মরনঘাতী কোভিড-১৯ এর ব্যাপক সংক্রমনের কারণে বিশ্ব যখন একটি অভূতপূর্ব সঙ্কটের মুখোমুখি দাঁড়িয়ে ঠিক তখনি বাংলাদেশর রফতানীমুখী আরএমজি এর শিল্প-মালিকেরা কতগুলো কার্যকরি ইতিবাচক পদক্ষেপ নিয়েছেন ।ইতিমধ্যেই সবাই অবগত আছি যে, বাংলাদেশের পোশাক শ্রমিকদের উপর এই দুর্যোগ ক্ষেত্রের বিশাল প্রভাব রয়েছে।
বেশিরভাগ ফ্যাশন ব্র্যান্ডগুলি ঠিক যেমন তাদের আউটলেটগুলি বন্ধ করে দিয়েছে, তেমনি তাদের অর্ডার বাতিলসহ শিপমেন্ট পিছিয়ে দিচ্ছে। নিশ্চয়ই এই নেতিবাচক দিকগুলি দেশের কারখানাগুলির জন্য একটি বিশাল সমস্যা তৈরি করে ফেলেছে।
কারণ তাদের শ্রমিকদের মজুরি প্রদান থেকে শুরু করে, অগ্রীম ক্রয়কৃত কাঁচামালগুলির জন্যে পর্যন্ত বিপুল পরিমান অর্থের প্রয়োজন। উল্লেখ্য যে, ধারনা করা হচ্ছে সরকার ঘোষিত সুবিধাগুলি, আগামী মাসে কারখানাগুলিকে হস্তান্তরিত করার মাধ্যমে শ্রমিকদের মজুরি দেওয়ায় সহায়তা করবে, কিন্তু আমরা সকলেই অবগত যে, ইতিমধ্যে কারখানাগুলিকে তাদের নিজস্বভাবে মার্চের বেতন পরিশোধের জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।
দেশের করোনভাইরাস প্রাদুর্ভাবের বিষয়টি বিবেচনা করে দেশের বৃহত্তম পোশাক মালিক সংগঠন বিজিএমইএ তাদের সদস্যদের ২৫শে এপ্রিল পর্যন্ত কারখানাগুলি বন্ধ রাখাসহ পহেলা এপ্রিলের মধ্যে খোলার পরে বেতন পরিশোধের পরামর্শ দিয়েছিলো।
এতগুলি প্রতিবন্ধকতা ও সংকট নিয়েও কারখানাগুলির আশা বজায় রাখার লক্ষ্যে পদক্ষেপ নিচ্ছে সরকার ও বিজিএমইএ এবং ২০২০ সালের মার্চ মাসের বেতন দ্রুততম সময়ের মধ্যে সরবরাহ করতে বলা হয়েছে কারখানা মালিকদেরকে । বিজিএমইএ তাদের সদস্য কারখানাগুলিকে সর্বশেষ ২০২০ সালের ১৬ এপ্রিলের মধ্যে মার্চের মজুরি বিতরণের জন্য সুস্পষ্ট নির্দেশনা দিয়েছে।
তবে সবকিছু ছাড়িয়ে প্রশংসনীয় বিষয় হলো, বিজিএমইএর অনেক সম্মানিত সদস্য কারখানাগুলি ১৬ ই এপ্রিল এর আগেই বেতন বিতরণ শুরু করেছে। এমনকি এর চেয়েও উৎসাহজনক ও প্রশান্তিকর বিষয় হলো, কারখানাগুলি বেতন বিতরণের সময় সামাজিক দূরত্ব, সুরক্ষা এবং স্বাস্থ্য পরিচর্যা এর সর্বোচ্চ মান বজায় রেখে চলছে।
আজ পর্যন্ত প্রায় ২৮৮ বিজিএমইএ সদস্য কারখানাগুলি ঢাকা জোনের অভ্যন্তরে তার শ্রমিকদের মজুরি বিতরণ করেছে এবং আশা করা যাচ্ছে যে বিজিএমইএর পরামর্শ অনুযায়ী নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে সমস্ত কারখানা শ্রমিকদের মজুরি পরিশোধ করতে সক্ষম হবে।
তথ্যসূত্রঃ বিজিএমইএ ওয়েবসাইট
রিপোর্টার,
মোঃ আল-আমিন
পাবনা টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ।