Of Heat Cooling Solution

0
1030
Of Heat Cooling Solution

কি বাহিরে প্রচন্ড গরম পরেছে?

আর এরই সাথে কি….অসহনীয় হয়ে উঠেছে আপনাদের জনজীবন?আপনাদের জন্য  রয়েছে একটি সুখবর ,বিজ্ঞানীরা আমাদের স্বস্তির কথা ভেবেই তৈরি করে ফেলেছে একটি অদ্ভুত রকমের ফেব্রিক, যা আপনার শরীরকে ৫ ডিগ্রী সেন্টিগ্রেড এ ঠান্ডা করতে পারে!!

কি চমকে উঠলেন নাকি??

চমকে উঠার মতোই অসম্ভব কিছুর উদ্ভব করেছে বিজ্ঞানীরা…এই আবিষ্কারটি সাধারনত তাপমাত্রার ঊর্ধ্বগতির বিরুদ্ধে মানুষকে রক্ষা করতে সক্ষম এবং গরম আবহাওয়ার সময় শরীরের তাপমাত্রা বজায় রাখতে সাহায্য করবে। এখানে একটি বিশেষ ধরনের সুতা ব্যবহার করা হয়েছে যা আমাদের শ্বাস-প্রশ্বাস এবং ভেতরের বায়ু চলাচল বৃদ্ধির সাথে শরীরের তাপ দ্রুত বাহিরে নিয়ে যেতে সক্ষম।

গবেষণায় দেখা গিয়েছে, প্রথমে গবেষকরা ultraviolet এবং near-infrared নিয়ে গবেষণা করেছিল। তারা খেয়াল করে NIR এ যে warm object রয়েছে তা সেই  ray গুলো শোষণ করে এবং শীতল করে দেয়। এছাড়া এখানে ব্যবহার করা হয়েছে ন্যানোস্টিক কুলিং ফেব্রিক যা শারীরিক কর্মক্ষমতা বজায় রাখতে সাহায্য করে এবং যা mid infrared radiation ঘটায় এবং পরিধানকারীর তাপমাত্রা কমিয়ে আনবে।

চলুন  এখন স্বল্প পরিসরে জেনে আসা যাক, m-IR কি?

m-IR  হচ্ছে দীর্ঘ তরঙ্গের একটি IR রশ্নি,যা সরাসরি মহাকাশে চলে যায়,এবং যার ফলশ্রুতিতে বস্তু ও তাদের আশেপাশের সব ঠান্ডা হয়ে যায়।

((এই প্রক্রিয়াটি সাধারণত রেডিয়েঠিভ কুলিং নামেও পরিচিত। বর্তমানে এ প্রযুক্তিটি বিভিন্ন ডিজাইনেও ব্যবহার করা হচ্ছে। যেমন, roof, প্লাস্টিক ফিল্ম, কাঠ,আল্ট্রা হোয়াইট পেইন্ট!!))

সুতরাং সব মিলিয়ে গবেষকরা এমন একটি টেক্সটাইল ডিজাইন করেছেন!!যার মাধ্যমে রাসায়নিক বন্ধন গুলো শরীরের  তাপমাত্রা শোষণ করে নেয় এবং তা এনার্জি হিসেবে নির্গমন করে m-IR এর মতো মহাকাশে পাঠায়।ফেব্রিকটি দেখতে সাধারণত পুরোপুরি টি-শার্ট ম্যাটেরিয়ালের মতই লাগে,550 মাইক্রোমিটারের এ ফেব্রিকটি  টাইটেনিয়াম ডাই অক্সাইডের ন্যানোপারটিক্যালের সাথে সিনথেটিক ফাইবারে মিশানো থাকে,আর এর প্রতিফলন রশ্নির মিশ্রনUV,দৃশ্যমান এবং NIR লাইট শোষণ করে পরিধানকারীর দেহকে শীতল করে।

এই আবিষ্কারকে পরীক্ষা করার জন্য গবেষকরা ফেব্রিক এর কিছু অংশ বিশেষভাবে তৈরি করেন এবং অন্য অংশটি তৈরি করে সাদা তুলা দিয়ে যা ঐ বিশেষ  ফেব্রিকের সমান সূক্ষ্ম।এরই সাথে ফেব্রিকটির গুনাগুন দেখার জন্য গবেষকরা একজন কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থীর শরীরে এই পোশাক পরিধান করায় এবং তাকে একটি চেয়ারের রোদের মধ্যে এক ঘণ্টা বসিয়ে রাখে,গবেষকরা দেখল তার শরীরের ভেতরের বিশেষ ফেব্রিকের তাপমাত্রা তুলার তৈরি অংশের তুলনায় ৫ ডিগ্রী সেলসিয়াস শীতল হয়েছে। সাধারনত সুতার বিশেষ পরিকল্পিত ফ্ল্যাট cross-section গঠনের ফলেই তা শরীরের তাপ বাহিরের দিকে পরিবহন করতে পারায় এমনটি হয়েছে!!

এছাড়া ঐ বিশেষ ফেব্রিকের সুতার বর্ধিত পৃষ্ঠায় রয়েছে তার ক্ষেত্রফল যা শীতলতা কে উৎসাহিত করে এবং ফেব্রিক টি কাপড়ের ভেতরের বায়ু চলাচল কেও সর্বাধিক করে তুলে, ফলে পরিধানকারী কিছুটা হলেও স্বস্তি পায়!!বিজ্ঞানীরা আমাদের এই অসহ্যকর পথযাত্রার প্রতিটি ধাপ কে সহজ থেকে সহজতর করেছেন তাদের আবিষ্কারের মাধ্যমে,তারই এক অনন্য দৃষ্টান্ত হচ্ছে এই cooling fabric এর পোশাক!!যা বর্তমানের এই global warming এর দুনিয়ায় প্রতিটা মানুষের জন্য অনেক কার্যকরী!!

সোর্সঃ

Youtube, Google,Facebook.

ইসরাত জাহান তুলি

(এপারেল ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্ট),

সুমাইয়া সুলতানা জান্নাত

(ফেব্রিক ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্ট)

২য় ব্যাচ, ড এম এ ওয়াজেদ মিয়া টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ, পীরগঞ্জ, রংপুর।