ক্যারিয়ার নিয়ে আমরা সবাই ভাবি । ছাত্র জীবন থেকেই আমাদের ক্যারিয়ার নিয়ে চিন্তা ভাবনা শুরু হয় । কর্ম জীবনে কোন সেক্টর এ আমাদের ক্যারিয়ার সুন্দর এবং সাফল্য পাবো তা নিয়ে চলতে থাকে মনে জল্পনা কল্পনা । টেক্সলাইল ও ফ্যাশন ডিজাইন তরুনদের ক্যারিয়ার গরার জন্য একটি সম্ভাবনাময় ক্ষেত্র ।
টেক্সলাইল বলতে আমরা বুঝি একটি বহুল ব্যবহৃত শব্দ যার মধ্যে সকল প্রকার ফাইবার ( তুলা, পাট, উল, ইত্যাদি, সমস্ত প্রকার প্রক্রিয়া (যেমন,উইভিং, নিটিং, ডাইং, ফিনিশিং ), ইত্যাদি সবগুলোই টেক্সটাইলের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত। টেক্সটাইলের কাঁচামাল থেকে শুরু করে গার্মেন্টস ফিনিশিং পর্যন্ত যতগুলো প্রসেসিং হয় সবগুলোই টেক্সটাইলের অন্তর্ভুক্ত।
বর্তমানে বাংলাদেশ RMG সারা বিশ্বে ২য় অবস্থানে রয়েছে । সেই দিক বিবাচনায় বাংলাদেশের টেক্সলাইল ইন্ডাস্ট্রি দিন দিন বেরেই যাচ্ছে। সেই সাথে প্রয়োজন হচ্ছে দক্ষ ইঞ্জিনিয়ার এবং দক্ষ লোকবল এর। যা আমাদের দেশের চাহিদার তুলনায় অনেক কম রয়েছে । তাই আমাদের দেশের তরুন দের জন্য টেক্সলাইল ইন্ডাস্ট্রি তে ক্যারিয়ার গড়ার জন্য রয়েছে বিশাল সুযোগ। অন্যান্য সেক্টর এর তুলনায় এই সেক্টরের চাকারি বাজারও অনেক ভালো।
একজন ডিজাইনার যখন মনের মাধুরি এবং তার রূচিশীলতা তার ড্রেসের মধ্যে উপস্থাপন করতে পারে এক কথাই সেটিই হলো ফ্যাশন ডিজাইন। একচুয়ালি ফ্যাশন ডিজাইনিং এর কাজটা একটু ক্রিয়েটিভ। ফ্যাশন ডিজাইন অ্যান্ড টেকনোলজি বেশ কিছুদিন আগেও ফ্যাশন ডিজাইন সম্পর্কে মানুষের তেমন ধারণা ছিল না। তবে এখন সে অবস্থার পরিবর্তন ঘটেছে। মানুষ আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে এখন অনেক সৌন্দর্য সচেতন। আর এই সৌন্দর্য সচেতন মানুষদের স্টাইলিশ পোশাকের চাহিদা মিটিয়ে থাকেন ফ্যাশন ডিজাইনাররা। তাই এ সময়ের তরুণ তরুণীদের মধ্যে পোশাক সম্পর্কে যেমন রয়েছে সচেতনতা রয়েছে, তেমনি ফ্যাশন ডিজাইনে পড়াশোনার প্রতি আগ্রহও বাড়ছে।
RMG সেক্টরে বাংলাদেশে অনেক গুলো পোষ্ট রয়েছে । যেমনঃ বিভিন্ন বাইং হাউজে মার্চেন্ডাইজার , গার্মেন্ট ফ্যাক্টরি তে সেক্টর মেনেজার , ইঞ্জিনিয়ার , প্রশিক্ষক ইত্যাদি।
ক্ষেত্র ভেদে ২৫০০০-১০০০০০ টাকা বেতন হয়ে থাকে সেই সাথে নানা সু্যোগ সুবিধা তো আছেই।
বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের গার্মেন্ট শিল্পের সুনাম রয়েছে। দেশে বর্তমানে প্রায় ১২ হাজার গার্মেন্ট ফ্যাক্টরি রয়েছে। গার্মেন্ট শিল্পে ফ্যাশন ডিজাইন অ্যান্ড টেকনোলজি বিষয়ে প্রশিক্ষণ নিয়েও ভালো বেতনে চাকরি করতে পারেন। আমাদের টেক্সটাইল ইন্ডাস্ট্রিতে একটি পরিচিত বিষয় হল Fashion Designing. এই Fashion Designing এমন একটি শিল্প-কর্ম যেখানে আমাদের পোশাক-পরিচ্ছদ এর উপর বিভিন্ন নকশা,নন্দনতত্ব এবং