Sunday, November 17, 2024
Magazine
More
    HomeGarments & Apparel'Tie' বা 'গলাবন্ধনি' নিয়ে খুটিনাটি

    ‘Tie’ বা ‘গলাবন্ধনি’ নিয়ে খুটিনাটি

    ✅ টাই একটি পরিধেয় বা পোশাক যা দেখতে লম্বা একফালি কাপড়ের মতো এবং গলা বেস্টিত করে পরিধান করা হয়। সাধারনত টাই শার্ট এর কলারের নিচে পরা হয়। এটি গলাবন্ধনি নামেও পরিচিত। শুধু বন্ধন দেওয়ায় তার কাজ নয়। ব্যাক্তিত্বের নিগূঢ় সৌন্দর্য প্রকাশ করা ও তার কাজ টাই বা গলাবন্ধনী ছাড়া যেকোনো কর্পোরেট দুনিয়া কল্পনা করাই দায়। কিন্তু এই টাই এলো কিভাবে?? ইন্টারনেট ঘেটে পাওয়া এক ইতিহাস শোনাই। ১৯৭৪ সালে চীনের জিয়ানে পোড়ামাটির কিছু ভাস্কর খুজে পেলে টাইয়ের নতুন এক ইতিহাস উন্মেচিত হয়। সেই ভাস্কর্য ছিল চিনের প্রথম সম্রাট কিং শিং হুয়াং এবং তার সৈন্যদের।

    মূর্তিগুলোর পড়নে ছিল ইউনিফর্ম আর গলাবন্ধনী। তবে সেই গলা বন্ধনী ঠিক আজ কালকের টাইয়ের মতো নায়; অনেক টা মাফলারের মতো। একদল গবেষক ধারনা করেন চিনেই খ্রীস্টপূর্ব ২১০ শতকের দিকে টাই এর ব্যাবহার শুরু হয়েছিল। গলাবন্ধনীর উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন আসে ১৬৫০ সালে। তখন ক্রোয়োশিয়ার মানুষেরা টাইয়ের আদলে স্কার্ফ ব্যাবহার করত। যা ছিল তাদের পোষাকের একটি আংশ। গলাবন্ধনীকে ক্রোয়োশীয় ভাষায় বলা হয় “ক্রাভার্ট”। ফ্রান্সের রাজা চতুর্দশ লুইয়ের আমলে ক্রাভাট ব্যাবহৃত হতো তার আদলে। ১৮১৫ সালে ফরাসি সম্রাট নেপোলিয়ন বোনপাটের আমলে প্রথম বার ক্রাভাটের বদলে এই “টাই” নাম ব্যাবহৃত হয়।
    শিল্পবিপ্লবের সময় ইউরোপ জুড়ে টাইয়ের প্রচলন শুরু হতে থাকে এবং যুক্তরাজ্যে সকল পোষাকের সঙ্গে “এস্কাট টাই” একটি মানে রুপ নেয় ১৮৮০ সালে।

    ১৯২০ সালে জেসি ল্যাংসডোর্ফ নামে নিউইয়ার্কের একজন দর্জি টাইয়ের একটি পরিপূর্ণ রূপ দেন। ল্যাংসডের্ফ তার নিজের নামেই ডিজাইন প্যাটার্ন করিয়ে রাখেন।বর্তমানে যে সকল স্টাইলিস টাই দেখতে পাওয়া যাচ্ছে সে গুলো মূলত ল্যাংসডোর্ফের টাইয়ের নকশার অনুকরনেই তৌরি।

    প্রতিবছর ১৮ই অক্টোবর ক্রোয়োশিয়া,টোকিও, সিডনি, ডাবলিনের মতো বেশ কিছু উল্লেখযোগ্য শহরে আন্তর্জাতিক টাই উৎসব পালিত হয়।

    ✅ টাই বাধার গিটঁঃ টাই বাধার অসংখ্য গিটঁ রয়েছে। তন্মধ্যে ফোর ইন হ্যান্ড, প্রাট, হাফ উইন্ডসর এবং উইন্ডসর গোরো গুলো বেশি প্রচলিত।

    ✅ টাই আনুষঙ্গিক ঃটাই এর সাথে আরো কিছু জিনিস ব্যাবহার করা যেতে পারে। যেমন ঃ টাই পিন, টাই ক্লিপ, টাই চেইন ইত্যাদি।

    ✅ টাইয়ের প্রকারভেদ: সাধারনত ৭ ধরনের টাই রয়েছে।

    1. Ascot Tie
    2. Bow Tie
    3. Bolo Tie
    4. Zipper Tie
    5. Cravat Tie
    6. Knit Tie
    7. Clip On Tie

    ✅ বিশ্বের সব দেশ ই টাই তৌরী করে থাকে। বর্তমানে শুধু কর্পোরেট ই নয় ফ্যাশন দুনিয়ায় ও টাই খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাই নিজেকে স্মার্ট করে উপস্থাপন করার জন্য ফর্মাল ড্রেসের সাথের সবার প্রথম চয়েজ টাই। আর বিশ্বের সেরা ১০ টাই ব্রান্ডের নাম নিম্নরূপঃ-👇👇

    1.Alvaro Castagnino
    2.Tossido
    3.The Tie Hub
    4.Blucksmith
    5.Lino Perros
    6.Louis Philippe
    7.Park Avenue
    8.Invictus
    9.Peter England
    10.Van হেউসেন

    ✅ টাই এর উপকরণ ও গঠন:-

    টাই প্রোডাকশনে বিভিন্ন ধরনের ফাইবারের ফেব্রিক ব্যবহার হয়।সাধারণত Silk এবং সিন্থেটিক এত ফেব্রিক বেশি ব্যাবহৃত হয়। এছাড়াও Knitted,wool,microfiber,bleanded,cotton,…ইত্যাদি ফেব্রিক ও ব্যাবহৃত হয়।

    টাই তৈরিতে যেসব প্যাটার্ন ব্যবহৃত: Dotted, checked,Floral, Geometric,Paisley, Printed, Solid, Striped, Woven Design, Polka Print, self Design, conversational, Novelty, Dot, Ethinic, Funky, plaid, Textured.

    ✅ বহুল ব্যাবহৃত এই ক্ষুদ্র এপারেল প্রোডাক্ট টাই বা নেক-টাই এর ব্যাবহার অনেক আগে থেকে হয়ে আসলেও সময়ের সাথে সাথে আরো নতুন নতুন ভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে।টাই শুধু আমাদের ফর্মাল বা প্রোফেশনাল লুকস না,ফ্যাশনের একটি ভাইটাল অংশে পরিণত হয়েছে।সামনের টেকনিক্যাল ও স্মার্ট টেক্সটাইল জগৎ এও হয়তো টাই এর বৈচিত্রময়তা আরো বাড়বে।

    ✅ Writer information:

    Name: Anjelur Rahman
    Institution: Primeasia University
    Batch: 181
    Campus Core Team Member (TES)

    RELATED ARTICLES

    LEAVE A REPLY

    Please enter your comment!
    Please enter your name here

    Related News

    - Advertisment -

    Most Viewed