Thursday, November 21, 2024
Magazine
More
    HomeCampus NewsWUBTS কতৃক এ্যাপারেল সেক্টরে অপরচুনিটি এবং স্টুডেন্টদের ক্যারিয়ার প্ল্যানিং শীর্ষক ওয়েবিনার অনুষ্ঠিত...

    WUBTS কতৃক এ্যাপারেল সেক্টরে অপরচুনিটি এবং স্টুডেন্টদের ক্যারিয়ার প্ল্যানিং শীর্ষক ওয়েবিনার অনুষ্ঠিত হয়। 

    গত ২৪ জুন ২০২০, ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ এর টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ এর টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং সোসাইটি কতৃক আয়োজিত হয় অনলাইন সেশন। 

    উক্ত আলোচনা সভার মূল আলোচ্য বিষয় ছিলো করোনা ভাইরাস প্রাদুর্ভাবঃ এপ্যারেল সেক্টরের সমসাময়িক চ্যালেন্জ, সু্যোগ সুবিধা এবং শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ।

    উক্ত সভার অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন :
    ১। সিরাজুম মুনির
    এজিএম এবং হেড অব ফেব্রিক, সোর্সিং ডিপার্টমেন্ট,
    এপিক গ্রুপ।

    ২। মো.আসাদুল হক
    ফেব্রিক্স মার্কেটিং ও মার্সেরাইজিং,
    থার্মেক্স ইয়ার্ন ডায়েড ফেব্রিক্স লিমিটেড।

    উক্ত সভার সভাপতিত্ব করেন
    মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান
    বিভাগীয় প্রধান টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ
    ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ।

    বাংলাদেশে টেক্সটাইল সেক্টরের বিকাশ এর ইতিহাস ঐতিহ্য বর্ণনা পূর্বক বৈশ্বিক মহামারী করোনায় টেক্সটাইল এবং অ্যাপারেল সেক্টরের সাথে সম্পৃক্ত সকল সেক্টরের চ্যালেঞ্জ আলোচনা এবং এর থেকে উত্তরণের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করেন জনাব সিরাজুম মুনির।

    তার আলোচনায় উঠে আসে অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ, চাকুরী প্রত্যাশীদের সুযোগ কমে যাওয়া, চাকুরীরতদের চাকুরী হারানো এবং টেক্সটাইলে বর্তমান সময়ের সীমাবদ্ধতা সহ এর সঙ্গে ওতপ্রতভাবে জড়িত মানুষদের বাস্তবতার কথা।

    অনেকেই টেক্সটাইল সেক্টরের সীমাবদ্ধতার কারণে চাকুরী হারাচ্ছেন এবং ম্যানপাওয়াররা করোনা মহামারীতে বর্তমান বাস্তবতার সঙ্গে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সংগ্রাম করছেন যেটাকে তিনি প্রধান চ্যালেঞ্জ হিসেবে বর্ণনা করে তাদের উদ্দেশ্য তার একান্ত নীতি উৎসর্গ করেন, “চাকরির জন্য জীবন নয়, জীবনের জন্য চাকরি।

    সবারই যার যার অবস্থানে তার যোগ্যতা আছে তাই জীবন যদি বাঁচে তাহলে চাকুরী পাওয়া যাবে আবার চাকুরী করতে যেয়ে নিজে সংক্রমিত হয়ে পরিবারের সদস্যদের জন্যও ঝুঁকির কারণ হয়ে যাচ্ছে” যেটা প্রকৃতপক্ষেই অনেক বড়ো একটি চ্যালেঞ্জ এই জায়গায় তিনি সবাইকে ব্যালেন্স করার আহবান জানান।

    এপারেল সেক্টরে অপরচুনিটি সম্পর্কে বলতে গিয়ে সবার আগে স্টুডেন্টদের নিজেদের SWAT Analysis করার পরামর্শ দেন যাতে জীবনে চ্যালেঞ্জ এবং থ্রেটের বিপরীতে অপরচুনিটি গুলোকে লাইন আপ করতে পারে।

    তিনি বাংলাদেশ টেক্সটাইল সেক্টরের সুপ্রশস্ত এবং সুবিশাল এরিয়াগুলো উল্লেখ করেন এবং এখানে চাকরি করে ক্যারিয়ার গঠনের অফুরন্ত সুযোগ আছে জানান।

    তিনি বলেন একজন টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার এই সেক্টর এবং এর সাথে সম্পর্কিত সকল ডিপার্টমেন্ট এ চাকরি করতে পারে তাছাড়াও শিক্ষকতায় ক্যারিয়ার গড়ার সুযোগ আছে।

    এরপর উচ্চশিক্ষার মাধ্যমে নিজের পথ পরিবর্তন করার সুযোগ আছে তাই যে বিষয় নিয়ে পড়াশুনা করছি সেই বিষয়েই যে চাকরি করতে হবে এই মাইন্ডসেট থেকে বেরিয়ে আসা সেই সাথে নির্দিষ্ট কোনো চাকরি আরামদায়ক মনে করার মানুষিকতা পরিবর্তনের মাধ্যমে এই সেক্টর এক অফুরন্ত সুযোগ অপেক্ষা করছে।

    তিনি আরও বলেন, “আমরা যতদিন পর্যন্ত বাধ্য হইনা ততদিন পর্যন্ত অভ্যস্ত হই না।”
    বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় এবং ফ্রেশার হয়ে চাকরিতে যুক্ত হতে গেলে বা জীবনে বিভিন্ন ক্ষেত্রে অনেক সময় বিভিন্ন অপ্রত্যাশিত বিষয় অথবা জটিলতার সম্মুখীন হতে হয়।

