নারকেল ফাইবারের বানিজ্যিক নাম কয়ার ফাইবার। কয়ার ফাইবার একটি প্রাকৃতিক ফাইবার, ও নারকেলের (coconut)ছোবড়া থেকে যে ফাইবার তৈরি হয় তাকে কয়ার ফাইবার বলে। কয়ার ফাইবার এক ধরনের বাস্ট ফাইবার। যদিও কয়ার ফাইবার বীজ থেকে উৎপত্তি তথাপি ইহা নারিকেলের ছোল দারা তৈরি করা বঅলে একে বাস্ট ফাইবার বলে।শখের সামগ্রী কয়ার ফাইবার দিয়ে তৈরি হওয়ায় বাজারে ব্যাপক সারা পরেছে। এক্ষেত্রে বাংলাদেশও পিছিয়ে নেই।
ইতিহাসঃভারতীয় উপমহাদেশে নারিকেল প্রায় ৩০০০ বছর যাবৎ পরিচিত ফল।একাদশ শতাব্দীতে জৈনক আরব ব্যবসায়ী চিঠিতে সমুদ্রের পানিতে আশের স্তায়িত্তের উদাহরণ পাওয়া যায়। আরব ব্যবসায়ীরাই সিংহল এবং মালাবার সমুদ্র উপকূলের আঁশ আহরণ শিখায় তখন থেকেই ভারতীয় উপমহাদেশে এবং মালয়েশিয় উপকূল এলাকায় এর চাষে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ে। চর্তুদশ শতাব্দীতে মারকো পলো যখন চিন ভ্রমণ করেন তিনি উল্লেখ করেন যে ভারতীয় বাদাম থেকে তৈরি করায় চিনে ৫০০ বছর থেকে ব্যাবহার হয়ে আসছে।
ষোড়শ শতাব্দীর মাঝামাঝি সময়ের সামুদ্রগামী ব্যাবসায়ী দারা এর চাষ পূর্তগাল,ব্রাজিল এবং পুয়েতো রিকোতে ছড়িয়ে পড়ে। এর ইংরেজী নাম coconut স্প্যানিম নাবিকদের দেওয়া। যার অর্থ হল বানরের ন্যায় মুখ।
Coir শব্দটি kayor থেকে এসেছে। kayor একটি দ্রাবিড়ীয় শব্দ।
kayor শব্দটির অর্থ দড়ি( cord)
নারকেল ফাইবারের বানিজ্যিক নামঃ
bristile fiber : long fibers
Mattress fiber : short fibers
Decorticated fiber : mixed fibers
নারকেল চাষঃ
নারকেল চাষের বাশি যত্নের প্রয়োজন নেই। বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে ফলন ভালো হয়। উষ্ণ ও আদ্র আবহাওয়ায় ঘরেতেই পাকা নারকেল অঙ্গুরোদগম হয়। অতঃপর উক্ত বীজটিকে ছাই,লবন ও বালুমিশ্রিত পলিমাটি দিয়ে ১.৫ ফুট অন্তগর্তে রাখা হয়। ১ বছর এ অবস্থায় রাখা হয়। এবং বীজগুলো অন্য জায়গায় লাগানো হয় চারা সহ।বৈশাখ ও শ্রাবণ মাস পর্যন্ত অঙ্গুরোদগম ভালো হয়।
চারা লাগানোর উপযুক্ত সময় আষাঢ় শ্রাবণ মাস ১২-১৫ ফুট দূরত্বে ১হাত×১হাত×১হাত গর্ত করে ছাই,লবণ,পলিমাটি মিশ্রিত বালু দারা আংশিক পূরণ করে ভর্তিকরা হয়। এ সময় বীজের গায়ে থাকা পুরোনো
ছোবলা ফেলে দেওয়া ভালো।ফল পাবার জন্য তেমন পরিশ্রম নেই।তবে শুকনো মৌষুমে সেচের ব্যবস্থা করা যেতে পারে। ৫-৮ বছর হলে ফল দিবে প্রায় ৬০ বছর ফল প্রদান করে।
আঁশ সংগ্রহঃ
নারকেল গাছ যেহেতু শাখাহীন দীর্ঘ আকারের তাই ফল সংগ্রহ সহজ নয়।আমাদের দেশে মানুষই এই ফল সংগ্রহ করে।তবে থাইল্যান্ডে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত এক বিশেষ প্রজাতির বানর দারা ফল সংগ্রহ করা হয়।
নারকেলের উপাদানঃ
১.ছোবরা
আশঁ-২২%
পিথ-১৬%
শাঁস-৩০%
মালা-১৫%
পানি-১৮%
মোট-১০০%
কয়ার প্রকারভেদঃ
সাধারণত ২ ধরনের নারিকেল ফাইবার থাকে। এদেরকে বয়স ভিত্তিতে শেণিবিভাগ করা হয়।
১.ব্রাউন ফাইবার(brown fiber):পরিপক্ক নারকেল থেকে ব্রাউন ফাইবার তৈরি করা হয়। ব্রাউন ফাইবার মোটা,শক্তিশালি এবং উচ্চ ঘষর্ণ প্রতিরোধ ক্ষমতা সম্পূর্ণ হয়।
২.হোয়াইট ফাইবার(White fiber):অপিনত নারকেল থেকে হোয়াইট ফাইবার তৈরী করা হয়।হোয়াইট ফাইবারগুলো মসৃণ এবং সূক্ষ্ম হয়।
কয়ার আশেঁর গুণাগুণঃ
১.আশঁ খসখসে প্রায় ৬ মাস মিঠা বা নদীর পানিতে ভিজিয়ে সংগ্রহ করলে কিছুটা নরম হয়।
২.আশেঁর রং বাদামি তবে বেশি পরিপক্ক নারকেল হতে সংগ্রহ করলে আশঁ বর্ণহীন হয়।
৩. বেসিক ও ক্ষার জাতীয় রংদারা অসিটিক এসিড সহযোগে গরম পানিতে কম সময় ও ঠান্ডা পানিতে বেশি সময়ে রং করা যায়।এটি কিছুটা উলের মতো।
কয়ার ফাইবারের ব্যবহারঃ
১.পাপোষ ম্যাট, কার্পেট,দড়ি ইত্যাদি তৈরিতে ব্যবহৃত হয়।
২.কুটির শীল্পের সৌখিন জিনিস দ্রবাদি যেমনঃ ব্যাগ,পাখা এবং নারকেলের মালা দিয়ে বোতাম,বাসোন,হুক্কা ইত্যাদি তৈরি করা হয়।
৩.সোফা তৈরীতে কয়ার ফাইবার ব্যবহার করা হয়।
সোর্সঃ গুগল, বই।
Writer Information:
Farzana Prethur
1st year, Session 2019-2020
Department of Clothing & Textile.
Bangladesh Home Economics College.
Fatema Toz Zohora
1st year, Session 2019-2020
Department of Clothing & Textile.
Bangladesh Home Economics College.