিক বিক্রিয়ায় সিরিজের মাধ্যমে নাইট্রোজেন গ্যাসের প্রাক-গণনাযুক্ত ভলিউমকে মুক্ত করে, যা বায়ু ব্যাগটি পূরণ করে। সংঘর্ষের ঘটনায় সক্রিয় হতে প্রায় ৩০-৬০ মিলিসেকেন্ড লাগে।
◽ব্যবহারঃবিশ্বের বড় বড় অটোমোবাইল প্রতিষ্ঠানগুলো যেমন BMW, RICHART, PARDON, LINCOLN, AUDI, FORD, ROLLS-ROYCE, LAND ROVER, PORSCHE, CADILLAC, TOYOTA, MERCEDIS-BENZ ইত্যাদি থেকে প্রতিবছর বিশ্ব বাজারে প্রায় ৪৫ লক্ষ গাড়ি বাজারজাত করা হয়। যার প্রতিটি তে প্রায় ২০ কেজি করে টেক্সটাইল বা লেদারের প্রয়োজন হয়।
মুলত বর্তমান প্রায় সকল গাড়িতে এই এক্সট্রা সুরক্ষার ব্যবস্থা বিদ্যমান ।আর এতে মৃত্যুঝুকি ও অনেকটা হ্রাস পেয়েছে।যার বিশেষ অবদান টেক্সটাইল
বিভাগের।বর্তমান এ বেপারে আর ও অগ্রগতি গবেষণা চলছে।
Source: Textile Learners,Wikipedia
Writer information:
Md.Ibnasina Rabby
Dept. of Fabric Engineering(2nd batch)
Dr. M A Wazed Miah Textile Engineering College,Pirgonj,Rangpur.