Friday, November 22, 2024
Magazine
More
    HomeLife Style & Fashionফ্যাশন ব্র্যান্ডগুলো যেভাবে পরিচালনা করতে হয়

    ফ্যাশন ব্র্যান্ডগুলো যেভাবে পরিচালনা করতে হয়

    বর্তমান যুগ হলো ফ্যাশনের যুগ। ছোট থেকে শুরু করে বৃদ্ধ সবাই এখন অনেক ফ্যাশন সচেতন। সাধারণ পরিধান হোক কিংবা গুরুত্বপূর্ণ কোনো অনুষ্ঠান সব জায়গায় মানুষ চায় ফ্যাশনবেল কিছু পরতে। এইজন্য আমাদের প্রত্যেকটি পোশাকে মানুষের ফ্যাশন-চিন্তাকে প্রাধান্য দেয়া হয়। নিত্যদিনের এই ফ্যাশনবেল পোশাক এর চাহিদা পূরণ এর জন্য দেশে এখন অনেকগুলো ফ্যাশন ব্র্যান্ড রয়েছে। এছাড়া অনেকে এখন গ্র্যাজুয়েশন শেষ করে চাকরি করার পরিবর্তে নিজের ব্র্যান্ড তৈরির কথা চিন্তা করছে। ফ্যাশন ইন্ডাস্ট্রিতে ভালো করার জন্য এবং নিজের ফ্যাশন ব্র্যান্ডকে এগিয়ে নিয়ে যাবার জন্য আমাদের কিছু জিনিস সবসময় খেয়াল রাখতে হবে।যে যে জিনিসগুলো খেয়াল রাখলে আমরা আমাদের ফ্যাশন ব্র্যান্ডটিকে ভালো একটা পর্যায়ে নিয়ে যেতে পারবো তা হলো:-

    ১) নিজের ব্র্যান্ড সম্পর্কে জানা:

    দিন দিন ফ্যাশনের চাহিদা পূরণ এর জন্য ফ্যাশন ব্র্যান্ড এর সংখ্যা বেড়ে চলেছে। এইসব ব্র্যান্ডগুলোর জিনিসপত্রের মধ্যে তেমন কোনো পার্থক্য নেই, সবাই এক ধরনের পোশাক তৈরি করে থাকে যেমনঃশার্ট, টিশার্ট, প্যান্ট,পান্জাবী ইত্যাদি। তাই অন্যসব ব্র্যান্ড হতে নিজের ব্র্যান্ডকে আলাদা করার জন্য আমাদের এক দুইটা প্রোডাক্ট অন্যসব ব্র্যান্ড হতে আলাদা ও আর্কষণীয় হতে হবে যেটাকে বলা হয় ঐ ব্র্যান্ডের সিগনেচার প্রোডাক্ট। সিগনেচার প্রোডাক্টটি ঐ ব্র্যান্ডটিকে একটা আলাদা পরিচয় দিবে। যেমন-জাপানিজ রিটেইলার ইউনিক্লো, তাদের জিন্স প্যান্ট এর জন্য বিখ্যাত। এই ব্র্যান্ডটির জন্য জিন্স প্যান্ট হলো একটি সিগনেচার প্রোডাক্ট।

    ২) প্রডাকশান প্রসেস দেখাশোনা করা:

    প্রডাকশান এর সময় যদি আমাদের মেশিনগুলোত কোনো ধরনের সমস্যা থাকে তাহলে আমাদের পোশাকটি ত্রুটিপূর্ণ হতে পারে। সেটি হতে পারে বোতাম এর সমস্যা, সেলাইয়ে সমস্যা। এইসব সমস্যা যদি আমাদের পোশাকে থাকে তাহলে তা আমাদের ব্র্যান্ড এর জন্য দুর্নাম নিয়ে আসবে। তাই সবসময় প্রডাকশান এর সব জিনিসপত্র, মেশিন সব ঠিক আছে নাকি তা কয়েকদিন পর পর চেক করতে হবে।

    ৩) টেন্ড্র বিবেচনায় রাখা:

    এই দিকটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ বর্তমান সময়ে কারণ বর্তমানে মানুষ টেন্ড এর সাথে চলতে পছন্দ করে। তাই সবসময়ই মানুষের পছন্দের দিকটিতে প্রাধান্য দিতে হবে। কোন সময় মানুষ কোন পোশাকটি পরতে বেশি ইচ্ছুক তার ওপর নির্ভর করে পোশাকের ডিজাইন করতে হবে। এর পাশাপাশি নিজের ব্র্যান্ড এর কোন পোশাকটি মানুষকে বেশি আকৃষ্ট করছে, কোন পোশাকটি বেশি বিক্রি হচ্ছে তা দেখতে হবে। কোন কালার, কেমন ডিজাইন মানুষকে বেশি আকৃষ্ট করছে তা থেকে আমরা মানুষের পছন্দ সম্পর্কে সহজেই জানতে পারবে। পোশাক পরার পর ওই পোশাকটি সম্পর্কে মানুষের মতামত আমাদেরকে পরবর্তী পোশাকগুলো তৈরিতে সাহায্য করবে। এইসব দিকগুলো বিবেচনায় রেখে আমরা মানুষের জন্য সঠিক ফ্যাশনবেল পোশাকটি সরবরাহ করতে পারবো।

    ৪) সঠিক মার্কেন্টিং:

    মার্কেন্টিং ব্র্যান্ডের পরিচিতিতে খুবই গুরুত্বপূর্ণ বর্তমান সময়ে। মার্কেন্টিং এর জন্য বর্তমানে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমকে ব্যবহার করে কাস্টমারদের কাছে খুব সহজেই নিজের ব্র্যান্ড, নিজের প্রোডাক্ট গুলো তুলে ধরা যাচ্ছে। অনেক সেলিব্রিটিরা এই ব্র্যান্ড এর প্রমোটিং এর সাথে যুক্ত। তাদের নিজের একটা ফ্যান ফলোয়ার আছে যারা তাদের ফলো করে থাকে। তারা কোন ব্র্যান্ড, কোন ধরনের পোশাক পরছে তা ফলো করে থাকে তাই সেলিব্রেটিরা ব্র্যান্ড প্রমোটে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। এতে করে যেমন আমরা অনেক মানুষের কাছে নিজের ফ্যাশন ব্র্যান্ডটিকে পরিচয় করে দিতে পারবো তেমনভাবে লাভবানও হতে পারবো।

    ✒️ Writer information:

    Name: Adnan Mahmud Arko
    Institute: Primeasia University
    Batch: 201
    Campus Core Team Member (TES)

    RELATED ARTICLES

    LEAVE A REPLY

    Please enter your comment!
    Please enter your name here

    Related News

    - Advertisment -

    Most Viewed