গ্রামের দোকানগুলোতে বাচ্চাদের জন্য মনেকা,ডালভাজা,বাদাম,কটকটিসহ হরেক রকমের খাবার পন্য পাওয়া যায়। বাচ্চাদের কচি দাঁত দিয়ে সেগুলোকে কট কট করে ভাঙে/চিবায়।খাবারটাকে রীতিমতো তারা উপভোগ করে খায়। আমিও সেই দলের পথিক ছিলাম। তবে আমার ছোটবেলার একটা অভিজ্ঞতার কথাই বলি?
এরকমই ডালভাজা,বাদাম,মনেকা কিনতে প্রায়ই জড়ো হতাম “নয়নের বাপ” নাম দোকানদ্বারের কাছে।যদিও দোকানদারের নাম নিয়ে কনফিউশন আছে,এখনো পর্যন্ত জানা হযনি ওনার নাম। যাই হোক, বাজারের ম্যাক্সিমাম দোকানগুলোতে তখন সর্বনিন্ম ৫ টাকার কমে এসব পন্য দিতো না। কিন্তু বিপরীত ছিলো এই দোকানদার। ওনি ২ টাকা থেকে শুরু করে যত টাকারই চাইতেন তত টাকারই দিতেন। মাঝে মধ্যে তো দেখতাম বাচ্চাদের ১ টাকারও দিতেন!
আমি তখন একটু ভাবলাম, যেখানে সারা বাজারের সব দোকানদার খুচরা ১ কেজি বাদাম বিক্রি করতে পারে না সেখানে ঐ দোকানদার দৈনিক ১০ কেজি বাদামই বিক্রি করত!
তাহলে দিনশেষে লাভবান কে হলো?
একটু ভেবে দেখুন, গ্রামের দোকান,বাচ্চাদের হাতে এখনকার মতো বাবা-মার কাছে চাইলেই ১০০ টাকার একটা নোট বের করে দেয় না। তো তাদের জন্য নিশ্চয়ই বাবার কাছ থেকে প্রচুর কান্না করে ২ টাকা পাওয়াটাই অনেক বড় কিছু ছিলো? অথচ ম্যাক্সিমাম দোকনদারই ২ টাকার কোনো মূল্য দিতো না। আর অল্প টাকার পন্য দিয়ে দিয়ে রীতিমতো কাস্টমারদের হাত করে ফেলা এই দোকানদারের বিজনেস স্ট্যাটিজিটা আপনার কাছে কেমন সেটা জানি না, তবে আমি হলপ করে বলতে পারে –
“ছোট ছোট বালু কণা বিন্দু বিন্দু জল
গড়ে তোলে মহাদেশ সাগর অতল” ।
আরেকটা উদাহরন দেই, ঢাকায় প্রায় সময়ই কিছু সংখ্যক রিক্সাওয়ালাদের দেখবেন যারা মোটা অংকের ভাড়া ছাড়া রিক্সায় যাত্রী উঠাবে না… আবার কিছু সংখ্যাক রিক্সাওয়ালাদের দেখবেন তারা অল্প টাকায়ও যেতে রাজী হয়। তাহলে বলুন তো,দিনশেষে কার ইনকাম বেশি হবে?
Amazing strategy!