ভূমিকা: ইন্ডাস্ট্রি গুলোতে এক দেশ থেকে আরেক দেশে বিলিয়ন-বিলিয়ন টাকা লেনদেন হয়। টাকা লেনদেনের সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য পদ্ধতি হচ্ছে LC (Letter of credit) পদ্ধতি (Bank To Bank)। LC হচ্ছে এমন একটা পদ্ধতি যেখানে কোন একটা ব্যাংক বায়ারের পক্ষে declaration দেয় যে, seller যখন পণ্য বানিয়ে shipment করবে তখন ব্যাংক টাকা দিতে বাধ্য থাকবে, অর্থাৎ এক্ষেত্রে ব্যাংক দায়িত্ব নিয়ে নেয় পুরো পেমেন্টের। LC তে বায়ার এবং সেলারের সব শর্ত সমূহ (পণ্যের দাম, পণ্যের বর্ণনা, Price, Lead time, কোন বন্দর দিয়ে শিপমেন্ট হবে, কোথায় যাবে ইত্যাদি) থাকে।
টাকা লেনদেনের প্রকারভেদ: সাধারণত ইন্ডাস্ট্রি গুলোতে তিন ভাবে টাকা লেনদেন করা হয়।
১) Advance payment: এখানে বায়ার পণ্য পাওয়ার আগেই সেলারকে টাকা দিয়ে থাকেন। যা বায়ার এর জন্য secure না কিন্তু সেলারের জন্য secure। ফলে পণ্য ভালো না হলেও বায়ারের কিছু করার থাকেনা। তাই এই পদ্ধতিটা তেমন ব্যবহার করা হয় না।
২) Direct payment: এটা বায়ারের জন্য secure কিন্তু সেলারের জন্য না। কেননা এক্ষেত্রে পণ্য পাওয়ার পর কোন একটা ভুল দেখিয়ে বায়ার টাকা নাও দিতে পারে।
৩) Letter of credit (LC) / Documentary credit: এক্ষেত্রে বায়ার এবং সেলার দুই জনই secure থাকেন। কেননা এক্ষেত্রে পেমেন্ট এবং পণ্য পৌঁছানোর দায়িত্ব পুরো ব্যাংকের উপর থাকে। এ পদ্ধতিতে সেলার confirm হয়ে গেল যে টাকা পাবে ব্যাংক থেকে, এবং বায়ার ও তার পণ্য পাওয়ার surety পান। তাই payment এর এই পদ্ধতিটি খুবই যুক্তিযুক্ত।
LC সংশ্লিষ্ট parties দের পরিচয়:
১) Supplier: এটা হচ্ছে সেলার যে ordered পাওয়ার পর বায়ারের রিকোয়ারমেন্ট (LC অনুযায়ী) পণ্য তৈরি করতে শুরু করে।
২) Applicant: এটা হচ্ছে বায়ার। পণ্যর সব details তিনি দিয়ে থাকেন এবং payment ও।
৩) Issuing bank: এটা হচ্ছে বায়ারের ব্যাংক। যেখানে বায়ার LC খোলার জন্য proposal দেয়। এবং issuing ব্যাংক বায়ারের সব ডকুমেন্টস ঠিক থাকলে LC খুলে দেন। এবং বায়ার থেকে পেমেন্ট নেওয়ার সব দায়িত্ব issuing bank এর থাকে। Note: ordered confirm হওয়ার পর এবং shipment শেষে বায়ার টাকা না দিলে সেলার কে টাকা পৌঁছানোর দায়িত্ব issuing bank এর থাকে।
৪) Advising bank: এটা হচ্ছে সেলারের ব্যাংক। issuing bank, LC খোলারপর তা Advising Bank এ forward করে। তখন advising bank সেলার কে কনফার্ম করে যে তার একটা এলসি এসেছে। এছাড়াও issuing bank শিপমেন্ট এরপর পুরো টাকা advising bank এ দিয়ে থাকেন। advising bank তা পরে সেলার কে দিয়ে থাকেন।
৫) Nominated bank: ডকুমেন্টগুলো ফরওয়ার্ড করার জন্য অনেক সময় মাধ্যম হিসেবে আরেকটা ব্যাংক থাক।
৬) Confirming Bank:সেলার যদি বায়ারের দেওয়া ব্যাংকে বিশ্বাস করতে না পারে তখন আর একটা ব্যাংকের আন্ডারেও সাইন করানো হয়।যদি issuing bank টাকা দিতে ব্যর্থ হয় তখন confirming bank টাকা দিয়ে থাকে।
LC procedure: LC তৈরি করার পূর্বে বায়ার এবং সেলারের মধ্যে কিছু কথোপকথন হয় ( পণ্যের বর্ণনা, price,lead time ইত্যাদি নিয়ে)।কথোপকথন শেষে বায়ার LC খোলার জন্য issuing bank এ যায় এবং সব ডকুমেন্টস ঠিক থাকলে issuing bank একটা LC খুলে দেন এবং তা advising bank এর নিকট forward করেন। advising bank, Lc পাওয়ার পরে সেলার কে ইনফর্ম করেন। এবং সেলার LC requirement অনুযায়ী কাজ শুরু করে দেন। পণ্য তৈরি করার পরে সব documents (shipment থেকে পণ্য received করার ইত্যাদি) সেলার advising bank কে দিয়ে থাকেন এবং advising bank তা issuing bank এ forward করে থাকেন। তখন সব ঠিক থাকলে issuing bank টাকাটা advising bank এ দিয়ে থাকে এবং সেটা পরে advising bank সেলার কে দিয়ে থাকে।
Writer Information :
Raisul Islam Sanjid
South East University
Department of Textile
Email: [email protected]