    এই সময়ে ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি দিয়ে উপযুক্ত ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে সব কিছু অতিক্রম করে এগিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন।

    এখন প্রতিনিয়ত বিশ্ব ইন্ডাস্ট্রি রেভুলোশন ৪.০ এর দিকে ধাবমান হচ্ছে ফার্স্ট ওয়ার্ল্ড কান্ট্রিগুলো ইতিমধ্যে এতে প্রতিষ্ঠিত হয়ে গেছে। তাই ইন্ডাস্ট্রি ৪.০ তে এত বিস্তর সুযোগের জন্য স্টুডেন্টদের যেসব বিষয় দক্ষতা থাকবে হবে বলে তিনি পরামর্শ দেন।

    ইন্ডাস্ট্রি ৪.০ তে স্টুডেন্টদের যেসব দক্ষতা অর্জন করতেই হবে:
    প্রোফেশনাল ক্যারিয়ারে যেসব দক্ষতা আপনাকে যোগ্য চাকুরী প্রার্থী করে তুলবে এবং আপনার অবস্থান নিশ্চিত করবে

    • ➤গ্লোবাল সোর্সসিং এর যুগে আন্তর্জাতিক ভাষা ইংলিশ শিখতেই হবে। যেহেতু পৃথিবীর সব মানুষের বলার ধরন এক নয় তাই অবশ্যই লিসেনিং দক্ষতাও থাকতেই হবে।
    • ➤কম্পিউটার স্কিল
    • ➤মেন্টাল স্মার্টনেস
    • ➤রিলেভ্যান্ট অর্থাৎ প্রাসঙ্গিক হতে হবে।
    • ➤টেকনোলজি এডভান্সড হতে হবে।
    • ➤প্রোফেশনাল ইমেইল জানতেই হবে।
    • ➤বেসিক সফটওয়্যার জানতে।
    • ➤পড়াশুনা শেষ করে নিজের ক্যারিয়ার প্লানিং থাকতে হবে অর্থাৎ আগামী ১০ বছর পর নিজেকে কোন যায়গায় দেখতে চান অন্তত এসম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারণা থাকতে হবে।

    ☞সফট স্কিলস

    • ➤ডিসিশন মেকিং
    • ➤কমিউনিকেশন
    • ➤নেটওয়ার্কিং
    • ➤টিম ম্যানেজমেন্ট
    • ➤পোলাইটনেস
    • ➤হাইলি ম্যানারড

    ☞এরপর ইন্ডাস্ট্রি ৪.০ যা খুবই ডিমান্ড করে।

    আইওটি( ইন্টারনেট অব থিংকস)

    • ➤সফটওয়্যার এক্সপার্ট
    • ➤কোডিং
    • ➤ডিজিটাল মার্কেটিং
    • ➤রিমোট ওয়ার্কিং
    • ➤মাল্টি টাস্কিং
    • ➤সাপ্লাই চেইন ম্যানেজমেন্ট
    • ➤ভ্যালু চেইন ম্যানেজমেন্ট
    • ➤সিক্স সিগমা, থ্রি আর
    • ➤সাসটেইনেবিলিটি
    • ➤লিন ম্যানুফ্যাকচারিং ইত্যাদি। 

    অনুষ্ঠানে অতিথিরা তাদের টেক্সটাইলেে নিজেদের অভিজ্ঞতা সম্পর্কে সবাইকে অবহিত এবং অনুপ্রাণিত করেন। 

    অনুষ্ঠানের আরেকজন সম্মানিত স্পিকার নেটওয়ার্ক গোলযোগের কারণে পুরোটা সময় সংযুক্ত থাকতে পারেননি।

    সমাপনী বক্তব্যে রাখেন ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের টেক্সটাইল ডিপার্টমেন্ট এর চেয়ারম্যান এবং হেড জনাব মোস্তাফিজুর রহমান।

    তিনি বাংলাদেশ টেক্সটাইল সাপ্লাই চেইনের সীমাবদ্ধতা বর্ণনা করেন এবং তার সমাধানে বহুমুখী প্রকল্পের কথা বলেন তাছাড়াও এর প্রয়োজনীয়তা, সম্ভাবনা ব্যাখ্যা করেন।   

    ইউনিভার্সিটি গুলোতে সরকারের পর্যালোচনায় রিসার্চ এবং ডেভেলপমেন্ট প্রতিষ্ঠায় জোর দেন, আগামীতে টেক্সটাইলের সম্ভাবনায় কর্মসংস্থান ও অর্থনৈতিক ক্ষেত্র গুলোও তুলে ধরেন সেই সাথে সরকার এবং টেক্সটাইলের মহারথীদের এগিয়ে আসার আহবান জানান এছাড়াও স্টুডেন্টদের বিভিন্ন দিক নির্দেশনা দেন।

    এই সম্পূর্ণ অনুষ্ঠানটি উপস্থাপনা করেন এবং নির্দেশনা দেন শ্রদ্ধেয় অজয় রায়, প্রভাষক, ডিপার্টমেন্ট অব টেক্সটাইল এবং মডারেটর, ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ ডিবেটিং ক্লাব।

    তিনিও তার নানান অভিজ্ঞতা সম্পর্কে বলেন এবং স্টুডেন্টদের পরামর্শ দেন।   

    অবশেষে, প্রোগ্রামটি অত্যন্ত সফলভাবে সম্পন্ন  হয়েছে।

    Report by:

    A. Rouf Ahmmad (Ishan)

    CA & Team Coordinator, TES

    World University of Bangladesh      

    RELATED ARTICLES

    LEAVE A REPLY

    Please enter your comment!
    Please enter your name here

    Related News

    - Advertisment -

    Most Viewed