Sunday, December 29, 2024
Magazine
More
    HomeCareerডিজিটাল অল ওভার প্রিন্টিং (Digital AOP)

    ডিজিটাল অল ওভার প্রিন্টিং (Digital AOP)

    ক্রমবর্ধমান টেক্সটাইল শিল্পের সম্ভাবনাময় একটি নাম হল “All Over Printing” (AOP)। All Over Printing এমন একটি প্রিন্টিং পদ্ধতি যেখানে একটি নকশা ফেব্রিকের সমগ্র পৃষ্ঠ জুড়ে পুনরাবৃত্তি করা হয়। ৮০’র দশক থেকে বাংলাদেশে All over printing এর যাত্রা শুরু হয়। বর্তমানে বাংলাদেশে প্রায় ৮০ টি export-oriented industry তে all over printing করা হয়।

    সময় পরিবর্তনের সাথে সাথে All Over Printing খাতের চাহিদা ও দিন দিন বেড়ে চলেছে। আগে AOP সেক্টর বলতে রোটারি, ফ্ল্যাট বেড মেশিনের প্রিন্টিং পদ্ধতি কে বুঝানো হতো। কিন্তু ক্রমবর্ধমান চাহিদার কারণে তাদের সাথে All Over Printing এ যুক্ত হয়েছে “Digital Printing”।

    All Over Printing সাধারনত ৩ টি machine এর মাধ্যমে করা হয় –

    ১. Rotary printing machine
    ২. Flatbed printing machine
    ৩. Digital printing machine

    বহুমাত্রিক ডিজাইন প্রিন্টিং এর জন্য একটি আদর্শ প্রযুক্তি হলো ” All Over Digital Printing”। আজকে আমরা All Over Digital Printing সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করবো:

    প্রিন্টারের মাধ্যমে কাগজে রঙিন প্রিন্ট করার মতো একটি আধুনিক পদ্ধতি হলো Digital Printing, যার মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের ফেব্রিকে 2D ইফেক্ট, 3D ইফেক্ট, বহুমাত্রিক ডিজাইন এবং ফটো প্রিন্টিং ও করা হয়ে থাকে।

    Digital print এ সরাসরি কালি দিয়ে ফেব্রিক প্রিন্ট করা হয়। এর জন্য কোন ফিল্ম বা স্ক্রিন ব্যবহৃত হয় না। বেশিরভাগ ডিজাইন ফটোশপ সফটওয়্যার দ্বারা করা হয়। কখনো কখনো অ্যাডোবি ইলাস্ট্রেটর সফটওয়্যার ও ব্যবহৃত হয়।

    Digital Printing Machine এর কয়েকটি ব্র্যান্ড নেম-

    ১. Durst Alpha (Italy Brand)
    ২. Zimmer Machine (Germany)
    ৩. Attexco Machine (China)
    ৪. MS Mahine (Italy Brand)
    ৫. Reggiani Machine (Italy Brand)
    ৬. Homer digital print (China)

    Digital printing এর সুবিধা সমূহ–

    ১. কোন ধরনের স্ক্রিন ব্যবহার করতে হয় না।
    ২. প্রিন্ট কোয়ালিটি ভালো।
    ৩. কেমিক্যাল ওয়েস্ট কম হয়।
    ৪. যেকোনো মেজারমেন্টের রিপিট প্রিন্ট করা সম্ভব।
    ৫. পানি এবং বিদ্যুৎ খরচ কম হয়।
    ৬. কোনো কালার লিমিট নেই।
    ৭. রঙ পৃথকীকরণের প্রয়োজন হয় না। মূল চিত্র বা ডিজাইনের ফাইলটিতে কাজ করা হয়।

    Digital Printing এর অসুবিধা সমূহ-

    ১. প্রিন্টিং স্পিড কম।
    ২. Ink কস্ট অনেক বেশি, কিন্তু তা সময়ের সাথে সাথে হ্রাস পাচ্ছে।
    ৩. কালার একুরেসি বজায় রাখা কঠিন।
    ৪. হোয়াইট কালার প্রিন্টিং করা যায় না।
    ৫. তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে হয়।
    ৬. ব্লেন্ডেড ফেব্রিকে প্রিন্ট করা যায় না।