প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের পরিস্ফুটন ঘটানো হয়ে থাকে। এটি সাংস্কৃতিক এবং সামাজিক মনোভাব দ্বারা প্রভাবিত হয়, এবং সময় ও স্থান ভেদে বৈচিত্রময় হয়ে থাকে। উদাহরনস্বরূপ বলা যায়, পশ্চিমা দেশ গুলোতে যে ধাঁচের Fashion Design অনুসরন করা হয়, আমরা তা করি না। আর এই Fashion Design নিয়ে যিনি কাজ করে থাকেন,তাঁকে চ বলা হয়ে থাকে।
বর্তমান কালে বাংলাদেশের অন্যতম একজন সফল ফ্যাশন ডিজাইনার হচ্ছেন বিবি রাসেল এবং ওনার খ্যাতি সারা পৃথিবী জুড়ে রয়েছে। গার্মেন্টস-অ্যাপ্পারেলকে বিশেষায়িত করতে। ডিজাইনারগন সাম্প্রতিক fashion trend নিয়ে গবেষণা করে ও potential customer এর জন্য তা ব্যাখ্যা করে থাকে। তাদের নির্দিষ্ট ডিজাইনগুলোই potential customer ব্যবহার করে থাকে। সাধারনত এই বিষয়গুলোই টেক্সটাইল ইন্ডাস্ট্রিতে একজন ফ্যাশন ডিজাইনার এর ভূমিকা।
একজন ফ্যাশন ডিজাইনার এমন পোশাক ডিজাইন করার চেষ্টা করেন যা কার্যকরী এবং নান্দনিকভাবে আনন্দদায়ক হয়ে থাকে। তারা তাদের ধারনাগুলোকে কাগজে আঁকে ও ফেব্রিক গুলকে ধারনা অনুসারে সাজিয়ে থাকেন। যখন কোন ডিজাইনার তার ডিজাইনের প্রতি সন্তুস্ট হন তখন তিনি একজন পেশাদার প্যাটার্ন মেকারের সাথে পরামর্শ করবেন, যিনি কিনা একটি computerized system এর সাহায্যে finished garments উৎপাদন করবেন এবং অবশেষে, একটি নমুনা জামাকাপড় গঠিত হবে যেটিকে একটি কর্মক্ষম গোষ্ঠী নিশ্চিত করার জন্য একটি মডেল দিয়ে পরীক্ষা করা হয়। বর্তমানকালে সময় বাঁচানোর জন্য এই Fashion Designing সম্পূর্ণরুপে computerized system এর সাহায্যে তৈরি করা হয়ে থাকে। এই Designing এর জন্য Computer Aided Design (C.A.D.) ও Computer Aided Machine (C.A.M.) ব্যবহার করা হয় এবং এখানে এই শিল্প ও প্রযুক্তি এর যে সমন্বয় ঘটেছে তা Fashion Designing and Technology নামেই পরিচিত হবে। পোশাক শিল্পের পরিধি বিস্তৃতির কারণে অন্যসব পেশার চেয়ে এ পেশায় চাকরি পাওয়া বেশ সহজ।
আর এ পেশায় কাজের অনেক স্বাধীনতা রয়েছে। কারণ প্রত্যেকটি ডিজাইনারকে মানসিকভাবে সুস্থ থাকতে হয়। কারণ হিসেবে জুঁই বলেন, মানসিকভাবে ঠিক না থাকলে কাজ করা সম্ভব না।যে পোশাকটি আপনি বানাবেন সেটা ভোক্তার পছন্দ হতে হবে। এ জন্য আপনি আপনার চোখ ও মগজ দিয়ে একজন ভোক্তার মতো চিন্তাশক্তি থাকতে হবে।
এ সেক্টরে কাজ করতে হলে আপনার কাপড় নিয়ে গবেষণা করতে হবে। তাই অন্যের জন্য মার্জিত নতুন কিছু সৃষ্টির মাধ্যমে নিজেকে আধুনিকতার দিক দিয়ে এক ধাপ এগিয়ে রাখতে পারবেন। এ ছাড়া এই সেক্টরে ভালো আয় ও বিদেশ ভ্রমণের সুযোগ থাকায় নিজেকে একজন ফ্যাশন ডিজাইনার হিসেবে গড়ে তুলতেই খোঁজ নিয়ে ও সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বাংলাদেশে ফ্যাশন ডিজাইনারদের রয়েছে চাকরির বিশাল বাজার। এর মধ্যে টেক্সটাইল শিল্প, গার্মেন্টস শিল্প, বায়িং হাউস, বুটিক হাউস বা দেশের বড় বড় দেশি ও বিদেশি পোশাক ব্র্যান্ড হাউসে আপনার কাজের অনেক সম্ভাবনা নিশ্চিৎ থাকবেই। এ ছাড়া উচ্চজ্ঞান ও অভিজ্ঞতা থাকলে আপনি চাইলে কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভাষক পদেও আপনি আপনার পদ চিহ্ন রাখতে পারবেন।
