বর্তমান বিশ্বের সবথেকে বড় দুচিন্তার কারণ এখন Covid-19। WHO যাকে মহামারি হিসেবে ঘোষণা করেছে অনেক আগেই। যার সূতপাত চীন থেকে হলেও বর্তমানে এটি ২১০ টি দেশ এবং অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে। Worldometer statistics অনুযায়ী আজ পর্যন্ত গোটা বিশ্বে আক্রান্ত সংখ্যা ১৮ লাখের ওপর এবং প্রায় ১ লাখের ওপর মানুষ মৃত্যু বরণ করেছে এই রোগে। আমাদের দেশে গত ৮ মার্চ প্রথম আক্রান্ত রোগী পাওয়া যায়। আমাদের দেশ নিম্ন মধ্যেবৃত্ত দেশ হবার কারণে এখানে অধিকাংশ মানুষ দারিদ্রসীমার নিচে বসবাস করে যার কারণে এখানে করোনার ঝুকি অন্য দেশের অনেক বেশি। যতদিন দিন যাচ্ছে আমাদের দেশে করোনা পরিস্থিতি জটিল থেকে জটিলতর হচ্ছে।
আমরা প্রথম থেকে আমাদের দেশে চিকিৎসা সরঞ্জামের অপ্রতুলতা পরিলক্ষিত করছি। আমাদের দেশের অধিকাংশ মানুষ দারিদ্রসীমার নিচে বাস করে এবং n-95 মাস্কের দাম যেহেতু একটু বেশি তাই সকলের পক্ষে এই মাস্ক ব্যবহার করা সম্ভব না। তাছাড়া অত্যাধিক চাহিদার কারণে বাজারে এটির সংকট ও দেখা দিচ্ছে ৷ কটন মাস্ক মূলত ন্যানো পার্টিক্যাল বা ব্যাকটেরিয়া প্রতিরোধে সক্ষম না। তাই কটন মাস্ক ব্যবহারের ক্ষেত্রে উপকারের থেকে অপকারই বেশি।
এসব কথা চিন্তা করে আমাদের খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ৩য় বর্ষের সুমিত কান্তি সাহা এবং আকাশ খন্দকার একটি মাস্কের প্রোটোটাইপ করেছে। এটির নাম উনারা রেখে M17210-SANDWICH Mask। মূলত মাস্কটি ৩ টি স্তর দিয়ে ডিজাইন করা হয়েছে।একেবারে উপরে থাকবে নন ওভেন লেয়ার , মাঝে সবচেয়ে নিরাপদ লেয়ার এন্টিমাইক্রোবিয়াল ওভেন কাপড়ের স্তর । যা ভাইরাসের প্রবেশের জন্য প্রতিবন্ধক হিসেবে কাজ করবে । তারা চেষ্টা করবে মাস্কের সাথে এই ফিল্টার স্তরটি আলাদাভাবে রিপ্লেসেবল হিসেবে ব্যবহার করতে৷ এই মাস্কটি সুরক্ষায় দিক দিয়ে অত্যান্ত কার্যকর এবং এটি কটন মাস্কের মতো পরবর্তীতে ধুয়ে ব্যবহার করা যাবে। এটি দাম সবার নাগালে রাখার চেষ্টা করা হচ্ছে এবং এটি থেকে কোন মুনাফা গ্রহণ করা হবে না। কুয়েট টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সম্মানিত শিক্ষকগণ তাদের এই কাজের পাশে থাকার আশা প্রকাশ করেছেন।
KUET TEXTILE CLUB এর পক্ষ থেকে সুমিত এবং আকাশ তাদের এই কাজের জন্য শুভকামনা জানানো হয়েছে । আশা করা যাচ্ছে অতিশীঘ্রই এই মাক্স উৎপাদন এবং বাজারজাতকরন শুরু করা হবে।
Writer information:
Md KAWSAR HOSSAIN
KHULNA UNIVERSITY OF ENGINEERING & TECHNOLOGY