    All Over Printing এবং All Over Digital printing এর মধ্যে পার্থক্য:

    All Over Printing:

    ১. All over printing এর জন্য স্ক্রিন এর জন্য প্রয়োজন হয়।
    ২. ডিজাইন কে ১০০% ভেক্টর ইমেজে এ কনভার্ট করে ডিজাইন ডেভেলপ করতে হয়।
    ৩. ডিজাইনে যে কয়টা কালার থাকে সেই কয়টা ফাইল সেপারেশন করতে হয় এবং প্রতিটি কালারের জন্য আলাদা আলাদা স্ক্রিন ব্যাবহার করতে হয়।
    ৪. All over printing যে কোন ফেব্রিকে প্রিন্ট করা যায়।
    ৫. ডিপ ডায়িং ফেব্রিকে এ প্রিন্ট করা যায়।
    ৬. হোয়াইট কালার প্রিন্ট করা যায় ।
    ৭. All over printing এ Pigment print, Reactive print, Discharge print, Glitter print, Apson print, Burn out print, Nion print, Resist print করা হয়।
    ৮. ডিজাইনের আর্টওয়ার্ক এর উপর ভিত্তি করে RGB নাকি CYMK মোড ডেভেলপ করবে তা সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
    ৯. All Over printing এর ক্ষেত্রে প্রোডাকশন এর স্পিড ৩০-৭০ মিটার/মিনিট।
    ১০. ৩৬০, ৫০৮, ৭২০ পিক্সেল/ইঞ্চি Resolution নিয়ে ডিজাইন ডেভেলপ করতে হয়।
    ১১. যেকোন তাপমাত্রায় প্রোডাকশন করা সম্ভব।
    ১২. ডিজাইন ডেভেলপ করার সময় Rotary Screen এর ব্যাস এবং Flatbed screen এর মেজারমেন্ট এর সাথে হিসাব করে ডিজাইন এর রিপিট তৈরি করতে হয়।
    ১৩.একটা স্ক্রিন কে ৩/৪ বার পুনর্ব্যবহার করা যায়।

    All Over Digital Printing:

    ১. All over digital printing এর স্ক্রিন এর প্রয়োজন হয় না।
    ২. Photoshop software দিয়ে ডিজাইন করতে হয় । মাঝে মাঝে Adobe Illustrator software দিয়েও করতে হয় ।
    ৩. কালার সেপারেশন করতে হয় না। Main Image বা Design এর File এর উপর কাজ করতে হয়। ৪. ব্লেন্ডেড ফেব্রিক ছাড়া Coton,Viscose, Silk, Nylon, Knit ও Print হয়। তবে ১০০% Cotton fabrics এ প্রিন্টিং ভাল হয়।
    ৫. ডিপ ডায়িং এর ফেব্রিকে প্রিন্ট করা হয় না।
    ৬. হোয়াইট কালার প্রিন্ট করা যায় না।
    ৭. Digital printing এর ক্ষেত্রে শুধু মাত্র Reactive print করা যায়।
    ৮. RGB ও CMYK উভয় মোড এই ডিজাইন ডেভেলপ করা যায়।
    ৯. মেশিন এর হেড এর উপর প্রোডাকশন স্পিড নির্ভর করে হেড যত বেশী হবে প্রিন্ট প্রোডাকশন তত বেশী হবে । সাধারণত ১-৩ মিটার/মিনিট হয়ে থাকে।
    ১০. ৩০০ হতে ১২০০ পিক্সেল/ইঞ্চি Resolution নিয়ে ডিজাইন ডেভেলপ করা হয়।
    ১১. এসি রুমে প্রিন্ট করতে হয়। ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস এর দরকার হয়।
    ১২. এক্ষেত্রে কোন হিসাবের প্রয়োজন হয় না যেকোন মেজারমেন্ট এর ডিজাইন ডেভেলপ করা যায় ।১৩. Digital printing machine এর হেড কে পুনর্ব্যবহার করা যায় না।

    Writer Information:

    Name: Mehbuba Afrose Moon
    Institute: Primeasia University
    Department: Textile Engineering
    Batch: 201
    Email: [email protected]

    RELATED ARTICLES

    LEAVE A REPLY

    Please enter your comment!
    Please enter your name here

    Related News

    - Advertisment -

    Most Viewed