টেক্সলাইল এবং ফ্যাশন ডিজাইন নিয়ে ক্যারিয়ার গড়ার স্বপ্ন দেখলে ,তার জন্য নিজেকে অবশ্যই কিছু বিষয়ে যোগ্যতা অর্জন করতে হবে। বি এস সি বা ডিপ্লমা কোর্স করার পাশাপাশি এই সেক্টরে উন্নতি করতে হলে অবশ্যই কমিউনিকেশন স্কিলএ ভাল হতে হবে।সেই সাথে লিডারশিপ ক্ষমতা থাকা প্রয়োজন। টেকনোলজি ব্যাবহারে দক্ষ হতে হবে।
বিশ্ব এর অর্থনীতির পরিস্থিতি এবং বিভিন্ন দেশের কালচার সম্পর্কে জ্ঞান থাকা প্রয়োজন।
বাংলাদেশে চাকরির বাজারে যে কয়টি পেশার অসম্ভব চাহিদা রয়েছে তার মধ্যে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার অন্যতম। চাহিদার তুলনায় এই পেশাতে যোগ্য প্রার্থীর সংখ্যা বাংলাদেশে অনেকে কম। বাংলাদেশে টেক্সটাইল শিল্পের দ্রুত বিকাশ ঘটে চলেছে। বিশ্বমানের টেক্সটাইল শিল্পের কাতারে বাংলাদেশের টেক্সটাইল শিল্প ইতিমধ্যেই নিজেদেরকে প্রতিষ্ঠিত করতে সক্ষম হয়েছে। যার ফলে এই শিল্পে প্রয়োজন দক্ষ প্রযুক্তিজ্ঞানসমৃদ্ধ টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারদের। বাংলাদেশে যেখানে চাকরির পদসংখ্যার বিপরীতে চাকরি প্রার্থীর আধিক্য দেশের বেকার জনগোষ্ঠী বৃদ্ধির অন্যতম কারণ, তখন এই শিল্পে বিরাজ করছে সম্পূর্ণ ভিন্ন পরিবেশ। ক্রমবর্ধমান টেক্সটাইল শিল্পের দ্রুত বিকাশের কারণে এই শিল্পে চাকরির রয়েছে অবারিত সুযোগ। টেক্সটাইল শিল্পে দক্ষ টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারদের চাহিদা এতোটাই বেশি যে, টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করার পূর্বেই ছাত্রদের চাকরি হয়ে যায়। বাংলাদেশে খুব কম শিল্পেই চাকরি প্রার্থীর তুলনায় প্রতিষ্ঠানের চাকরির চাহিদা বেশি রয়েছে।
তাই বলা যায়, আমাদের দেশের তরুনদের জন্য টেক্সটাইল এবং ফ্যাশন ডিজাইন সেক্টরে ক্যারিয়ার গড়ার জন্য রয়েছে সুবর্ণ সুযোগ। আর এই তরুন দের হাত ধরেই বাংলাদেশ এর টেক্সটাইল এবং ফ্যাশন ডিজাইন শিল্প এগিয়ে যাবে বহু দূর।
Writer:
Md.Aminul Islam
Third Year, First Semester
B.SC Textile Engineering
Ahsanullah University of Science and Technology
Md. Rohan Sarker
First Year, Second Semester
B.SC Textile Engineering
Ahsanullah University of Science and Technolog
I am learning about CLO, MARVELOUS , ADOBE ILLUSTRATOR, and PHOTOSHOP with pattern making . Now i want to grow up /career plan is as a Designer.