যে কোন কাজ করার জন্য প্রয়োজন একটি সঠিক ও সুষ্ঠ পরিকল্পনার। আর সেই কাজ করার জন্য গঠন করতে হয় একটি প্রকল্প। আর এই প্রকল্প সঠিক ভাবে সম্পন্ন করার জন্য দরকার একজন দক্ষ প্রকল্প পরিচালক এর। আজ আলোচনা করব টেক্সটাইল শিল্পে প্রকল্প পরিচালনা নিয়ে।
✅ প্রকল্প পরিচালনা কি?
প্রকল্প পরিচালনা হলো প্রকল্পের উদ্দেশ্য অর্জনের জন্য প্রক্রিয়া, পদ্ধতি, জ্ঞান, দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতা প্রয়োগ করা। প্রকল্প পরিচালনার মাধ্যমে উক্ত প্রকল্পটি সঠিক ভাবে সম্পন্ন করা হয়। পুরো প্রকল্পটি পরিচালনা করার জন্য এবং এর সামগ্রিক বিষয় নিয়ন্ত্রণ করার জন্য কাজ করেন একজন দক্ষ প্রকল্প পরিচালক।
✅ প্রকল্প পরিচালনার গুরুত্বপূর্ণ তিনটি বিষয় হলো:
১. প্রত্যাশিত সময়সূচি তৈরি করা
২. পরিবর্তন পরিচালনা করা
৩. প্রকল্প সম্পর্কিত সমস্ত তথ্য এবং
৪. সবাইর সাথে যোগাযোগ।
প্রত্যাশিত সময়সূচি তৈরি করা: প্রকল্প পরিচালনার গুরুত্বপূর্ণ ধাপে কাজের সময় বিন্যস্ত করা হয়। একটি সুষ্ঠ ক্যালেন্ডার তৈরি করা হয় যাতে কাজের ক্ষেত্রে কোন ঝামেলা না হয়।
পরিবর্তন পরিচালনা করা:অনেক সময় কাজের পরিকল্পনা বদলাতে হয়। এই সময় যদি উক্ত পরিবর্তন গুলো সঠিক ভাবে পরিচালনা না করা হয় তাহলে প্রকল্পে গন্ডগোল হবে। প্রকল্প পরিচালককে যেকোনো সময় যেকোনো সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। এবং তাদেরকে দক্ষতার সাথে সেই সমস্যার সমাধান করতে হয়।
প্রকল্পের তথ্য যোগাযোগ: একজন পরামর্শ দাতাকে একজন ভালো যোগাযোগকারী এবং ভালো স্রোতা হতে হবে। প্রকল্প সম্পর্কিত কোন তথ্য যদি সে গোপন করে রাখে তাহলে প্রকল্পের ক্ষেত্রে সেটি খুবই ক্ষতিকারক হবে। সকল তথ্য সব কর্মীর সাথে শেয়ার করতে হবে এবং যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত করতে হবে।
টেক্সটাইল শিল্পে প্রকল্প পরিচালনা: টেক্সটাইল শিল্প বর্তমানে বাংলাদেশর বড় একটি খাত। এত বড় একটি খাত সুষ্ঠ ভাবে পরিচালনা করার জন্য সঠিক পরিকল্পনা আর দক্ষ প্রকল্প পরিচালক প্রয়োজন। একটি কারখানায় শ্রমের তুলনায় মূলধনের অনুপাত যত বেশি হবে তত সুনির্দিষ্ট হতে হবে প্রকল্প পরিকল্পনা ও পরিচালনা। টেক্সটাইল প্রজেক্ট ম্যানেজমেন্ট প্রযুক্তি, প্রকৌশল ও প্রশাসনিক পদ্ধতি, প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি সরবরাহ ইত্যাদি বিষয় গুলো একে অপরের সাথে সম্পর্কিত।
✅ টেক্সটাইল প্রকল্প পরিচালনা প্রক্রিয়াটি পাঁচ ভাগে বিভক্ত :
১. সূচনা
২. পরিকল্পনা
৩. নির্বাহ
৪. পর্যবেক্ষন এবং নিয়ন্ত্রণ
৫. বন্ধ
সূচনা: যেকোনো কাজ করার আগে একটি পরিকল্পনার দরকার হয়। আর সেই পুরো জিনিসটা একটা প্রকল্পের আওয়তায় নেওয়া হয়। এর মাধ্যমেই একটি প্রকল্পের সূচনা হয়।
পরিকল্পনা: তারপর পুরো প্রকল্পটি সম্পন্ন করার জন্য পরিকল্পনা করতে হয়। কারন সঠিক পরিকল্পনা ছাড়া কোন কাজ হয় না। পরিচালককে সবার সাথে বসে একটি আদর্শ পরিকল্পনা করতে হয়।
নির্বাহ: কার্যতালিকার প্রত্যেকটি কাজ সুষ্ঠুভাবে সম্পাদন করে তোলাও একটি বিশাল বড় চ্যালেঞ্জের বিষয়। মোট এইখানে, আমার কাজের মাধ্যমে ফলাফল বের করে আনতেই হবে।
পর্যবেক্ষন ও নিয়ন্ত্রণ: কাজ শুরু করার পরে পরিচালককে পুরো বিষয়টা পর্যবেক্ষন করতে হবে। কারন একজন পরিচালকই জানে কোথায় কোন কাজ কিভাবে করতে হবে। সুতরাং তাকে পুরো প্রকল্পে সার্বক্ষনিক পর্যবেক্ষনে থাকতে হবে। এর সাথে নিয়ন্ত্রণ এর কাজটিও করতে হবে। কোথাও কোন সমস্যা হলে তিনি সেটা সমাধান করবেন। পণ্য উৎপাদন যেনো কম বেশি না হয় সেটা নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।
বন্ধ: যেই জিনিস এর শুরু আছে সেটার শেষ ও আছে। কাজ শুরু করার পর কোন সময় সেটি বন্ধ করতে হবে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। সারাদিন ধরে কাজ চলতে পারে না। এতে মেশিন এর ওপর এবং কর্মীদের ওপর চাপ পড়বে। তাই একটি নির্দিষ্ট সময় পর কাজ বন্ধ করতে হবে।
✒️ Writer information:
Arnob Saha
Primeasia University
Batch: 201
Campus Core Team Member (TES)