বর্তমানে পুরোবিশ্ব নোবেল করোনা ভাইরাস নামক মহামারীতে আক্রান্ত। এই ভাইরাস ঘটিত রোগটির জন্য প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ মৃত্যুবরণ করছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এই মহামারী থেকে রক্ষার জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ উপদেশ ও দিক নির্দেশরা দিয়েছে, তারমধ্যে অন্যতম হলো মাস্ক ব্যবহার করা। শুরুতে মাস্ক ব্যবহার নিয়ে অনেক মতভেদ থাকলেও বর্তমানে বিশ্বের অধিকাংশ দেশ মাস্ক ব্যবহার বাধ্যতামূলক করেছে। এর ফলে মাস্কের ব্যবহার বিপুল পরিমাণে বেড়ে গেছে এবং এইসব মাস্ক এক থেকে দুইদিন ব্যবহার করার পর ফেলে দিতে হয়।
বর্তমানে আমরা অসাবধানতাবশত এইসব মাস্ক যত্রতত্র ফেলে দিচ্ছি ঠিকই কিন্তু আমাদের এই অসাবধানতা আমাদের ভবিষ্যৎ পরিবেশটাকে একটা বড়সড় বিপর্যয়ের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। এতে করে ভবিষ্যতে একটাসময় করোনা ভাইরাস থেকে সুস্থ হয়ে উঠলেও পরিবেশ দূষণ এর বদৌলতে আমাদেরকে করোনা ভাইরাস থেকেও বড় সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে এবং এই সমস্যাটির স্থায়ীত্ব করোনা ভাইরাস থেকেও বেশি হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
আমাদের ব্যবহৃত মাস্কগুলোর বেশিরভাগই পলি-প্রপিলিন দিয়ে তৈরি। এই পলিপ্রপিলিন সহজে পরিবেশ এর সাথে মিশে না বরং ছোট ছোট প্লাস্টিক এ পরিণত হয় যা আমাদের খাদ্য শিকলে প্রবেশ করে আমাদের শরীরের ক্ষতি করে। তাই আমাদের উচিত মাস্কগুলোকে সঠিকভাবে নিষ্পত্তি করা।
✒️ নিচে কিভাবে মাস্কগুলো সঠিকভাবে নিষ্পত্তি করা যায় তা নিচে উল্লেখ করা হল-
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এর তথ্যমতে আমাদেরকে ব্যবহৃত মাস্কগুলো বদ্ধ ময়লার ঝুড়িতে ফেলার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।ব্যবহৃত মাস্কগুলো পলিথিন অথবা কাগজ দিয়ে এমনভাবো মোড়াতে হবে যাতে ওগুলো হতে ভাইরাস ছড়াতে না পারে। ব্যবহৃত মাস্কগুলো ফেলার জন্য আলাদা ময়লার ঝুড়ি রাখতে হবে এবং এসব ময়লা পরিবহন করার জন্য আলাদা গাড়ি ব্যবহার করতে হবে।। যারা এইসব ময়লা পরিবহন করবে তাদের যথেষ্ট সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।পরবর্তীতে এইসব মাস্ক ৮৫০-১১০০ ডিগ্রী সেলসিয়াস তাপমাত্রার দহনযন্ত্রে পুড়িয়ে ফেলতে হবে। এভাবে আমরা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশমত মাস্কগুলোকে নিষ্পেষিত করতে পারি।।
আমরা জানি যে, করোনা ভাইরাস এ আক্রান্ত রোগীদের এবং এদের চিকিৎসায় নিয়োজিত ব্যক্তিদের এন৯৫, সার্জিক্যাল মাস্ক ব্যবহার করা প্রয়োজন এবং এইসব মাস্ক একবার ব্যবহার এর পর ফেলে দিতে হয়।এইজন্য বর্তমানে এইসব মাস্কের ঘাটতি রয়েছে।তাই সাধারণ মানুষদের জন্য যারা এখনো এই ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত হয় নি তারা কাপড়ের তৈরি মাস্ক ব্যবহার করতে পারি।এই মাস্ক পরিষ্কার করে একাধিক বার ব্যবহার করা যায় বিধায় এই মাস্ক ব্যবহার এর মাধ্যমে আমরা সার্জিক্যাল মাস্ক এর ঘাটতি পূরণ করতে পারি।। এছাড়া বর্তমানে তিন স্তরযুক্ত ব্যাকটেরিয়া প্রতিরোধী মাস্ক বানানো ও ব্যবহার শুরু হয়েছে অনেক দেশে।এগুলো ১০০% তুলো দিয়ে তৈরি বিধায় সহজেই পরিষ্কার করে পুনরায় ব্যবহার করা যায়। পুনরায় ব্যবহার করা যায় বিধায় আমাদের বর্জ্য ও কম উৎপন্ন হবে যা পরিবেশ এর ক্ষতি কিছুটা হলেও কমাবে।।
বর্তমানে অনেকগুলো বেসরকারি সংস্থাও মাস্ক নিষ্পেষণ এ সহায়তা করছে। সর্বোপরি সরকারের যথাযথ নির্দেশনায় এবং আমাদের ব্যক্তি উদ্যোগে সবাইকে মাস্কের যথাযথ নিষ্পেষণ নিশ্চিত করতে হবে যাতে করে আমরা ভবিষ্যৎএ একটা সুন্দর সুস্থ পরিবেশ পেতে পারি।
✅ Writer information:
Name: Adnan Mahmud Arko
Institute: Primeasia University
Batch: 201
Campus Core Team Member (TES)